অর্থকরী ফসলের তালিকায় তামাক কেন?
ফরিদা আখতার || Saturday 11 January 2020 ||তামাক ব্যবহার নিয়ন্ত্রণের জন্য অনেক কাজ হচ্ছে। এতে তামাক ব্যবহারের হার প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে কিছুটা কমেছে। বর্তমানে (২০১৭ সালের হিসাবে) প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে ৩৫ দশমিক ৩ শতাংশ (সংখ্যায় ৩ কোটি ৭৮ লাখ মানুষ) ধূমপান এবং ধোঁয়াবিহীন তামাক ব্যবহার করেন, যা আগে (২০০৯ সালে) ৪৩ শতাংশ ছিল। কিন্তু প্রায় চার কোটি তামাক ব্যবহারকারী কোনো দেশে থাকা ভালো কথা নয়। বাংলাদেশ বিশ্বে এখনো সর্বোচ্চ তামাক ব্যবহারকারীদের মধ্যে অন্যতম। এখানে তামাকপণ্যটাই এমন, যা অত্যন্ত সস্তায় পাওয়া যায় এবং যার দাম কমানোর জন্য উৎপাদনকারীরাই দেনদরবার করে। তারা চায় না দাম বাড়ুক। কারণ সিগারেট, বিড়ি, জর্দা, গুলের দাম বাড়লে এবং বিশেষ করে ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেলে তামাক সেবনকারী, যাদের অধিকাংশই গরিব ও নিম্নবিত্ত, হয়তো তারা আর কিনতে পারবে না। অথবা ব্যবহার কমিয়ে দেবে। সেটা তামাক কোম্পানি কিছুতেই চায় না। তামাকের আসক্তি ব্যবহারকারীর যেমন, তেমনি এর মুনাফার নেশা কোম্পানির।
অর্থনীতির দিক থেকেও তামাক একটি অদ্ভুত এবং ক্ষতিকর পণ্য। তামাক ব্যবহারের কারণে প্রতি বছর ১ লাখ ২৬ হাজার মানুষ অকালে মৃত্যুবরণ করে। অকালে মৃত্যুবরণ একটি পরিবারে আর্থিক, সামাজিকভাবে দুর্দশা বয়ে আনে। অর্থনৈতিক ক্ষতির পরিমাণ (চিকিৎসা ব্যয় ও উৎপাদনশীলতা ক্ষতি) ৩০ হাজার ৫৬০ কোটি টাকা। এদিকে তামাক কোম্পানিগুলো বছরে তামাকপণ্য বিক্রি করে কোটি কোটি টাকা আয় ও মুনাফা করতে পারে। তারা সরকারকে ২২ হাজার ৮১০ কোটি টাকা রাজস্ব দেয়। এই পরিমাণ রাজস্ব আর অন্য কোনো খাত থেকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এককভাবে পায় না, ফলে তারা মনে করাতে চায় তামাক কোম্পানি সরকারের অনেক উপকার করছে। কিন্তু সহজ হিসাবেই দেখা যাচ্ছে সরকারের আয় ও ব্যয়ের মধ্যে ৭ হাজার ৭৫০ কোটি টাকা ঘাটতি আছে। সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় তামাক নিয়ন্ত্রণের জন্য কাজ করে, কারণ তার ওপর খরচের চাপ পড়ছে, অন্যদিকে অর্থ মন্ত্রণালয় শুধু রাজস্ব বোর্ডের দিকে চেয়ে থাকে—কত টাকা উঠল। এ দোটানার মধ্যে এখনো রাজস্ব বোর্ড এগিয়ে আছে এবং তামাক কোম্পানি বিড়ি-সিগারেটের এমনকি জর্দার দামও যেন না বাড়ায়, তার জন্য ক্রমাগতভাবে তাদের কাছে তদবির করতে থাকে। তামাক কোম্পানি শুধু রাজস্ব দিয়ে সন্তুষ্ট করে না, তারা অন্যান্য পন্থাও অবলম্বন করে, যেমন কর্মকর্তাদের সরাসরি সুযোগ-সুবিধা প্রদান। উদ্দেশ্য, নীতিনির্ধারণে হস্তক্ষেপ করা। এটা শুধু বাংলাদেশে নয়, বিশ্বব্যাপী ঘটছে। তাই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন টোব্যাকো কন্ট্রোলের (এফসিটিসি) একটি ধারা ৫.৩-এ আছে, যেখানে স্বাক্ষরকারী দেশগুলো যেন কোনোভাবেই তামাক কোম্পানির হস্তক্ষেপের খপ্পরে না পড়ে, তার বিরুদ্ধে প্রতিরোধের উপায় দেয়া আছে।
