উবিনীগ


উন্নয়ন বিকল্পের নীতি নির্ধারণী গবেষণা

নয়াকৃষি বনাম আধুনিক কৃষি

নয়াকৃষি:

বাংলাদেশের কৃষকরা নয়াকৃষি আন্দোলন শুরু করেছেন সময়ের প্রয়োজনে। ১৯৯০ সাল থেকে শুরু হয়েছে এই আন্দোলন। নয়াকৃষি একান্তই কৃষকদের গবেষণার ফল। জ্ঞান-বিজ্ঞানের জগতে বাংলাশের কৃষকদের নিজস্ব অবদান। নয়াকৃষি একান্তই কৃষকদের গবেষণার ফল। জ্ঞান-বিজ্ঞানের জগতে বাংলাদেশের কৃষকদের নিজস্ব অবদান। হাজার হাজার কৃষক পরিবার এই আন্দোলনের সঙ্গে আজ সরাসরি যুক্ত। ২০২৪ সালে এ সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৫০,০০০ (তিন লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) কৃষক পরিবার। অনুরাগী ও সমর্থক তো আছেনই। এ সংখ্যা দিনে দিনে বাড়ছে।

বীজ ও প্রাণবৈচিত্র্য নয়াকৃষির বিশেষ বৈশিষ্ট্য। সার ও বালাইনাশক মুক্ত অন্যান্য জৈব চাষাবাদ পদ্ধতির সঙ্গে ন (আরো পড়ুন )


বীজ সঞ্চয়

বীজ সঞ্চয় বলতে বীজ শুকানো এবং বীজ রাখার জন্য প্রয়োজনীয় সংরক্ষণ তাপমাত্রা ও সহযোগী পরিবেশ বোঝায়।বীজ সংগ্রহ থেকে পরবর্তী বপনের সময় পর্যন্ত সংরক্ষণ করা। বীজ সংগ্রহ থেকে পরবর্তী বপনের সময় পর্যন্ত সংরক্ষণ করা। প্রায় দশ হাজার বছর আগে মধ্যপ্রাচ্যে জমি চাষ শুরুর পর থেকে বীজ সঞ্চয় করে রাখা মানব সভ্যতার একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়ে আছে।

বীজ সঞ্চয়ের উদ্দেশ্য:

বীজ সঞ্চয়ের উদ্দেশ্য হলো বীজগুলিকে কার্যকর অবস্থায় বাঁচিয়ে রাখা। সে বীজ যাতে অঙ্কুরিত হতে পারে এবং সুস্থ্য সবল চারা হয়। চাষাবাদের জন্য বীজ কয়েক বছর ধরে রাখা যেতে পারে। তবে সাধারণত এক মৌসুম থেকে পরবর্তী মৌসুমে বপন সম (আরো পড়ুন )


এই সময়ের সবচেয়ে জরুরি কাজ মানবাধিকার রক্ষা করা

আসন্ন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে গত ১৫ নভেম্বর; এই তফসিল ঘোষণা না করার জন্য রাজনৈতিক দলগুলো বারে বারে আহবান করেছে। আন্তর্জাতিক মহল থেকেও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আলোচনার প্রস্তাব করা হয়েছে। কিন্ত তবুও প্রধান নির্বাচন কমিশনার হাবিবুল আউয়াল জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছেন। পুরো ভাষণে কোথাও তিনি প্রিয় দেশবাসীকে বলতে পারেননি যে সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বা তিনি করতে পেরেছেন।

শুরু করছি একটি ভাল খবর দিয়ে। সেটা হচ্ছে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের দুই মামলায় কারাগারে থাকা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী খাদিজাতুল কুবরার জামিন বহাল হয়েছে। এখন আর তার মুক্তিতে বাধা নেই। তিনি প্রায় পনের মাস ধরে কারা (আরো পড়ুন )


বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ ও আমাদের পরিস্থিতি

বিশ্বব্যাংক প্রতিষ্ঠা লগ্ন (১৯৪৬) থেকেই গরিবী দূর করা ও উন্নয়নের কথা বলে আসছে; এখন তার সাথে যুক্ত হয়েছে জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি; কাজেই উন্নয়নের কথা বলার পাশাপাশি বাসযোগ্য পৃথিবীর কথা যুক্ত করা হয়েছে। বলাবাহুল্য, বিশ্বব্যাংক এবং তাদের সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলোকে স্বীকার করতে হচ্ছে যে পৃথিবী আর বাসযোগ্য নেই।

বিশ্বব্যাংক ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)-এর বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ৯ থেকে ১৫ অক্টোবর, ২০২৩, মারাকেশ, মরোক্কোতে। এই সভা বিশ্বব্যাংক ও তার সহযোগী প্রতিষ্ঠান– যাদের একযোগে বলা হয় ওয়ার্ল্ড ব্যাংক গ্রুপ (ডব্লিউবিজি)– তাদের বিশ্বময় কার্যকলাপের আলোচনা ও পর্যালোচনা করা হয়। বিশ্বব্যংক এই সম্মেলনে বাসযোগ্য পৃথিবীত (আরো পড়ুন )


পানির সংকট: এক কঠিন বাস্তবতায় আমরা

আমরা যেদিন থেকে বোতলে পানি কিনে খেতে শুরু করেছি, সেদিন থেকেই আমাদের অজান্তে এবং না বুঝেই পানি সংকটের বাস্তবতার একটি ধাপে পা দিয়েছি। আমরা স্বীকার করে নিয়েছি পানির সংকট আছে।

আমরা মনে করেছি, বোতলের পানি "নিরাপদ"; টিউবওয়েল কিংবা পুকুরের পানি খেলে নির্ঘাত ডায়রিয়া হবে। ঢাকার কলের পানি ফুটিয়ে খাওয়া যায়, কিন্তু ঢাকার বাইরে গ্রামের পানি 'অ-নিরাপদ"।

