উবিনীগ, নারীগ্রন্থ প্রবর্তনা ও তামাক বিরোধী নারী জোট (তাবিনাজ)


‘উন্নয়ন বিকল্পের নীতি নির্ধারণী গবেষণা’ (উবিনীগ) শুরু হয়েছে ১৯৮৪ সালে। বাংলাদেশের মানুষের জন্য উন্নয়ন কর্মকান্ড আসলেই কতটুকু সুফল বয়ে আনছে তা নিয়ে ভাবনা থেকেই শুরু হয় উবিনীগের যাত্রা। প্রথমত ধারণাগত দিকগলো পর্যালোচনা করা হয়, যেমন ‘উন্নয়ন’ কথাটা বলতে দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক সংস্থাগুলো আসলে কী বোঝায়, এর সামাজিক চরিত্রটা কী দাঁড়াবে। এর সঙ্গে ছিল নারীর দিক থেকে বিবিধ প্রশ্ন তোলা, কৃষি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ইত্যাদি বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিজ্ঞান ও কৃৎকৌশলের ভূমিকা ইত্যাদি। এভাবে নানান দিক খতিয়ে দেখার জন্য উবিনীগ কিছু গবেষণা কাজ হাতে নেয়। উবিনীগের নামের সাথে জুড়ে রয়েছে বিকল্পের কথা। বিকল্প উন্নয়ন নয়, ‘উন্নয়ন বিকল্পের’ অর্থাৎ উন্নয়নের প্রথাগত চিন্তার বাইরেও আমরা দেশ ও দশের উন্নতির কথা ভাবতে পারি। আসলে ইংরেজি ‘ডেভেলপমেন্ট’ শব্দটির অনুবাদ করে ‘উন্নয়ন’ শব্দটির চেয়ে বাংলায় ‘উন্নতি’ শব্দটি আরও অনেক শক্তিশালী ধারণা। আমাদের ‘উন্নত’ হওয়া দরকার, ‘উন্নতি’ প্রয়োজন, ইত্যাদি।

গ্রামের সাধারণ মানুষের জীবনে এই প্রশ্নগুলোর কিভাবে প্রতিফলন ঘটে উবিনীগ দেখার চেষ্টা করেছে প্রথম থেকেই। তাই শহরে বসে একাডেমিক গবেষণা নয়, গ্রামের কৃষক, শ্রমিক, তাঁতীসহ সব ধরণের মানুষের সাথে সরাসরি কাজ করাই ছিল মূল কাজের ধারা। এই কাজের মধ্য দিয়েই তাদের সমস্যা সম্পর্কে জানার এবং সমাধানের পথ বের করার চেষ্টা করা হয়। শুরু থেকেই উবিনীগ গ্রামমুখী কাজে ব্যস্ত হয়ে যায়। উন্নয়নের নীতি পর্যালোচনা করে তার ব্যাপারে নিজেদের মতামত তৈরির জন্যে নিয়মিত ‘পাঠশালা’ করা হয় উবিনীগের কর্মীদের নিয়ে।

