রিদয়পুর বিদ্যাঘরে ৭৬টি গাছে হরেক রকম কাঁঠাল
উবিনীগ রিয়দপুর বিদ্যাঘর টাংগাইল কেন্দ্রের ভিতরে প্রায় ৭৬ টি কাঁঠালের গাছে কাঁঠাল ধরেছে। কাঁঠালের গাছগুলো দেখতে যেমন আলাদা কোনটি ছোট, কোনটি মাঝারি আবার কোনটি অতি বড়। এই গাছগুলো রং ও ভিন্ন ভিন্ন কোনটির গাছের রং ছাইকালার আবার কোনটি কালচে। কোনটির পাতা ছোট, কোনটির মাঝারি কোনটির বড়। তেমনি রয়েছে পাতার রং কোনটির সবুজ, কানটি গাড় সবুজ আবার দেখাগেছে কিছু কিছু গাছের পাতার রং কালচে সবুজ। যেখানেই রয়েছে হাজারো প্রজাতির হাজার রকম গাছের সমাহার। সেখানে প্রায় শ তিনেক কাঁঠাল গাছ দেখতে জায়গাটি বন জঙ্গল মনে হয়। কাঁঠাল গাছ ও কাঁঠালের রয়েছে অনেক গুনাগুন কাঁঠাল গাছের হয় দামি আসবাবপত্র, কাঁঠাল গাছের শুকনা পাতা জ্বালানি কাজে ব্যবহার করা হয়। এবং কাঁচা পাতা গবাদি পশুর প্রিয় খাবার।
কাঁঠাল ফল মানুষ এবং কিছু প্রাণীর প্রিয় খাবার। কাঁঠালের ছাল/ বউতা গরু, মহিষ এর ভাল খাবার। এছাড়াও কাঁঠালে বীজ ভাজা ও সবজিতে ব্যবহার করা হয়। আরো রয়েছে কাঁঠালের অজানা হাজারো গুনাগুন।
কাঁঠালের জাতের নাম
যেমনি রয়েছে গাছের বৈচিত্র্য ঠিক তেমনি রয়েছে কাঁঠালের জাতের নামের বৈচিত্র্য। কাঁঠালের নামকরণ করা হয়েছে বিভিন্ন দিকদিয়ে বিবেচনা করে। যেমন কাঁঠালের আকার কাকৃতি, ওজন, কাঁঠালের স্বাদ, ভালমন্দ যাচাই/ বাচাই করে নাম করণ করা হয়। যেমনি রয়েছে কাঁঠালের বৈচিত্র্য ঠিক তেমনি রয়েছে কাঁঠালের নামের বৈচিত্র্য নাম গুলো হলো: লাউ কাঁঠাল, বেল কাঁঠাল, শসা কাঁঠাল, হাজারী কাঁঠাল, কুমুর কাঁঠাল, টেমা কাঁঠাল, ঢেওয়া কাঁঠাল, গুতমা কাঁঠাল, টেপা কাঁঠাল, চাইলা কাঁঠাল, সারিন্দ কাঁঠাল, গালা কাঁঠাল, পানিরসা কাঁঠাল, দুধরসা কাঁঠাল, মধুরসা কাঁঠাল, চিনিরসা কাঁঠাল, তরমুজ কাঁঠাল, কুমুর কাঁঠাল, রসগোল্লা কাঁঠাল, দুইসিজন কাঁঠাল, বিন্দি কাঁঠাল, বাইল্যা কাঁঠাল, পাতা কাঁঠাল, বল কাঁঠাল, খাজা কাঁঠাল।
রিদয়পুর বিদ্যাঘর,
বিষ্ণুপুর, পাথরাইল, দেলদুয়ার, টাঙ্গাইল।