এই ধারণা অত্যন্ত শক্তিশালী ব্যবসায়িক সাফল্য এনে দিয়েছে। ত্রিশটি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের পানির ৫০০ মিলি লিটারের বোতলের দাম ১৫ বা ২০ টাকা। এরও আবার ব্র্যান্ড আছে , ব্র্যান্ড-ভেদে তৃষ্ণা মেটাবার চাহিদাও আছে। দেশে বছরে ৩৫-৪০ কোটি লিটার বোতলের পানি বিক্রি হয়, এবং ২০% হারে ব্যবসা বাড়ছে (TBS, 22 March (আরো পড়ুন )


কপ২৭: লস এন্ড ড্যামেজ সমঝোতা একমাত্র সমাধান নয়, আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে

লস এন্ড ড্যামেজ সমঝোতা করে যদি ধনী দেশগুলো মনে করে থাকে যে তারা ভুক্তভোগী এবং ক্ষতিগ্রস্ত দেশের প্রতি তাদের দায় সেরেছে তাহলে খুব ভুল হবে। জি-৭৭/চিন এর পক্ষ থেকে বলা হয়, উন্নয়নশীল দেশগুলো এখন মারাত্মক জলবায়ু দুর্যোগের শিকার; কাজেই তাদের অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্যে সহযোগিতা করার অর্থ কোন দয়া বা চ্যারিটি নয়, এটা জলবায়ু-ন্যায়বিচার।

বহুল আলোচিত জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত জাতিসংঘ ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশনের (UNFCC) কনফারেন্স অব দ্য পার্টির ২৭তম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। নভেম্বর মাসের ৪ থেকে ১৮ তারিখ পর্যন্ত হওয়ার কথা থাকলেও লস এন্ড ড্যামেজ তহবিল নিয়ে তুমুল দেন দরবার শেষে সময় বাড়িয়ে ২০ নভেম্বর ভোরে এক সমঝোতার মাধ্যমে শেষ হয়েছে। শেষ দিকে ১৬ নভেম্বর থেক (আরো পড়ুন )


আফ্রিকার দেশ সেনেগালে 'জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে কৃষি ধ্বংস এবং তাদের জীবন জীবিকার উপর মারাত্মক প্রভাব'

সোমবারের আড্ডায়:

২০ জুন, ২০২২ নারীগ্রন্থ প্রবর্তনা, ৬/৮ স্যার সৈয়দ রোড, মোহাম্মদপুরে সোমবারের আড্ডার সদস্য ৩২ জন প্রস্তুতি নিয়ে এসেছিলেন জলবায়ু বিষয়ে আলোচনার জন্যে। কারণ জলবায়ু দুর্যোগ এখন বাস্তব হয়ে উঠেছে। এই প্রসংগে আলোচনার জন্যে উপস্থিত ছিলেন ফরিদা আখতার। সম্প্রতি তিনি পশ্চিম আফ্রিকার দেশ সেনেগালে (২৭ মে থেকে ৪ঠা জুন, ২০২২) জলবায়ু বিষয়ে একটি সম্মেলনে অংশগ্রহণ করে এসেছেন। সম্মেলনের আয়োজকরা হলেন, “গ্লোবাল ওয়াকিং গ্রুপ বিঅন ডেভেলপমেন্ট”। স্বাভাবিক আড্ডার চেয়ে সেদিন একটু আনুষ্ঠানিক আলোচন হয়ে গিয়েছিল। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন সীমা দাস সীমু।

ফরিদা আখতার সেনেগাল সম্মেলনের আলোচনা শুরুর আগে বাংলাদেশের বন্যা পরিস্থিতি নি (আরো পড়ুন )


আবহাওয়া অস্থির, বিশ্ব পরিস্থিতিও খাদ্য সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে

দেশের এক এক অঞ্চলে এক এক রকম আবহাওয়া, কোথাও বন্যা, কোথাও তীব্র খরা। বাংলাদেশে সারা বছরই কোন না কোন ফসল বোনা ও কাটার সময় থাকে, কাজেই অবহাওয়ার তারতম্য সরাসরি ফসলের ওপর প্রভাব ফেলেছে।

এ বছরের শুরু থেকে আবহাওয়াকে খুব অস্থির দেখছি। শীতকালে ভালই শীত পড়ল, সাথে অসময়ের বৃষ্টি হলো কয়েকবার। মাঘের শেষের বৃষ্টি মাসের মাঝখানেই হলো, ফাল্গুনেও বৃষ্টি হলো। আবার চৈত্র-বৈশাখে বৃষ্টি নেই, একটা কাল বৈশাখিও হলো না ঠিক মতো।

প্রচন্ড তাপমাত্রা বেড়ে গেল। দেশের এক এক অঞ্চলে এক এক রকম আবহাওয়া, কোথাও বন্যা, কোথাও তীব্র খরা। এক কথায় জলবায়ু পরিবর্তন কিংবা জলবায়ু দুর্যোগে আমরা অন্যান্য দেশের মধ্যে পড়ে গিয়েছি।

বাংলাদেশে সারা বছরই কোন না কোন ফসল বোনা ও (আরো পড়ুন )


নাহিদ হত্যা: বাবা বিচার না চেয়ে সবার বিবেকে আঘাত করেছেন

আসলে তাঁরা বলতে চেয়েছেন বিচার পাই না, ন্যায়বিচার হয় না, অপরাধীরা পার পেয়ে যায় তাই বিচারের প্রহসন চাই না। বিচার চাইতে পাল্টা আরো নির্যাতনের শিকার হবার আশংকায় কেউ এখন আর বিচার চায় না।

রমজান মাসে ঈদের বাজারের জন্য মধ্যবিত্তদের কাপড়-চোপড়সহ সকল পণ্যের কেনাকাটার একটি এতিহ্যবাহী স্থান হচ্ছে নিউ মার্কেট। নাম নিউ মার্কেট হলেও এর বয়স সত্তর বছর হচ্ছে প্রায়। তৎকালীন সময়ের আধুনিক বিপণি কেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠেছিল আধুনিক নামে 'নিউ মার্কেট'। সেই ঐতিহ্য এই কালে এসেও এতো শপিং মলের দাপটেও বিন্দুমাত্র কমাতে পারে নি।

নিউ মার্কেট একা নয়, এর আশে পাশে আরও বেশ কয়েকটি মার্কেট যেমন আছে তেমনি আছে অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, যেমন ঢাকা কলেজ, ইডেন গার্লস কলেজ, এ (আরো পড়ুন )


শিক্ষার্থীদের অনশন: দাবি না মেনে পার পাওয়া যাবে না!