উবিনীগ প্রাণবৈচিত্র্য ও পরিবেশ রক্ষার প্রেক্ষিতে কৃষকের জীবন জীবিকা রক্ষার জন্যে নিজের শ্রম, জ্ঞান ও স্থানীয় পরিবেশের সাথে খাপ খাওয়ানো কৃষি ব্যবস্থার পরীক্ষা নিরীক্ষা করতে লাগলো। এরই ফলশ্রুতিতে নব্বুইয়ের শুরুতে নয়াকৃষি আন্দোলন নামে প্রাণবৈচিত্র্য-নির্ভর কৃষি আন্দোলন শুরু হোল, যার নেতৃত্বে ছিলেন ক্ষুদ্র কৃষক ও নারী কৃষকরা। তাঁরা শুরু থেকে স্থানীয় বীজ রক্ষার জন্যে কাজ শুরু করলেন। নয়াকৃষির কৃষকরা আউশ, আমন ও বোরো ধান মিলে প্রায় ৩০০০ জাতের ধান সংগ্রহ করে রেখেছেন বীজ স¤পদ কেন্দ্রে। কৃষক নিজ নিজ বাড়ীতে বীজ রক্ষা করছেন এবং কয়েকটি গ্রাম মিলে একটি বীজ আখড়া স্থাপন করে শত শত জাতের বীজ সংগ্রহ করে রাখছেন। শুধু ধান নয়, ডাল, সবজি, ফল, মসলাসহ প্রয়োজনীয় সকল ধরণের বীজ সংগ্রহ করা হচ্ছে এবং কৃষকদের মধ্যে বিনিময় ও বিতরণ করা হচ্ছে। ফলের মধ্যে আমের জাত সংগ্রহ একটি অন্যতম প্রধান কাজ হিসেবে নেয়া হয়। এখন নয়াকৃষির সংগ্রহে ৫৪৭ জাতের আম গাছ আছে, ফল এসেছে প্রায় ৩০ জাতের। কোন প্রকার সার-কীটনাশক ব্যবহার ছাড়াই এসব জাত চাষ করা যায়, তাই কৃষকের আগ্রহ অনেক বেশী। কৃষকরা আগ্রহ ভরে একে অপরের কাছ থেকে এসব জাতগুলো নিচ্ছেন। এখন পর্যন্ত প্রায় ৩ লক্ষ ক্ষুদ্র ও মাঝারি কৃষি পরিবার নয়াকৃষি পদ্ধতিতে চাষাবাদ করছেন এবং তাদের এই চাষাবাদের কারণে একই সাথে প্রাণবৈচিত্র্য রক্ষা হচ্ছে। একটি কথা উল্লেখ করা প্রয়োজন সেটা হচ্ছে, নয়াকৃষির নেতৃত্বে রয়েছেন প্রধানত নারী কৃষক।

বিভিন্ন এলাকায় কৃষকের সাথে কাজ করতে গিয়ে এক পর্যায়ে জানা গেল, উর্বর খাদ্য ফসলের জমিতে অর্থকরী ফসল হিসেবে তামাক চাষ হচ্ছে ব্যাপকভাবে এবং কৃষকরা মাটির ক্ষতি, পরিবেশ ও মানুষের স্বাস্থ্যের ক্ষতি জেনেও এই ফাঁদ থেকে বের হতে পারছেন না। কুষ্টিয়া ও বান্দরবান এলাকার কৃষকদের অনুরোধে উবিনীগ তামাক চাষের ক্ষতি এবং খাদ্য ফসল চাষের সম্ভাবনার দিক নির্ণয়ের জন্য ২০০৬ সাল থেকে চার বছর গবেষণা কাজ পরিচালনা করে। যেসব কৃষক তামাক চাষের কারণে ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে তামাক চাষ থেকে বের হয়ে আসতে চেয়েছেন তাদের সরাসরি স¤পৃক্ততার মাধ্যমে তামাক চাষ বন্ধ করে খাদ্য ফসল উৎপাদন করা হয়। এই গবেষণার ফলাফল সম্বলিত ‘তামাকের শৃংখল থেকে মুক্তি’ শীর্ষক একটি গ্রন্থ বের হয়েছে। আন্তর্জাতিক গবষণা প্রতিষ্ঠান International Development Research Centre (IDRC) ২০০৬ সাল থেকে ২০১২ পর্যন্ত তামাকের বিকল্প ফসলের জন্যে এবং ২০১৩ থেকে ২০১৫ পর্যন্ত উবিনীগকে গবেষণা কাজে সহযোগিতা করে। এ ছাড়া জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, ইউনেস্কো ও বিভিন্ন দেশের বিশ্ব বিদ্যালয়, ও গবেষণা ও উন্নয়ন প্রতিষ্ঠানের সাথে কাজ করছে।