তামাক নিয়ন্ত্রণের কথা আলোচনা হলেই একটি কথা সবাই বলেন, সেটা হচ্ছে তামাক ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করলেই হবে না, তামাক চাষ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। তামাক পাতার চাষ বাংলাদেশে হচ্ছে দীর্ঘ ৪০-৫০ বছর ধরে। এরই মধ্যে এর ক্ষতির দিক নিয়ে অনেক গবেষণা হয়েছে। তামাক পাতা এবং এ গাছের বিভিন্ন অংশ দিয়ে তামাকপণ্য তৈরি হয়। ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো কোম্পানি এবং ফিলিপ মরিস ইন্টারন্যাশনাল এখন পর্যন্ত বড় দুটি কোম্পানি, সঙ্গে কিছু দেশী কোম্পানি বাংলাদেশে তামাক চাষ নিয়ন্ত্রণ করছে। এখন যোগ হয়েছে জাপান টোব্যাকো ইন্টারন্যাশনাল (জেটিআই)। তাদেরই ‘উন্নত’ মানের তামাক পাতা বিশেষ করে ভার্জিনিয়া বা ফ্লু কিউর্ড ভার্জিনিয়া (এফসিভি) পাতার প্রয়োজন। বর্তমানে বাংলাদেশেই ভার্জিনিয়া বেশি উৎপাদন হয় এবং অন্য দেশে সিগারেটের উৎপাদনের কাঁচামাল হিসেবেও রফতানি করা হয়। অন্যদিকে জাতি ও মতিহারি জাতের তামাক পাতা বিড়ি ও জর্দা উৎপাদনের জন্য ব্যবহার হয়। অর্থাৎ প্রতিটি তামাকপণ্যের জন্য আলাদা জাতের পাতার প্রয়োজন এবং সেগুলো এ দেশের মাটিতেই উৎপাদন হচ্ছে। বাংলাদেশ তামাকে এতটাই স্বয়ংসম্পূর্ণ!
তামাকের তিনটি জাত (ভার্জিনিয়া, মতিহারি ও জাতি) বিভিন্ন জেলায় উৎপাদন হচ্ছে। ভার্জিনিয়া ৭৮ হাজার ১৯২ একর জমিতে, মতিহারি ২০ হাজার ২২ একর এবং জাতি ১৪ হাজার ৭১৩ একর জমিতে উৎপাদন হয় (সূত্র: কৃষি পরিসংখ্যান বর্ষ গ্রন্থ, ২০১৭)। সব ধরনের তামাক পাতার চাষ হচ্ছে ১ লাখ ১৩ হাজার ২৯৭ একর জমিতে এবং উৎপাদনের পরিমাণ ৯১ হাজার ৫৭৩ টন। বলা বাহুল্য, এ পরিসংখ্যান দেশ ও দেশের মানুষের জন্য সুখকর নয়। যে জমিতে তামাক চাষ করা হচ্ছে, সেখানে খাদ্য ফসল উৎপাদন হতে পারত, কারণ তামাক চাষ মূলত রবি ফসলের মৌসুমেই হয় এবং সে সময় নানা রকম সবজি, ডাল, তৈলবীজ, ধান—এসব ফসল না করে এ জমিতে ক্ষতিকর একটি ফসল উৎপাদিত হয়েছে। যা দিয়ে সিগারেট, বিড়ি, জর্দার মতো নিকোটিনযুক্ত নেশা সৃষ্টিকারী পণ্য উৎপাদন করে জনস্বাস্থ্যকে হুমকির মধ্যে ফেলে দেয়া হচ্ছে। আশ্চর্য যে বাংলাদেশে কৃষির অর্থকরী ফসলের তালিকায় তামাক রয়েছে। কৃষি পরিসংখ্যানে যদিও এটাকে পরিষ্কারভাবে নেশাজাতীয় ফসলের আওতায় রাখা হয়েছে কিন্তু এর অর্থনৈতিক দিক বিবেচনা করে একে অর্থকরী ফসল বলা হচ্ছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) ছয়টি প্রধান কৃষি ফসলের মধ্যে তামাক অন্তর্ভুক্ত করে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। অথচ এ ধরনের একটি চাষকে আদৌ ফসলের মর্যাদা দেয়া উচিত কিনা, তা নিয়েই প্রশ্ন উঠতে পারে।
এদিকে জাতীয় অর্থনীতি শক্তিশালীকরণের উদ্দেশ্যে কৃষক, উৎপাদক, কৃষি ব্যবসায়ী ও ভোক্তা সহায়ক কৃষি বিপণন ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং সম্প্রসারণের লক্ষ্যে ‘কৃষি বিপণন আইন, ২০১৮’ প্রণয়ন করা হয়েছে। এ আইনটির তফসিল ১-এ ১৩ ধরনের পণ্যকে কৃষিপণ্য হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। বাংলাদেশ তামাকবিরোধী জোট (বাটা) উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যে এ তফসিলের (খ) ক্যাটাগরিতে অর্থকরী চারটি ফসলের মধ্যে তামাকের উল্লেখ রয়েছে। তারা দাবি জানিয়েছে, এ তালিকা থেকে তামাক বাদ দেয়া হোক।