শিক্ষামন্ত্রী নিজেকে একজন ‘মা’ বলে পরিচয় দিয়েছেন। কিন্তু তিনি একজন নারী হিসেবে কী করে উপাচার্যের নারীর প্রতি অসৌজন্যমূলক বক্তব্য মেনে নিচ্ছেন সেটা বোধগম্য হলো না। তাকে একবারও বলতে শোনা যায় নি উপাচার্যের বক্তব্য ঠিক না।

সর্বশেষ খবরে ( ২৪ জানুয়ারি, ২০২২) জানা গেছে, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ মোবাইল ফোনে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলামের কাছে ছাত্রীদের নিয়ে করা তার অশালীন, নারীবিদ্বেষী বক্তব্যের জন্য দুঃখ প্রকাশ করে ক্ষমা চেয়েছেন। জাবির জনসংযোগ কার্যালয়ের পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। আঠারো জানুয়ারি তার (আরো পড়ুন )


অভিযান-১০: দায়িত্বহীনতা ও কর্তব্যের অবহেলার আগুনে পুড়েছে মানুষ

কেন এত নিরীহ মানুষের এভাবে প্রাণ দিতে হলো, কেন মায়েরা তার সন্তানকে ধরে রাখতে পারলেন না; কেন পরিবারের সদস্যরা একে অপরের কাছ থেকে ছিটকে পড়লেন, কেউ লাশ হলো, কেউ রক্ষা পেল আর কেউ এখনো নিখোঁজ?

গত কয়েকদিন জুড়ে আমরা দেখছি এবং শুনছি কি করে অভিযান-১০ লঞ্চটি ঢাকা থেকে বরগুনা যাওয়ার পথে ঝালকাঠির গাবখানের কাছাকাছি সুগন্ধা নদীতে পানির ওপর থাকা অবস্থায় ভয়াবহ আগুনে পুড়েছে। প্রায় ৪১ জন মৃত্যুবরণ করেছেন, আহত হয়েছেন প্রায় দুই শতাধিক। নিখোঁজের সংখ্যা জানা নাই। মৃত্যুর সংখ্যা পরে আরও বেড়েছে।

ঘটনাটি ঘটেছে ২৪ ডিসেম্বর ভোর রাত ৩টার পর, তখন যাত্রীদের অধিকাংশ ঘুম ছিল। তারা ভাবতেও পারেননি যে তাদের গন্তব্যে পৌঁছানোর আর সম্ভাবনা নেই। আগুন টের পাওয়ার পর (আরো পড়ুন )


বাজেট যেমন বড়, তেমনি বড় হতাশা

বাজেটে স্বাস্থ্য খাতকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে। এই অগ্রাধিকার টাকার অংকে বেড়েছে মনে হলেও কার্যক্ষেত্রে তা কতটুকু বেড়েছে এবং কতটুকু জনগণের কাজে আসবে সেটা নিয়ে প্রশ্ন আছে।

সবচেয়ে বড় অংকের বাজেট ঘোষিত হয়েছে। বাংলাদেশের ৫০তম বাজেট (২০২১-২২ অর্থ বছরে) ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ হাজার কোটি টাকার। জনগণের জন্য বাজেটে বৃহৎ অংক দিয়ে প্রমাণের দরকার পড়ে না। দ্বিতীয়ত এতো টাকা আসবে কোত্থেকে? যাদের কর দেবার তারা দিল না, বরং উলটা সুবিধা পেল। ব্যয় বাড়লো সাধারণ মানুষের, যার কোন সুবিধা তারা পেল না। কাদের জন্য বাজেট বোঝা যায় অর্থনীতির বিভিন্ন খাতে বরাদ্দের পরিমাণ ও তার বাস্তবায়নের অবস্থা দেখে। তাছাড়া বাজেটের টাকার জোগাড় দিতে হয় জনগণকেই। রাষ্ট্রের খাইখরচ (আরো পড়ুন )


এই ‘লকডাউন’ কতোটা কাজে আসবে?

'কাজ নাই তো খাদ্য নাই'- এমন অবস্থা যাদের, তাদের কথা ভেবে ব্যবস্থা নিন। তাদের কাছে জীবন আগে না জীবিকা আগে- এমন গোলকধাঁধা সৃষ্টি করে কোনো লাভ নেই।

সারাদেশে 'লকডাউন' চলছে। অফিস আদালত, গণপরিবহণসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও কার্যক্রম এপ্রিলের ১৪ তারিখ থেকে ২১ তারিখ পর্যন্ত বন্ধ বা আধা-বন্ধ করে দেওয়ার জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ১৩ দফা নির্দেশনাসহ প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। প্রজ্ঞাপনের বিষয় হিশেবে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসজনিত রোগ কোভিড-১৯-এর বিস্তার রোধকল্পে সার্বিক কার্যাবলি/চলাচলে বিধি-নিষেধ আরোপ।

এই বিধি-নিষেধ দেওয়ার কারণ করোনাভাইরাস পরিস্থিতির অবনতি, অর্থাৎ সংক্রমণ ও মৃত্যু উভয়ই বেড়ে যাওয়া।< (আরো পড়ুন )


