বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার কৃষি চুক্তি

অন্যায় বাণিজ্য ব্যবস্থার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াও জীবন ও জীবিকার সংগ্রামে এক হও, বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার কৃষি চুক্তি, ‘অ-ন্যায় বিশ্ব বাণিজ্য ব্যবস্থার বিরুদ্ধে গণ প্রতিরোধের বিশ্ব সপ্তাহ, প্রকাশ ১০-১৬ এপ্রিল ২০০৫ চৈত্র ২৭-৩০ ১৪১১ থেকে বৈশাখ ১-৩, ১৪১২।

  • ১ অবাধ বাণিজ্যের নামে ডাকাতি ও লুটপাট প্রতিরোধ করুণ প্রতিহত করুন।
  • ২ বহুজাতিক কোম্পানীর উদ্ভাবিত বিকৃত বী জবা জিএমও কৃষি কৃষকের এবং দেশ ও দশের স্বার্থ-বিরোধী। বাংলাদেশের প্রাণবৈচিত্র্য ও পরিবেশ দূষিত কারার চক্রান্ত চলছে। শক্রকে চিনুন ও প্রতিরোধ করুণ।
  • ৩ বীজ, খাদ্য, পানি ও প্রাণসম্পদের গণঅধিকার নস্যাৎ করে প্রাইভেটাইজেশানের নামে মুনাফাখোর দেশী-বিদেশী কোম্পানির হাতে তুলে দেওয়া চলবে না। প্রাণের ওপর পেটেন্ট বা কোম্পানিকে বুদ্ধিবৃত্তিক অধিকার বা বায়্যালটি দেবার কোন বিধান আমরা মানি না।
  • ৪ পানিসম্পদ, স্বাস্থ্য, শিক্ষাসহ অন্যান্য সেবখাত দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক চুক্তির অজুহাতে ব্যক্তিমালিকানায় হস্তান্তর প্রতিরোধ করুন ও রুখে দিন।
  • ৫ ছোট ও গরিব কৃষি পরিবারের নেতৃত্বে প্রাণবৈচিত্র্য সমৃদ্ধ বাংলাদেশের কৃষি ব্যবস্থার বিকাশ নিশ্চিত করতে হবে। বাংলাদেশ শুধু আমাদের নয় আরো বহু দেশের মানুষের খাদ্য যোগান দিতে পারবে। আমরা এখনই খাদ্য স্বয়ংসম্পূর্ণ।
  • ৬ দেশের ভেতরে কঠোর পরিশ্রম রত শ্রমিক, গার্মেন্ট শ্রমিক ও পরবাসী শ্রমিকরাই আমাদের জাতীয় অর্থনীতির মেরুদ-। তাদের নাগরিক, গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক অধিকার নিশ্চিত করতে হবে অবিলম্বে জাতীয় নি¤œতম মজুরী নিশ্চিত ও কার্যকর করতে হবে। সকল শ্রমজীবি মানুষের শ্রমের ন্যায্য মূল্য নির্ধারণের জন্য সুষ্ঠ ট্রেড ইউনিয়ন বিকাশের অধিকার ও আইনসহ প্রয়োজনীয় প্ররিবেশ ওপরিস্থিতি তৈরি করতে হবে।
  • ৭ পরবাসী শ্রমিকের স্বার্থকে ব্যবসায়ীদের স্বার্থের উর্ধে স্থান দিতে হবে, কারণ তারাই প্রধানত বৈদেশিক মুদ্রা আয় করে, রপ্তানি করার নামে স্মাগলিং আর চুরিডাকাতি করে তারা রাতারাতি ধনী হয় না।
  • ৮ বহুপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি ও ডব্লিওটিও-ও বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী গণপ্রতিরোধ শক্তিশালী করুন। বাংলাদেশের সঙ্গে সকল গুপ্ত দ্বিপাক্ষিক চুক্তি বাতিল করতে হবে। সা¤্রাজ্যবাদী ও যুদ্ধবাজ দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের বিজ্ঞান ও কারিগরী চুক্তি টিফা চুক্তি বাতিল করতে হবে।

 

Back to album