স্বাস্থ্য সেবা অধিকার সংবিধানে নিশ্চিত করতে হবে


প্রতিবছরের মতো এবারও বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস পালিত হয় ৭ এপ্রিল, ২০১৪। ১৯৪৮ সালের এই দিনে প্রতিষ্ঠিত হয় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। প্রতিষ্ঠা দিবসের গুরুত্ব বিবেচনায় প্রতি বছর এই দিনে পালিত হয় বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস। ১৯৯৫ সাল থেকে এ দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয় ঠিক করে আসছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এবারের বিষয় ছিল ‘একটি ক্ষুদ্র সংশন অনেক বড় হুমকি, বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষ্যে স্বাস্থ্য আন্দোলন নেটওয়ার্ক ৭ এপ্রিল, বিকেল ৪ টায় প্রেসক্লাবের সামনে “স্বাস্থ্য সেবা অধিকার সংবিধানে নিশ্চিত করতে হবে” শীর্ষক দাবী নিয়ে এক মানব বন্ধনের আয়োজন করে। মানববন্ধনে স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করছে এমন সংগঠনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

মাবন বন্ধনে ফেস্পটুনে স্বাস্থ্য বিষয়ক বিভিন্ন স্লোগান ব্যবহার করা হয় যেমন: স্বাস্থ্য সেবা পাওয়া আমার অধিকার, গরিব মানুষের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত কর, স্বাস্থ্য সেবার বাণিজ্য বন্ধ কর, রোগ যতোই ছোট হোক চিকিৎসা তাকে পেতেই হবে, নারী স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত কর, গামেন্টা শ্রমিকদের চিকিৎসা মালিকদের করতেই হবে ইত্যাদি।

মানব বন্ধনটি পরিচালনা করেন রোকেয়া বেগম, স্বাস্থ্য আন্দোলন।

বক্তব্য রাখেন ড. এম এ সোবহান, কৃষিবিদ উবিনীগ, আমিনুর রাসুল, উন্নয়ন ধারা ট্রাষ্ট, সীমা দাস সীমু, পরিচালক উবিনীগ, পলাশ বড়াল, উবিনীগ, খলিলুর রহমান, কর্মকর্তা পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড, ফিরোজা বেগম, গার্মেন্ট নেত্রী।


বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস ২০১৪


স্বাস্থ্য আন্দোলনের নেত্রীবৃন্দ মানববন্ধনে তাদের মূল্যবান বক্তব্য তুলে ধরেন। স্বাস্থ্য আমার একটি মৌলিক অধিকার। এটা নিশ্চিত করার দায়িত্ব সরকারের। যে ভাবে রোগ বেড়ে যাচ্ছে তাতে যে বাজেট বরাদ্দ দেয়া হয় তাতে গরিব জনসাধারণের সেবা পাওয়া সম্ভব হয়না। স্বাস্থ্য খাতে এই বরাদ্দ বাড়াতে হবে। ওষুধের মূল্য দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে তাতে গরিব জনগণ চিকিৎসা সেবা নিতে হিমসিম খাচ্ছে। বক্তারা ওষুধের মূল্য নিয়ন্ত্রণের দাবি জানানো হয়েছে। স্বাস্থ্য খাত বেসরকারি পর্যায়ে চলে যাচ্ছে এটা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। বিভিন্ন সংক্রামক রোগের মধ্যে ১৭ ভাগই হচ্ছে পানি বাহিত। বিশ্বে ২০১০ সালে বাহক-বাহিত রোগে ৬ লাখ ৬০ হাজার মানুষ মারা যায় যার অধিকাংশই শিশু। ঢাকা শহরে জুন-জুলাইতে ডেঙ্গু রোগ বেড়ে যায় মানুষকে সচেতন করতে হবে। 


বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস ২০১৪


রোগ হওয়ার আগে রোগ যাতে না হয় তার প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলার প্রতি জোর দেয়া কথা বলা হয়। দুর্গম ও প্রত্যন্ত অঞ্চলে যেমন চর এলাকা ও পার্বত্য এলাখাকে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। গামের্ন্টে আহত শ্রমিকদের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করার নিশ্চয়তা দিতে হবে। শ্রমিকদের জন্য সুষ্ঠু কাজের পরিবেশ তৈরি করার আহবান জানানো হয়।

সরকারের দৃষ্টি ভঙ্গি পরিবর্তন করে গণ মানুষের স্বাস্থ্যের প্রতি নজর দেয়ার দাবি জানানো হয়।

বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসে স্বাস্থ্য আন্দোলনের দাবি:

১. রোগ প্রতিরোধে পরিবেশ,পানি,বায়ু দুষন রোধ,খাদ্যাভাস পরিবর্তন বিষয়গুলোকে অগ্রাধিকার প্রদান।

২. ওষুধের বাণিজ্য রোধে বেসরকারি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান, ক্লিনিক,হাসপাতাল ওষুধ কোম্পানীগুলোর অনৈতিক কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণে তড়িত পদক্ষেপ গ্রহণ।

৩. প্রত্যন্ত অঞ্চলের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়ন করতে হবে। (চর ও পার্বত্য এলাকা)

৪. স্বাস্থ্য খাতে বাজেট বরাদ্দ বাড়াতে হবে।


ছাপবার জন্য এখানে ক্লিক করুন



৫০০০ বর্ণের অধিক মন্তব্যে ব্যবহার করবেন না।