করোনাভাইরাস ও মানবাধিকার লঙ্ঘন

করোনাভাইরাসের কারণে অসুস্থ হয়ে নয়; গরিব ও বঞ্চিত গোষ্ঠী ভুগছে করোনা ঠেকানোর অসম ও নিবর্তনমূলক ব্যবস্থার কারণে। বিশ্ব মানবাধিকার পরিস্থিতি আরও সংকটময় হয়ে উঠেছে। এই সংকট আইসিইউ’র ব্যবস্থা করলেই সমাধান করা যাবে না, ভ্যাকসিনেও সমাধান নেই। নিতে হবে মানবিক বিচারে মানুষের কর্মসংস্থানের ও জীবন-জীবিকার ব্যবস্থা।

(আরো পড়ুন )


বিষের বাণিজ্য

বিগত পঞ্চাশ-ষাট বছরে সারা বিশ্বের কৃষিতে খুব দ্রুত নানা পরিবর্তন আনা হয়েছে। কৃষির প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্যে বদল ঘটিয়ে কৃষির রূপান্তর ঘটানো হয়েছে কলকারখানার আদলে। কৃষি আর কৃষি থাকেনি, হয়ে গিয়েছে খাদ্য উৎপাদনের কারখানা বা ইন্ডাস্ট্রি। কৃষি হয়ে উঠেছে শিল্প-কারখানার মতোই খাদ্য উৎপাদনের ফ্যাক্টরি।

কিন্তু আদিতে কৃষি প্রাকৃতিক বিবর্তনের অন্তর্গত প্রক্রিয়া হিসেবে হাজির হয়েছিল, যা ছিল মানুষের সঙ্গে প্রকৃতির সম্বন্ধ চর্চার একটি ধরন। বলাবাহুল্য, এ সম্বন্ধ আমূল বদলে দেয়া হচ্ছে। প্রকৃতি হয়ে উঠেছে নিছকই উৎপাদনের উপায় মাত্র। অথচ প্রাকৃতিকভাবেও কৃষির বিবর্তন হয়ে এসেছে শত শত বছর ধরে। যার কারণে ফসলের জাতের সংখ্যা বেড়েছে, ধরন বদলেছে। মানুষ তার সামাজিক, সাং (আরো পড়ুন )


বন্যায় কৃষক ও কৃষি ফসলের ক্ষয়ক্ষতি

টাঙ্গাইল জেলার দেলদুয়ার উপজেলার লাউহাটি ইউনিয়নের ১০টি গ্রাম স্বল্পনাড়ু পাঁচুরিয়া, ডামখন্ড, তাঁতশ্রী, কাতুলী, তারটিয়া, পাহাড়পুর, ভবানীপুর, হেরন্ডপাড়া, চরলাউহাটি ফাজিলহাটি ইউনিয়নের বটতলা, ফাজিলহাটি, শশিনারা, মোমিননগর, জানমাবুদআবাদ, আটিয়া ইউনিয়নের নান্দুরিয়া, গড়াসিন, গোয়ারিয়া, কান্দাপাড়া, মৌসাকাঠালিয়া, নাল্লাপাড়া, আটিয়া, জাঙ্গালিয়া, মামুদপুর গ্রামে বন্যার পানি আসায় মানুষ, গবাদী পশু, হাঁস-মুরগী, বাড়ির পালানে, মাঠে আবাদ করা ধান, সবজীর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

পাঁচুরিয়া গ্রামের কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা যায় গত ১ সপ্তাহ ধরে বন্যায় মানুষের অপুরণীয় ক্ষতির সম্মুখীন হচেছন। মাঠে চাষ করা ছিট বোনা ভাওইলাদিঘা, চামারা, ঢেপর এবং বিআর-১১, মধুশাইল, কাল (আরো পড়ুন )


বাংলাদেশে কৃষকদের নতুন পথ দেখিয়েছে ‘নয়াকৃষি আন্দোলন’  

বাংলাদেশের কৃষকরা দেশের জন্য খাদ্য উৎপাদন করছে, কিন্তু এরপরও সেই শস্য বাজারজাত করে সেখান থেকে একটা মর্যাদার জীবিকা নির্বাহ করাটা তাদের জন্য কঠিন হয়ে গেছে। আসলে, ব্যবসায়ের শর্তগুলো সবসময়ই রফতানিমুখী শিল্প খাতের তুলনায় কৃষিখাতের স্বার্থের বিপক্ষে ছিল।

এই বেদনাদায়ক পরিস্থিতির মধ্যেও কৃষকরা যে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে, সেটি সত্যিই বিস্ময়কর। তারা ভালোমানের শীতকালীন শস্য উৎপাদনে সক্ষম হয়েছে। কিন্তু সেই সাফল্যটাও এখন তাদের জন্য হতাশার হয়ে গেছে। বহুজাতিক সংস্থাগুলোর ‘উন্নয়ন’ নির্দেশনা মেনে যে নব্য-উদার বিশ্ব ব্যবস্থা গড়ে উঠেছে, সেখানে কৃষির উপর শিল্পকে প্রাধান্য দিয়ে সরকারের গৃহীত নীতির বোঝাটা বাধ্য হয়ে কৃষকদেরকেই বহন করতে হচ্ছে।

(আরো পড়ুন )

0

(আরো পড়ুন )

সোনার হৃৎপিন্ড পান

পান একটি বহুবর্ষজীবি চিরহরিৎ লতা। মানুষের হৃৎপিন্ডের আকৃতির সাথে পানপাতার সাদৃশ্য লক্ষণীয়। কৃষি সভ্যতা বিকাশের বহু আগে থেকে মালয়শিয়া, থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া, শ্রীলংকা, মায়ানমার, ভারত, ফিলিপাইন, ভিয়েতনাম ও লাওসে পান পাতা ব্যবহারের নিদর্শন পাওয়া যায় (খ্রীষ্টপূর্ব ২৬০০-৭০০০)। পানের আদি নিবাস মালয়শিয়া। পরবর্তিতে চীনা ও আরব বনিকরা এশিয়ার বিভিন্ন দেশে পানের আবাদ ও ব্যবহার বিস্তার করেন। পরে মাদাগাস্কারসহ পূর্ব আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে পানের আবাদ ও ব্যবহার সম্প্রসারিত হয়। আরো পরে মধ্য আমেরিকা পর্যন্ত পানের আবাদ সম্প্রসারিত হয়।

