গ্যাস সংকটের কবলে গার্মেন্ট শ্রমিক


গ্যাস সংকটের প্রভাব পড়ছে গার্মেন্ট শ্রমিকের উপর। গ্যাস সংকটের কারণে ইফতার ও সেহেরীর খাবার তৈরি করা কঠিন হয়ে পড়েছে তাদের। গ্যাস সংকটের কারণে বিশেষ করে অসুবিধা হচ্ছে মহিলা গার্মেন্ট শ্রমিকদের। কারণ সংসার মহিলাদেরই সামলাতে হয়। সাভারে আশুলিয়া থানার ভাদাইল, গাজিরচট সহ ঢাকা কালিয়াকুর রোডের পূর্ব পাশের এলাকায় প্রথম রোজা থেকে তীব্র গ্যাস সংকট দেখা দিয়েছে। বেলা ১২ টার পর থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত এইসব এলাকায় গ্যাস থাকে না। গ্যাস সংকটের কারণে ভোগান্তিতে পড়েছে মানুষ। বিশেষ করে চাকরিজীবি দের সবচেয়ে বেশি অসুবিধা হচ্ছে। মোমবাতির আলোর মত গ্যাস জ্বলে। চুলার উপরের বাটি খুলে ফেলে দিয়ে চুলাকে উল্টিয়ে তার পর পাতিল বসায়ে রান্না করতে হয়। অনেক সময় পাতা কুড়িয়ে, কাঠ কুড়িয়ে রান্না করছেন। সময়ের অভাবে এক তরকারির বেশি শ্রমিকরা রান্না করতে পারে না। গ্যাস সংকটের কারণে ইফতারিতে তারা নিজের হাতের তৈরি ইফতারি খেতে পারছে না । বাসি পান্তা যা থাকে তার সাথে মাঝে মধ্যে কিছু ইফতারি কিনে ইফতারি সেরে নেয়। এতে তাদের যেমন পুষ্টি ঘাটতি হচ্ছে তেমনি শারীরিক ক্লান্তি দেখা যাচ্ছ্। বিরক্ত হয়ে অনেকে দোকান থেকে কিছু কিনে খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ছে।

গ্যাস সংকটের কারণ হিসেবে শ্রমিকরা বলছেন মাত্রাঅতিরিক্ত অবৈধ সংযোগ, অব্যবস্থাপনা, পাইপলাইন রক্ষনাবেক্ষনে ক্রটি, আর সরবরাহে ভারসাম্যহীনতার কারণে সাভার আশুলিয়ার কিছু কিছ‚ এলাকায় চলছে তীব্র গ্যাস সংকট। সারাদিন গার্মেন্টে কাজ করার পর দৌড়ে বাড়ি এসে যখন দেখে চুলায় গ্যাস নাই তখন তার মানসিক অবস্থা কি হতে পারে? শ্রমিক কত টাকা বেতন পায় যে সে বাড়ি ওয়ালাকে বাড়ি ভাড়া দেয়ার পর অতিরিক্ত টাকা খরচ করবে। তাকে সিরিয়াল ধরে রান্না করার জন্য দাঁড়ায়ে থাকতে হয়। কারণ তারা এমন বাসায় থাকে কয়েক জনকে একই চুলায় রান্না করতে হয়। দেখা যায় সিরিয়াল পেতে তার রাত ১১ টা ১২ টা বেজে যায়। ঠিক মত সে ঘুমাতেও পারে না। কারণ আবার তাকে সেহরি খেতে উঠতে হবে রাতে এবং সকাল ৬ টায় অফিসে যাওয়ার জন্য তৈরি হতে হবে। এই শ্রমিকদের কথা আমরা একটুও ভাবিনা। ছুটির দিনেও তাদের দিয়ে কাজ করিয়ে নিচ্ছে মালিক পক্ষ। বছরে দুই ঈদে তারা একটি লম্বা ছুটি পায় । এই সময়ে তারা পরিারের জন্য কিছু কেনা কাটা করেন । কিন্তু আমরা এখনো শোনতে পাচ্ছি শ্রমিককের বেতন বোনাস ২৬ জুলাইয়ের মধ্যে পরিশোধ করা হবে। ঈদের আগে শ্রমিকরা তাদের বেতন বোনাস ঠিক মত পাবে কিনা তা নিয়ে চিন্তিত রয়েছে প্রতিটি শ্রমিক।

 


Click Here To Print


Comments Must Be Less Than 5,000 Charachter