আবদুল খালেক দেওয়ান 

সাধক, কবি ও শিল্পী খালেক দেওয়ান ঢাকা জেলার কেরানীগঞ্জ থানার শাক্তা ইউনিয়নের বামনসুর গ্রামে ১৩১৬ সালের ১২ই ফাল্গুন জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা আলেপ চান্দ শাহ্ ওরফে আলফু দেওয়ান নিজেও একজন সাধকপুরুষ ছিলেন। তাঁর মা বিবরন নেসা ছিলেন একজন গুণী মহিলা। বাবামায়ের তিন ছেলেমেয়ের মধ্যে সবার বড় ছিলেন আব্দুল মালেক দেওয়ান (জন্ম ১৩০১)। মালেক দেওয়ানও বাংলাদেশের আরেকজন স্বনামধন্য শিল্পী। দ্বিতীয়জন ফাতেমা বেগম (জন্ম-১৩০৮ বঙ্গাব্দ) আবদুল খালেক দেওয়ান তৃতীয় ও সর্বকনিষ্ঠ। আলফু দেওয়ানের পিতা ইসমাইল দেওয়ান এবং মা করিমন নেসার দুই ছেলে এক মেয়ের মধ্যে আলফু দেওয়ান ছিলেন সবার বড় এবং তাঁর ভাই ইসহাক দেওয়ান সবার ছোট ছিলেন।

কিশোর খালেক স্থানীয় নয়াব (আরো পড়ুন )


নবপ্রাণ আন্দোলন শুরু

আমরা নবপ্রাণ আন্দোলন খুব ভেবেচিন্তে সভাসমিতি ডেকে দশদিক বাছবিচার করে শুরু করি নি। এর আবির্ভাব যেন নিজের দরকারে আপন তাগিদে ঘটে গিয়েছে। একজনের বা গুটিকয়েকর ইচ্ছা এখানে প্রধান ভূমিকা পালন করে নি, বড়োজোর জোগালির বেগার খেটেছে। কিন্তু সেই ইচ্ছাকে অসচেতনা বা স্বতঃস্ফুর্ত ইচ্ছা বলা ভুল হবে। নিজেদের ইচ্ছা নিজেদের পরিকল্পনা নিজেদরে চিন্তাভাবনা আগাগোড়া তৎপরই ছিল। কিন্তু তবু মনে হচ্ছিল এ যে শুধু নিজেদেরই ইচ্ছা নয়। এই সময়ের রপর সওয়ার হয়ে আছে আরেক ইচ্ছা। সেই ইচ্ছা শুধু আমাদের ব্যক্তিগত নয়। মানুষের বেড়ে ওঠার ইতিহাস এমন কিছু সন্ধিক্ষণ আসে যার মধ্য থেকে কিছু কাজ করার তাগিত উত্থিত হয় নইলে সামনের দিকে পা আর এগায় না। সেই তাগিদ থেকে এই ইচ্ছার জন্ম। সেই ইচ্ছা আ (আরো পড়ুন )


ফকির লালন সাঁইজীর গৌরপূর্ণিমা উৎসব ১৪২৫ অনুষ্ঠিত হলো

কুষ্টিয়ার কুমারখালী, ছেঁউড়িয়াতে, ২০ মার্চ থেকে ২২ মার্চ পালিত হলো ফকির লালন সাঁইজীর গৌরপূর্ণিমা উৎসব ১৪২৫।

নবপ্রাণ আখড়াবাড়িতে এবারের গৌরপূর্ণিমা উৎসবে যে গানটি বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে সেটি হলো ‘এমন বয়সে নিমাই ঘর ছেড়ে ফকিরি নিলে, ধন্য মায়ের নিমাই ছেলে’...।

লালনের এই গুরুত্বপূর্ণ গানটি তেমন ভাবে চর্চায় ছিল না বলা যায়।

তিনদিনের উৎসবে নবপ্রাণ আখড়াবাড়িতে প্রতিদিন ভোর ৬ টায় লালন সাঁইজির গোষ্ঠ গান দিয়ে দিনের শুরু হয়েছে। এবং রাত ৮টা পর্যন্ত লালন সাঁইজির বিভিন্ন ধারার গান পরিবেশিত হয়েছে। বিশেষ করে পরিবেশিত হয়েছে লালন সাঁইজির গৌর গান- "এনেছে এক নবীন গোরা নতুন আইন নদীয়াতে", "গোল করো না ও ন (আরো পড়ুন )