দীর্ঘকাল ধরে দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় পান সামাজিক ও আচারগত ব্যবহার হিসাবে চলে আসছে। যেমন জন্ম, মৃত্যু, বিবাহ, যে (আরো পড়ুন )


 ফকির লালন সাঁইজীর গৌরপূর্ণিমা উৎসব ১৪২৫ অনুষ্ঠিত হলো  

কুষ্টিয়ার কুমারখালী, ছেঁউড়িয়াতে, ২০ মার্চ থেকে ২২ মার্চ পালিত হলো ফকির লালন সাঁইজীর গৌরপূর্ণিমা উৎসব ১৪২৫।

নবপ্রাণ আখড়াবাড়িতে এবারের গৌরপূর্ণিমা উৎসবে যে গানটি বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে সেটি হলো ‘এমন বয়সে নিমাই ঘর ছেড়ে ফকিরি নিলে, ধন্য মায়ের নিমাই ছেলে’...।

লালনের এই গুরুত্বপূর্ণ গানটি তেমন ভাবে চর্চায় ছিল না বলা যায়।

তিনদিনের উৎসবে নবপ্রাণ আখড়াবাড়িতে প্রতিদিন ভোর ৬ টায় লালন সাঁইজির গোষ্ঠ গান দিয়ে দিনের শুরু হয়েছে। এবং রাত ৮টা পর্যন্ত লালন সাঁইজির বিভিন্ন ধারার গান পরিবেশিত হয়েছে। বিশেষ করে পরিবেশিত হয়েছে লালন সাঁইজির গৌর গান- "এনেছে এক নবীন গোরা নতুন আইন নদীয়াতে", "গোল করো না ও নাগর (আরো পড়ুন )


বনলতা সাহিত্য পরিষদের সাথে নারীগ্রন্থ প্রবর্তনার আলোচনা সভা

নারীগ্রন্থ প্রবর্তনায় আজ ১৪-১১-২০১৭ বনলতা সাহিত্য পরিষদের সদস্যদের সংগে নারীগন্থের নির্বাহী পরিষদের এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার শুরুতে নারীগ্রন্থ প্রবর্তনার পক্ষ থেকে সাইদা আখতার কুমকুম সবাইকে স্বাগত জানান।

অনুষ্ঠানের শুরুতে বনলতা সহ সভাপতি ও নারীগ্রন্থ প্রবর্তনার নির্বাহী সদস্য সুফিয়া রহমান স্বাগত বক্তব্যে বনলতা সাহিত্য পরিষদের আত্মপ্রকাশ, বনলতা ত্রৈমাসিক পত্রিকার প্রকাশনা পরিষদের কার্যক্রমের বিবরণী তুলে ধরেন। তিনি বলেন বনলতা পরিষদ ১৯৯১ সালে রাজশাহীতে নাসরিন রহমানের প্রচেষ্টায় তার বাড়িতে শুরু হয়।

বনলতা পরিষদের বর্তমান সভাপতি মাসুমা আলম বলেন, নারী লেখকদের লেখা পুরুষ পত্রিকার সম্পাদকগণ উপেক্ষার দৃষ্টিতে দেখেন। এই দৃষ্ট (আরো পড়ুন )


ফকির লালন শাহ-এর গৌর পূর্ণিমার অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণঃ নবপ্রাণ আখড়াবাড়ি

“এমন বয়সে নিমাই ঘর ছেড়ে ফকিরী নিলে ধন্য মায়ের নিমাই ছেলে, ধন্য মায়ের নিমাই ছেলে” - ফকির লালন শাহ এবার ১৪২৩ বাংলা সালে গৌর পূর্ণিমা ২৭ ফাল্গুন (১১ মার্চ ২০১৭)। শ্রী গৌরাঙ্গ এই ফাল্গুনি পূর্ণিমাতেই নদিয়ায় নিজের আবির্ভাব ঘটান; অবতরণ করেন। জননী শচিদেবী সন্তানের নাম রেখেছিলেন ‘নিমাই’, তাঁর রূপের জন্য পাড়ার লোক নাম দিয়েছিল ‘গোরা’ (গৌরাঙ্গ), গুরু নাম দিয়েছিলেন কৃষ্ণচৈতন্য, সেখান থেকে চৈতন্য। তিনি নদিয়ার প্রথম ‘ফকির’। জ্বি, ‘ফকির। নদিয়ার সাধকদের কাছে তিনি ‘ফকির’ বলেই প্রসিদ্ধ। গৌর পূর্ণিমা নদিয়াবাসীদের জন্য জয়ধ্বণির দিন; ধন্যরে নদিয়াবাসী হেরিল গৌরাঙ্গ শশী যে বলে জীব সেই সন্যাসী লালন (আরো পড়ুন )


লালন সাঁইজীর ১২৬ তম তিরোধান দিবস, নবপ্রাণ আখড়াবাড়ি, ছেঁউরিয়া, কুষ্টিয়া

“কে তোমার আর যাবে সাথে”

পহেলা কার্তিক, ১৬ অক্টোবর। লালন ফকির ভক্ত-অনুরাগীদের জন্য কার্তিকের এইদিনটি বিশেষ দিন। এইদিনে ১২৬ বছর আগে ফকির লালন সাঁইজী কুষ্টিয়ার ছেঁউড়িয়ায় তিরোধান করেন। এবারেও তাঁকে স্মরণ করতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে সাধু-গুরু, লালন ভক্ত ও অনুসারীরা কুমারখালি, কুষ্টিয়ার ছেঁউড়িয়াতে লালান স্মৃতিধামে হাজির হন।