ধূমপান ও তামাকদ্রব্য ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০০৫ (সংশোধিত), ২০১৩ অনুযায়ী, ১২ ধারায় তামাক উৎপাদন নিয়ন্ত্রণে, বিশেষ করে তামাক চাষ নিরুৎসাহিত করার জন্য, একটি নীতিমালা করার কথা আছে। বাংলাদেশ সরকার সে মোতাবেক উদ্যোগ গ্রহণ করে একটি খসড়া নীতিমালা প্রণয়ন করলেও আজ পর্যন্ত চূড়ান্ত হতে পারছে না কোনো এক অজানা কারণে। জেনেভায় অনুষ্ঠিত এফসিটিসির কনফারেন্স অব দ্য পার্টিসে (কপ-৮) বিশেষভাবে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে যে স্বাক্ষরকারী দেশগুলো অবিলম্বে তামাক চাষ নিরুৎসাহিত করার উদ্যোগ গ্রহণ করবে। বিশেষত এফসিটিসির আর্টিকেল ১৭ ও ১৮ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, রাষ্ট্রগুলোর তামাকের বিকল্প ফসল চাষে কৃষকদের সহায়তা প্রদান এবং তামাক চাষের ক্ষতি থেকে পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্য রক্ষার্থে উদ্যোগ গ্রহণ করা জরুরি।
তামাক চাষের ক্ষতি আছে কি নেই, এ নিয়ে কোনো বিতর্ক নেই। তবু কেউ কেউ বিতর্ক করেন, বুঝতে চান না। তামাক চাষে খাদ্যফসল চাষ কীভাবে ব্যাহত হচ্ছে, তা সরাসরি এ মৌসুমে কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, রংপুর, বান্দরবান ইত্যাদি এলাকায় ঘুরে এলেই দেখতে পাবেন। খাদ্যফসলের জমিতে খাদ্য নেই, আছে মাঠের পর মাঠ তামাক; যা কোম্পানি খুব নিষ্ঠুরভাবে রোমান্টিক ভাষায় ‘সবুজের সমারোহ’ বলে আখ্যায়িত করে। এ সবুজের মধ্যে রয়েছে নিকোটিন ও বিষ, যা চাষের সময়ও তামাক পাতার পরিচর্যা করতে গিয়ে কৃষকের শরীরে প্রবেশ করে নানা রোগের সৃষ্টি করে। তামাক পাতার চাষে অন্যান্য খাদ্যফসলের তুলনায় বেশি পরিশ্রম প্রয়োজন। ভোরে কুয়াশা পাতায় পড়া অবস্থায় পরিচর্যার সময় পাতার নিকোটিন চামড়ার মধ্যে দিয়ে শরীরে প্রবেশ করে। তামাক পাতা তোলার সময় কৃষকের হাত, মুখ ও শরীরের খোলা অংশ আঠালো এবং কালো হয়ে যায়। এগুলো নিকোটিনের কারণে হয়।
তামাক চাষ করার জন্য অক্টোবর থেকে শুরু করে এপ্রিল পর্যন্ত সময় লেগে যায়। কিন্তু এ সময়ে তামাকের জন্য যে জমি ব্যবহার হয়, তাতে দুটি মৌসুম, কোনো কোনো ক্ষেত্রে তিনটি মৌসুমেই কৃষি, বিশেষ করে রবিশস্যসহ অন্যান্য খাদ্যফসল উৎপাদন করা সম্ভব হয় না। এ জমিতে ধান, গম, ভুট্টা, দানাদার ফসল, ডাল ও তেলজাতীয় ফসল, মসলা ও সবজিসহ বিভিন্ন ধরনের খাদ্যফসলের চাষাবাদ করা হতো। সরকার একদিকে শস্য বহুমুখীকরণের উদ্যোগ নিচ্ছে, অন্যদিকে তামাক চাষের কারণে রবি মৌসুমে ফসলগুলো করা যাচ্ছে না; যা পক্ষান্তরে জনগণের পুষ্টিনিরাপত্তাকে হুমকির সম্মুখীন করে তুলছে। তাছাড়া মাছ, হাঁস, মুরগি সবকিছু এলাকা থেকে উঠে যাচ্ছে। পুষ্টি আসবে কোথা থেকে?