কৃষির পাশাপাশি শুরু থেকেই উবিনীগের গবেষণার একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে তাঁত শিল্পের সম্ভাবনা যাচাই করা। এদেশে তাঁত শিল্পের ঐতিহ্য অনেক পুরণো। ব্রিটিশ আমলে মসলিনের মতো মিহি কাপড় উৎপাদন করে মানচেস্টারের বাজারে কাপড় বিক্রি করা হোত। জমিদারদের জন্যে মিহি কাপড়ে নকশী কারুকাজ টাঙ্গাইলের তাঁতীরা করেছেন। কিন্তু এমন ঐতিহ্যের ইতিহাস থাকা সত্ত্বেও আশির দশকে টাংগাইলের তাঁতীদের বেকার অবস্থা দেখে উবিনীগ কিছু গবেষণার কাজ করল। সেই গবেষণায় দেখা গেল যে তাঁত শিল্পের এই দুর্ভোগের পেছনে কারণ হচ্ছে, সরকারীভাবে এই শিল্পকে কোন ধরণের পৃষ্ঠপোষকতা দেয়া হয় না। তাঁতীদের সুতা, রং, ডিজাইন ইত্যাদির ক্ষেত্রে কোন সহায়তা নাই, মহাজন নিজের মতো করে বাজারের চাহিদা নিরুপন করে কাপড় বুনতে দেন। তাতে করে সব সময় পরিবর্তনশীল বাজারের চাহিদার সাথে তাঁতীদের বোনা শাড়ী ও কাপড় বাজারে বিক্রি হয় না। তাঁতীরা বিপাকে পড়েন। ১৯৮৭ সালের দিকেই তাঁত শিল্প নিয়ে গবেষণা করতে গিয়ে উবিনীগের এই উপলব্ধি হয়েছিল। টাঙ্গাইলের তাঁতীরা তাঁদের বোনা কাপড় বাজারজাত করার পরামর্শ দিয়ে ১৯৮৯ সালে প্রবর্তনা প্রতিষ্ঠা করা হয়। আপাতঃদৃষ্টিতে এটা কাপড় বিক্রয়ের জায়গা হলেও এটা হয়ে গেল একইসাথে তাঁতী, কাপড় ব্যবহারকারী ভোক্তা, বিশেষ করে নারীরা, এবং নীতি নির্ধারণী মহলের সংযোগস্থল। ‘প্রবর্তনা’র ইতিহাস ব্যবসার ইতিহাস নয়, বরং দেশীয় শিল্পের বিকাশের ইতিহাস।

নারীগ্রন্থ প্রবর্তনা ও তামাক বিরোধী নারী জোট (তাবিনাজ)

নারীদের নিয়ে কাজ করতে গিয়ে উবিনীগ বাংলাদেশে নারীদের জন্য প্রথম এবং একমাত্র নারীগ্রন্থ কেন্দ্র ৯ ডিসেম্বর ১৯৮৯ সালে প্রতিষ্ঠা করে। বেগম রোকেয়া নারী আন্দোলনের সহায়ক এবং এর সাথে সক্রিয় ভূমিকা নেয়ার দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে নারীদের নিজস্ব একটি স্থান নারীগ্রন্থ প্রবর্তনা। নারীগ্রন্থ প্রবর্তনার কাজের দুটি দিক রয়েছে। ১. নারীদের লেখা বা নারীদের দ্বারা লেখা বই সংগ্রহ ও প্রকাশ করা। ২. নারী আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করা।

দেশ-বিদেশে নারীদের বই মেলায় অংশগ্রহণ করে নারীগ্রন্থ প্রবর্তনা নারীদের বই সংগ্রহ ও প্রচার করছে। শুধু বই বিক্রি ও প্রকাশনার মাধ্যমে সকল নারীর কাছে পৌঁচ্ছানো যায় না এবং সবার কথা জানাও যায় না। তাই সর্বস্তরের নারীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার জন্যে সোমবারে মেয়েদের আড্ডা চালু করা হয়। সপ্তাহে একটি নির্দিষ্ট দিনে এই আড্ডা করা হয় বলে সেই দিনের নামেই আড্ডা এখন বিখ্যাত হয়ে গেছে। এখানে নারীরা নারী আন্দোলনের উল্লেখযোগ্য ক্ষেত্রে নিজের অবস্থান নিশ্চিত করে নারী অধিকার অর্জনে সক্রিয় ভূমিকা রাখে।