লালনের তিরোধান ও দোল উৎসবকে কেন্দ্র করে প্রতিবছর দুটো বড় অনুষ্ঠান হয়। প্রধান উদ্যোক্তা লালন একাডেমি। পাশাপাশি অন্যান্য সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানও তাদের নিজ নিজ উদ্যোগে অনুষ্ঠান করে থাকে। লালন একাডেমির বিপরীতে রয়েছে নবপ্রাণ আখড়াবাড়ি। লালন একাডেমির সঙ্গে সমন্বয় রেখে আখড়াবাড়ি তাদের (আরো পড়ুন )


কুষ্টিয়ার ছেঁউড়িয়াতে ফকির লালন সাঁইজীর দোল উৎসব চলছে

ফকির লালন সাঁইজীর দোল উৎসব চলছে কুষ্টিয়ার ছেঁউড়িয়াতে। বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা থেকে মানুষ বাসে চড়ে, ট্রেনে, গাড়িতে, ভ্যান গাড়ীতে এবং বিপুল সংখ্যক মানুষ পায়ে হেঁটে সাঁইজীর ধামের দর্শন করতে আসেন। তারা বছরে দুবার, দোল উৎসব চৈত্র মাসের পুর্ণিমায় এবং সাঁইজীর তিরোধান (১ লা কার্তিক) উপলক্ষে, আসতে না পারলেও অন্তত একবার আসার চেষ্টা করেন। তবে এবার লক্ষ করলাম আগত ভক্তদের সংখ্যা অন্যবারের চেয়ে উল্লেখযোগ্যভাবে কম। তার একটি কারণ হতে আশে পাশের ইউনিয়নে নির্বাচন হওয়ার জন্যে হয়তো অনেকে আসতে পারে নি। তাঁদের অধিকাংশ একেবারে সাধারণ মানুষ, ৯০ ভাগই কৃষক, দিন মজুর, ছোট ব্যবসায়ী, ছোট চাকুরি করেন এমন মানুষ। তাদের থাকার ও খায়া দাওয়ারও কোন ব্যবস্থা সব সময় ঠিক থাকে না। (আরো পড়ুন )


নারীগ্রন্থ প্রবর্তনায় লেখিকাদের সভা

শুধু নারী নির্যাতন নয়, নারীকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক বা অন্যান্য বিষয়ে বর্তমান সমাজে যে পরিস্থিতি বিরাজ করছে তা নিয়ে লেখিকারা কি ভাবছেন এবং করণীয় কি সে বিষয়ে ২২ আগস্ট, ২০১৭ বিকেল ৩:৩০ টায় ঢাকায় নারীগ্রন্থ প্রবর্তনার কার্যালয়ে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

কবি এবং লেখিকাদের নিয়ে এই সভায় উপস্থিত ছিলেন-সুফিয়া রহমান, মালেকা ফেরদৌস, ড. সৈয়দা মোতাহেরা বানু, প্রফেসর অনামিকা হক লিলি, নাজমা আরেফিন, লিলি হক, রিফাত আরা শাহানা। আরও উপস্থিত ছিলেন সোমবারের আড্ডার সদস্য, উন্নয়কর্মী, শিক্ষক এবং গবেষক ফেরদৌস আখতার লিলি, তাসনীম ফেরদৗস, তাহমিনা হাবীব, সেলিনা রশিদ, সাইদা আখতার, রুবীনা রহমান, শিরীন আজীজি, রোকেয়া বেগম ও সীমা দাস সীমু। সভা (আরো পড়ুন )


মিডিয়ার ইচ্ছা-অনিচ্ছা!

লোকে প্রায় বলে আপনারা অনেক জাতীয় গুরুত্বপুর্ণ কাজ করেন কিন্তু প্রচার কম। কথাটি সত্যি। আসলেই অনেকে জানেন না আমাদের যেসব কাজ গ্রামে-গঞ্জে রয়েছে তার কোন জাতীয় মূল্য রয়েছে কিনা। আমাদের পরিচিতজনেরা দেখে মুগ্ধ্ব হন এবং আক্ষেপ করেন প্রচার নাই কেন! কিন্তু শুধু প্রচারের জন্য কাজ করার তো কোন অর্থ নাই। একটি কাজ আর দশটি প্রচার – এটা আমাদের নীতি নয়। তাই প্রচারের জন্য যে সময় দেয়া দরকার তা আমরা দেইনি। কিন্তু যদি দিতামও তাহলে কি আমাদের দেশে প্রচারের যে সব মাধ্যম রয়েছে তারা এগুলো গ্রহণ করতো? তার জন্যও এক ধরণের প্রস্তুতির প্রয়োজন হয়, কারণ যে সকল ক্ষেত্র নিয়ে কাজ করি সেই ক্ষেত্রগুলো সম্পর্কে সমাজে কিছু প্রাথমিক সচেতনতা ও বোঝার আগ্রহ আগে তৈরি করা দরকার। (আরো পড়ুন )


পাঁচফোঁড়ন

পাঁচফোড়ন কি?

পাঁচটি মসলা জাতীয় খাদ্যের বীজ রান্নার পরে ‘ফোঁড়ন’ হিসাবে ব্যবহারকে পাঁচফোঁড়ন বলে। ‘ফোঁড়ন’ মানে হাল্কা তেলে কিম্বা ঘিয়ে বীজগুলো টেলে রান্না বা সেদ্ধ করা শাক বা শব্জির ওপর দেওয়া। ব্যস। উদ্দেশ্য হচ্ছে শাকশব্জির ঘ্রাণ ও স্বাদ উসকে দেওয়া। গরম তেল বা ঘিয়ে বীজগুলো লাফায়। আমাদের রান্না পদ্ধতির মধ্যে এই প্রকার ‘উসকানি’র গুরুত্ব অপরিসীম। এখান থেকে আমরা ‘ফোঁড়ন’ কাটা কিম্বা কারো কথায় উসকানি দেওয়া অর্থে শব্দটি ব্যবহার করি।

তেলে কিম্বা ঘিয়ে টেলে বীজের দানার ‘ফোঁড়ন’ দেওয়া কথাটা সম্ভবত ভোজপুরি বা মৈথিলী ভাষা থেকে আ (আরো পড়ুন )


মোরগমুরগির বৈচিত্র ও নয়াকৃষিতে নতুন জাত সংযোজন

মাত্র পঁচিশ বছরের মধ্যেই কৃষকের ঘরের মোরগমুর্গির জাতের বৈচিত্র ক্ষয় পেল!