তামাক চাষ একটি কোম্পানিনির্ভর ফসল। আগাম নগদ অর্থ, বীজ, উপকরণ সহায়তা দিয়ে এবং তামাক পাতা কিনে নেয়ার প্রতিশ্রুতির মাধ্যমে কোম্পানি কৃষকদের নির্ভরশীল করে তোলে। তামাক পাতার দাম নির্ধারণ কৃষি মন্ত্রণালয়াধীন কৃষিমূল্য উপদেষ্টা কমিটির সভার মাধ্যমে নির্ধারণ করার কথা, কিন্তু তামাকচাষীরা কোম্পানির দেয়া দামের ওপরই নির্ভরশীল থাকেন, কারণ এ পাতা নির্দিষ্ট কোম্পানি ছাড়া আর কোথাও বিক্রি করা যায় না।
তামাক পাতা চাষে কীটনাশকের ব্যবহারও খাদ্যফসলের তুলনায় বেশি। আশেপাশে নদীনালায় তামাকের বিষ গিয়ে মাছ ও জলজ প্রাণীর ক্ষতি করছে। তামাক পাতা পোড়ানোর জন্য চুল্লিতে জ্বালানি হিসেবে গাছ ব্যবহার করতে গিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে বন উজাড় হয়ে যাচ্ছে। কুষ্টিয়ায় বড় গাছ দেখাই যায় না। কুষ্টিয়ার চুল্লিতে এখন আর গাছ ব্যবহার হয় না, তারা বিচালি বা খড়, পাটকাঠি, ধইঞ্চা, আখের ছোবড়া ইত্যাদি ব্যবহার করে। উবিনীগের মাঠ পর্যায়ের গবেষণায় দেখা গেছে, এক বিঘা জমির তামাক পাতা শোধন করতে যে বিচালি লাগে, তা ৭০টা গরুর একদিনের খাদ্যের সমান। অর্থাৎ তামাক পাতা পোড়াতে গিয়ে গরুর খাদ্য কেড়ে নেয়া হচ্ছে। অন্যদিকে বান্দরবানের চাষীরা জানিয়েছেন, তামাক পাতা পোড়ানোর জন্য জ্বালানি হিসেবে এমন কোনো গাছ নেই, যা তন্দুরের কবল থেকে রক্ষা পায়। বনজ প্রজাতির সব গাছ ব্যবহার হয়। গর্জন, গামারি, জাম, কড়ই, আম, কাঁঠালসহ ঔষধি গাছও কেটে ফেলা হয়। একটি তন্দুরে এক মৌসুমে ২৪০ মণ কাঠের প্রয়োজন হয়, যা ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ মাঝারি আকারের গাছ থেকে সংগ্রহ করতে হয়। একেকটি তামাক গ্রামে কয়েকশ তন্দুর থাকে। এভাবে তামাক এলাকায় বিশেষ করে পার্বত্য চট্টগ্রামে অনেক মূল্যবান গাছ ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। ফলে প্রাণবৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষেত্রেও এর বিরূপ প্রভাব পড়ছে।
আরো বেশি উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে, তামাকচাষী পরিবারে তামাক পাতা তোলার সময় এত শ্রমিকের দরকার হয় যে এ সময় তারা তাদের ছেলেমেয়েদের স্কুলে না পাঠিয়ে তামাক পাতার চুল্লিতে দেয়ার আগে স্টিকিং করার কাজে লাগায়। পাঁচ-ছয় বছরের শিশু থেকে শুরু করে সব বয়সের ছেলেমেয়েদের দিনে-রাতে কাজ করতে হয়। কারণ পাতা ঠিকমতো পোড়াতে না পারলে গ্রেডিং ঠিক হবে না এবং তারা এর যথাযথ মূল্য পাবে না।
তামাক পাতা কোনোভাবেই দেশের এবং দেশের মানুষের উপকার করছে না, বরং যে ক্ষতি করছে তার প্রভাব সুদূরপ্রসারী। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে প্রণীত তামাক চাষ নিয়ন্ত্রণ নীতি কৃষি মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় অবিলম্বে অনুমোদন করে কার্যকর করা দরকার। নইলে মানুষের স্বাস্থ্য, পরিবেশ, খাদ্যনিরাপত্তাসহ বহু দিক থেকে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হব।
আশা করি, সরকার জনস্বাস্থ্য বিবেচনায় তামাক চাষ নিয়ন্ত্রণে আনবে।
দৈনিক বণিক বার্তা-য় ১১ জানুয়ারি ২০২০-শে প্রকাশিত হয় : অর্থকরী ফসলের তালিকায় তামাক কেন?