নারীগ্রন্থ প্রবর্তনা বছরের কয়েকটি দিনকে বিশেষভাবে স্মরণ করে এবং এই উপলক্ষ্যে বিশেষ অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করে। যেমন ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস, ৯ ডিসেম্বর রোকেয়া দিবস, বিশ্ব খাদ্য দিবস, বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস, বিশ্ব পরিবেশ দিবস, আন্তর্জাতিক কীটনাশক ব্যবহার বন্ধ দিবস, বিশ্ব তামাক মুক্ত দিবস ইত্যাদি। নারীগ্রন্থ প্রবর্তনার অন্যতম একটি দিক হচ্ছে সমকালীন আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ত হওয়া। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে যে বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ মনে হয় এবং নীতিগতভাবে মেলে সেই বিষয় নিয়েই কথা বলে। নারী বিষয়ক ও সমাজের যে কোন সমস্যা নিয়ে নারীগ্রন্থ প্রবর্তনা শুরু থেকেই আন্দোলন করে আসছে এবং এখনও করছে।

নারীর জীবনের সাথে প্রাণবৈচিত্র্যের ঘনিষ্ট সম্পর্ক রয়েছে। নারীগ্রন্থ প্রবর্তনা এ বিষয়ে ব্যাপক সচেতনতা সৃষ্টি করতে পেরেছে। নারী উন্নয়ন বা নারী মুক্তির আন্দোলনে এই বিষয়টি খুব জোড়ালোভাবে হাজির করা হয় না। তার ফলে নারীরা নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। এটা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, নারীরাই এখনও প্রাণবৈচিত্র্য রক্ষা করছেন এবং তাদের জ্ঞানই আমাদের জন্য বড় সম্পদ। নারীগ্রন্থ প্রবর্তনা দীর্ঘদিন থেকে নারীর অধিকার রক্ষায় ও প্রাণবৈচিত্র্য রক্ষায় কাজ করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় ২০০৫ সালে নারী প্রধান সংগঠন নিয়ে নারী ও প্রাণবৈচিত্র্য নেটওয়ার্ক গড়ে তোলে। নেটওয়ার্ক সংগঠনগুলি তৃণমূল পর্যায়ে নারী ও প্রাণবৈচিত্র্য রক্ষায় কাজ করে আসছে।

নারীগ্রন্থ প্রবর্তনা নারী স্বাস্থ্য নিয়ে গবেষণার কাজ অনেক আগে থেকে করে আসছে। গবেষণায় দেখা যায় গ্রামীণ নারী স্বাস্থ্য ও প্রাণবৈচিত্র্য রক্ষায় সমাজে দাইরা অগ্রণী ভূমিকা রাখে। এখনও গ্রামের ৮৫% গর্ভবতী মহিলা দাইদের উপর নির্ভরশীল। দাইদের কাজের স্বীকৃতি ও তাদের লোকায়িত জ্ঞানের প্রসারের লক্ষ্যে নয়াকৃষি আন্দোলন দাইদের সংগঠিত করণের মাধ্যমে বিভিন্ন সভা, সমাবেশ, কর্মশালা, ও প্রশিক্ষণ কর্মশালার মধ্য দিয়ে একটি নেটওয়ার্কিং গ্রুপ তৈরী হয়েছে। দাইমাদের চাহিদা ও পরামর্শের ভিত্তিতে তাদের কাজের সহযোগিতা ও পরিচিতি বিস্তারের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে।

তামাক বিরোধী নারী জোট (তাবিনাজ)