এই দেশের মানুষকে ডিম আর মোরগ-মুর্গির সরবরাহ দিয়ে এসেছে কৃষক পরিবার। বদ্ধঘরে কারখানার মডেলে মুর্গিপালনের আবির্ভাব ঘটেছে সম্প্রতি। বাংলাদেশে আধুনিক পোল্ট্রি খামারের আবির্ভাব গত শতাব্দির নব্বই দশকের শুরুর দিকে। খুবই দ্রুত দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক উন্নয়নের অর্থ খরচ করে নতুন একটি বেসরকারি বিনিয়োগ ও মুনাফার ক্ষেত্র হিসাবে একে গড়ে তুলতে গিয়ে দেশী জাতের মুর্গির বিলুপ্তি যেমন ত্বরান্বিত করা হয়েছে, তেমনি পশুপাখি পালনের জন্য যে প্রকৃতি ও পরিবেশ সংরক্ষণের জ্ঞান দরকার, তারও ক্ষয় ঘটেছে দ্রুত। জমি ব্যবহারের ধরণেও গুণগত পরি (আরো পড়ুন )


শ্রমিকের অধিকার নেই, তবুও অমর হোক মে দিবস

মে দিবসে (বা পহেলা মে) শ্রমিকের কী অধিকার নিয়ে সংগ্রাম করতে হবে তা হয়তো বেশির ভাগ শ্রমিক ও অনানুষ্ঠানিক খাতের শ্রমজীবী মানুষ জানেন না। পহেলা মে পালনের বিষয়টি ট্রেড ইউনিয়ন আয়োজিত অনুষ্ঠানে বেশি প্রকাশিত হয়, অথচ ট্রেড ইউনিয়নের সদস্যভুক্ত শ্রমিকের সংখ্যা কারখানার বাইরে খুব একটা নেই। কারখানার ভেতরেও ৩০ শতাংশ হবে না। কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, মোট শ্রমিকের ৩ শতাংশ ট্রেড ইউনিয়নের সদস্য। তাহলে শ্রমিক ও শ্রমজীবী মানুষ নিজেই কি জানেন, তাদের অধিকার কী? পহেলা মে কেন সরকারি ছুটির দিন? কী দাবি তোলা দরকার? আমার বিশ্বাস অনেকেই জানেন না, তবে ক্যালেন্ডারে লাল রঙে ছুটির দিন হিসেবে শুক্র, শনি ও রোববার— তিনদিন বেশ ভালোই হচ্ছে। কারণ এবার মে মাস শুরু হচ্ছে র (আরো পড়ুন )


বাংলাদেশ কোন দিকে এগোচ্ছে?

দেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অবস্থা হঠাৎ করেই যেন আবার অস্থির হয়ে উঠেছে। সবচেয়ে বেশি উদ্বিগ্ন হওয়ার বিষয় হচ্ছে নিরাপত্তা ঝুঁকি বেড়েছে, যার প্রভাব সরাসরি অর্থনীতির ওপর পড়ছে। কারণ এখন নিরাপত্তা ঝুঁকির সঙ্গে বিদেশিরাও সরাসরি জড়িয়ে গেছে। কিন্তু তার মানে এ নয় যে, দেশের মানুষ খুব নিরাপত্তা বোধ নিয়ে আছে। কাউকেই মনে হয় না ভবিষ্যতের অর্থনৈতিক পরিকল্পনা করতে। এসব নিয়ে এত কথা আর আলোচনা হচ্ছে যে, আমি আর কিছু বলতে চাই না। শুধু আশুরার মধ্যরাতে তাজিয়ার প্রস্তুতিতে যে হামলা ও হতাহতের ঘটনা ঘটেছে, তা আমার কাছে মর্মান্তিক মনে হয়েছে। কারবালা আমাদের এমন বাস্তবভাবে মনে করিয়ে দেবে কেউ- এটা ভাবতেই কষ্ট হয়।

সবচেয়ে বিরক্তিকর হচ্ছে এসব কিছুর সঙ্গে রাজনৈতিক দলগু (আরো পড়ুন )


প্রস্তুতিবিহীন এক ভূমিকম্পের অপেক্ষায়

নেপালের সাম্প্রতিক ভূমিকম্প থেকে অনেক কিছু শেখার আছে আমাদের

প্রকৃতি বাংলাদেশকে যথেষ্ট সতর্কবাণী দিয়েছে- ভূমিকম্প হতে পারে, শিগগিরই বড় আকারেই আসতে পারে। কারণ নেপালের পর উৎপত্তিস্থল ক্রমেই বাংলাদেশের দিকে এগিয়ে আসছে। নেপালের ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ৪ হাজার ছাড়িয়েছে; আহতের সংখ্যা কত তা বলে শেষ করা যাচ্ছে না। এসব দেখেও যেন আমাদের কোনো টনক নড়ছে না। নেপালের প্রেসিডেন্ট নিজেও রাত কাটাচ্ছেন তাঁবুতে। কারণ তার ঘরেও ফাটল ধরেছে। আমরা ব্যস্ত রয়েছি, সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে। ভূমিকম্পের বিষয়ে বাংলাদেশে আমরা সরকারের পক্ষ থেকে প্রস্তুতিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার কোনো উদ্যোগ দেখছি না। প্রস্তুতি নিয়ে রাখলে ভূমিকম্প না হলেইবা অসুবিধা কী? আমাদের প্রস্তুতি থা (আরো পড়ুন )