কুষ্টিয়ার ছেঁউড়িয়াতে ফকির লালন সাঁইজীর দোল উৎসব চলছে

ফকির লালন সাঁইজীর দোল উৎসব চলছে কুষ্টিয়ার ছেঁউড়িয়াতে। বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা থেকে মানুষ বাসে চড়ে, ট্রেনে, গাড়িতে, ভ্যান গাড়ীতে এবং বিপুল সংখ্যক মানুষ পায়ে হেঁটে সাঁইজীর ধামের দর্শন করতে আসেন। তারা বছরে দুবার, দোল উৎসব চৈত্র মাসের পুর্ণিমায় এবং সাঁইজীর তিরোধান (১ লা কার্তিক) উপলক্ষে, আসতে না পারলেও অন্তত একবার আসার চেষ্টা করেন। তবে এবার লক্ষ করলাম আগত ভক্তদের সংখ্যা অন্যবারের চেয়ে উল্লেখযোগ্যভাবে কম। তার একটি কারণ হতে আশে পাশের ইউনিয়নে নির্বাচন হওয়ার জন্যে হয়তো অনেকে আসতে পারে নি। তাঁদের অধিকাংশ একেবারে সাধারণ মানুষ, ৯০ ভাগই কৃষক, দিন মজুর, ছোট ব্যবসায়ী, ছোট চাকুরি করেন এমন মানুষ। তাদের থাকার ও খায়া দাওয়ারও কোন ব্যবস্থা সব সময় ঠিক থাকে না। (আরো পড়ুন )


লালন সাঁইজীর ১২৬ তম তিরোধান দিবস, নবপ্রাণ আখড়াবাড়ি, ছেঁউরিয়া, কুষ্টিয়া

“কে তোমার আর যাবে সাথে”

পহেলা কার্তিক, ১৬ অক্টোবর। লালন ফকির ভক্ত-অনুরাগীদের জন্য কার্তিকের এইদিনটি বিশেষ দিন। এইদিনে ১২৬ বছর আগে ফকির লালন সাঁইজী কুষ্টিয়ার ছেঁউড়িয়ায় তিরোধান করেন। এবারেও তাঁকে স্মরণ করতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে সাধু-গুরু, লালন ভক্ত ও অনুসারীরা কুমারখালি, কুষ্টিয়ার ছেঁউড়িয়াতে লালান স্মৃতিধামে হাজির হন।

লালনের তিরোধান ও দোল উৎসবকে কেন্দ্র করে প্রতিবছর দুটো বড় অনুষ্ঠান হয়। প্রধান উদ্যোক্তা লালন একাডেমি। পাশাপাশি অন্যান্য সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানও তাদের নিজ নিজ উদ্যোগে অনুষ্ঠান করে থাকে। লালন একাডেমির বিপরীতে রয়েছে নবপ্রাণ আখড়াবাড়ি। লালন একাডেমির সঙ্গে সমন্বয় রেখে আখড়াবাড়ি তাদের অনুষ্ঠান পরিচালনা (আরো পড়ুন )


ফকির লালন শাহ-এর গৌর পূর্ণিমার অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণঃ নবপ্রাণ আখড়াবাড়ি

“এমন বয়সে নিমাই ঘর ছেড়ে ফকিরী নিলে ধন্য মায়ের নিমাই ছেলে, ধন্য মায়ের নিমাই ছেলে” - ফকির লালন শাহ এবার ১৪২৩ বাংলা সালে গৌর পূর্ণিমা ২৭ ফাল্গুন (১১ মার্চ ২০১৭)। শ্রী গৌরাঙ্গ এই ফাল্গুনি পূর্ণিমাতেই নদিয়ায় নিজের আবির্ভাব ঘটান; অবতরণ করেন। জননী শচিদেবী সন্তানের নাম রেখেছিলেন ‘নিমাই’, তাঁর রূপের জন্য পাড়ার লোক নাম দিয়েছিল ‘গোরা’ (গৌরাঙ্গ), গুরু নাম দিয়েছিলেন কৃষ্ণচৈতন্য, সেখান থেকে চৈতন্য। তিনি নদিয়ার প্রথম ‘ফকির’। জ্বি, ‘ফকির। নদিয়ার সাধকদের কাছে তিনি ‘ফকির’ বলেই প্রসিদ্ধ। গৌর পূর্ণিমা নদিয়াবাসীদের জন্য জয়ধ্বণির দিন; ধন্যরে নদিয়াবাসী হেরিল গৌরাঙ্গ শশী যে বলে জীব সেই সন্যাসী লালন (আরো পড়ুন )