নারী অধিকার প্রতিষ্ঠায় সংশ্লিষ্ট সকল বিষয়ের পাশাপাশি স্বাস্থ্য, পরিবেশ, প্রাণবৈচিত্র্য এবং কৃষিতে নারীর অবদান তুলে ধরার জন্য জেলা পর্যায়ের সংগঠনগুলোর সাথে নেটওয়ার্ক গড়ে তুলে কাজ করায় তারা বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে। নারীগ্রন্থ প্রবর্তনা সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য কাজের ক্ষেত্রে এ ধরণের বিস্তৃতি ঘটিয়েছে। একই সঙ্গে প্রকাশনা, তথ্য প্রচার ও বিভিন্ন কার্যক্রম হাতে নেয়ার মাধ্যমে নারীদের জন্য একটি প্রয়োজনীয় প্রতিষ্ঠান হিসাবে ধীরে ধীরে গড়ে উঠেছে।

তামাক ব্যবহার ও তামাক চাষে নানাবিধি ক্ষতির বিরুদ্ধে সংগ্রাম করতে গিয়ে নারীগ্রন্থ প্রবর্তনা বিশেষ ভাবে নারীর ক্ষতির দিকটি সামনে তুলে এনে তামাকের বিরুদ্ধে নারীকে সচেতন করা হয়। তামাক ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করবার এবং তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়ন করবার জন্য তামাক বিরোধী নারী জোট (তাবিনাজ) গঠন করা হয়েছে। বর্তমানে তাবিনাজ ৬৪ টি জেলায় ৭২ টি নারী সংগঠনের মাধ্যমে কাজ করছে এবং নারীগ্রন্থ প্রবর্তনা তাবিনাজের সচিবালয় হিসাবে কাজ করছে। তাবিনাজ এর সদস্যদের মধ্যে যোগসূত্র স্থাপনের ক্ষেত্রে নারীগ্রন্থ প্রবর্তনা ভূমিকা রাখছে। তাবিনাজের মাধ্যমে তামাকের স্বাস্থ্য, সামাজিক ও আর্থিক ক্ষতির দিক তুলে ধরে ব্যপকভাবে সচেতনতা সৃষ্টি করে তামাক উৎপাদন ও ব্যবহার নিয়ন্ত্রনের জন্য দেশব্যাপী কাজ করার জন্য উদ্যোগ নিয়েছে।

তাবিনাজের মূল উদ্দেশ্য

  • তামাক চাষ এবং তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার নিরুৎসাহিতকরণ।
  • ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) (সংশোধন) আইন-২০১৩ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে নীতিনির্ধারণী পযার্য়ে কাজ করা।
  • ধোঁয়াবিহীন (Smokeless tobacco) তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার বন্ধ করা।
  • পরোক্ষ ধূমপানের (Second hand smoking) শিকার হতে নারীদের রক্ষা করা।
  • ধোঁয়াবিহীন তামাক সেবন থেকে বিরত থাকার জন্য নারীদের সচেতনতা বৃদ্ধি করা।
  • তামাকজাত দ্রব্য উৎপাদন ও তামাক পাতা চাষের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে মানুষকে মুক্ত করা।

তাবিনাজ এ পর্যন্ত যে কাজ করেছে

  • ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ ও সংশোধনী আইন মত বিনিময় সভা
  • ৬৪টি জেলা এবং ৭৮টি সংগঠন নিয়ে নেটওয়ার্ক গঠন করেছে।
  • নারীর স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য বিড়ি, সিগারেট, জর্দা ও গুলসহ সব ধরণের তামাকজাত দ্রব্যের উপর কর আরোপের প্রস্তাবের কাজ ।
  • তামাক চাষের ক্ষতিকর প্রভাব তুলে ধরা।
  • ইস্যু ভিত্তিক মানববন্ধন, কর্মশালা, মতবিনিময় সভা, র্যা লির আয়োজন করা।

 


ছাপবার জন্য এখানে ক্লিক করুন



৫০০০ বর্ণের অধিক মন্তব্যে ব্যবহার করবেন না।