0

(আরো পড়ুন )

0

(আরো পড়ুন )

0

(আরো পড়ুন )

পাঁচ টাকার রাজনীতি

রাজনৈতিক অবস্থা যখন খুব গরম- হরতাল, অবরোধ, সহিংসতা ইত্যাদি নিয়ে যখন সবাই ব্যস্ত, তখন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত হঠাৎ ঘোষণা দিয়ে দিলেন, নতুন পাঁচ টাকার মুদ্রা বাজারে ছাড়া হবে। পুরনো এক ও দুই টাকার নোট এবং বাজার থেকে মুদ্রা তুলে নেয়া হবে। পাঁচ টাকার নোট হবে সর্বনিম্ন মুদ্রা! সচিবালয়ে ১৮ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত এক সভায় তিনি এ ঘোষণা দেন। বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী, এক ও দুই টাকার মুদ্রা সরকারের, তাতে অর্থসচিবের সই থাকে এবং পাঁচ থেকে এক হাজার টাকার মুদ্রাগুলো কেন্দ্রীয় ব্যাংকের, যেখানে বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নরের সই থাকে। সব ধরনের টাকার প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এর অর্থ হচ্ছে, এক ও দুই টাকা সরকারি মুদ্রা হলেও তা তুলে নেয়ার ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ (আরো পড়ুন )


শিল্পী ফিরোজা বেগমকে কি রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দেয়া যেতো না?

শিল্পী ফিরোজা বেগম আর আমাদের মাঝে নেই। সেপ্টেম্বর মাসের ৯ তারিখে তিনি আমাদের ছেড়ে গেছেন চিরতরে, ঠিক যেমনি করে গেয়েছেন ‘আমি চিরতরে দূরে চলে যাবো তবু আমারে দেবো না ভুলিতে......’। তার এই গানের সুরের রেশ আমাদের কানে লেগে আছে এবং থাকবে। শুধু এই একটি গান নয় অনেক গান। বর্তমান কালের যারা আছেন তাদের কথা জানি না, অন্তত আমরা যারা ছোটবেলা থেকে রেডিওতে তাঁর গান শুনতে শুনতে বড় হয়েছি, তাদের কাছে নজরুল ইসলামের গান মানেই ছিল ফিরোজা বেগমের গান। তাঁকে পরিচয় করিয়ে দেয়ার কিছু নেই, ফিরোজা বেগম একজনই। অনেকে নাম দিয়েছেন নজরুল সঙ্গীত সম্রাজ্ঞী। আসলে তিনি তাই। টানা কয়েকবার সেরা নজরুল সঙ্গীত শিল্পী হিশেবে স্বীকৃত হয়েছেন তিনি। অর্থাৎ তিনি ছাড়া নজরুলের গা (আরো পড়ুন )


0

(আরো পড়ুন )

0

(আরো পড়ুন )

বাজেটে কি ভোটারবিহীন নির্বাচনের প্রতিফলন?

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বাজেট ২০১৪-১৫ দশম জাতীয় সংসদে পেশ করেছেন। এ সংসদের ১৫৪টি আসন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় 'নির্বাচিত', আর বাকি আসনগুলোয় যে ভোট হয়েছে তাতে ভোটারের উপস্থিতি ছিল খুবই নগণ্য। সবচেয়ে বড় কথা দেশের অনেক রাজনৈতিক দল, ছোট-বড় কেউই অংশ নেয়নি। বড় দল বা সাবেক বিরোধী দল বিএনপি এ নির্বাচনে অংশ নেয়নি। কাজেই বাজেট ঘোষণার জন্য সরকারের জনসমর্থন আছে কিনা বিচার করলে, সেটা নেই। বাজেটে রাজস্ব আয়ের জন্য কর ধার্য করা হয়, জনগণ সেটা মেনে নিয়ে কাজ করে। এবার জনগণের মধ্যে এক ধরনের অনীহা দেখা যাচ্ছে। এ বাজেট কি আমাদের জন্য?

তবুও অর্থমন্ত্রী বাজেট ঘোষণা করেছেন তার নিয়ম রক্ষার জন্য। ২০১৪-১৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের মোট আকার ধরা হয়েছে (আরো পড়ুন )


0

(আরো পড়ুন )

0

(আরো পড়ুন )

0

(আরো পড়ুন )

0

একদিকে জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে কি হবে না সংশয়, অন্যদিকে সরকারি দলের প্রস্তুতি চলছে মনোনয়নপত্র বিক্রির। এ যেন এক উৎসব। নাচানাচি হচ্ছে, ঢোল বাজছে। তবে এ উৎসবে আসনসংখ্যা গনা হচ্ছে ৩০০। মনে হচ্ছে এগুলো বেশির ভাগ পুরুষদের জন্য নির্ধারিত। মোটরসাইকেল র?্যালি করে এসে মনোনয়ন চাওয়ার মধ্যে তাই প্রতীয়মান হয়। তারা সবাই ৩০০ সাধারণ আসনের মধ্যে নিজ নির্বাচনী এলাকার মনোনয়নপত্র কিনছেন ২৫ হাজার টাকা দিয়ে। এরই মধ্যে সবার অজান্তে থেকে যাচ্ছে ৫০টি আসন, যা সংরক্ষিত নারী আসন নামে পরিচিত। যখন সংসদ অধিবেশন চলে তখন যিনি চালান অর্থাৎ স্পিকার, তিনি যে আসন থেকে এসেছেন সে আসনও এখন গনার বাইরে। এ বড় অদ্ভুত ব্যাপার। এ আসনগুলোর মর্যাদা কখন বাড়ে বা কমে তা বোঝার উপায় নেই। স্প (আরো পড়ুন )