বাংলাদেশের কথাসাহিত্যের অন্যতম খ্যাতিময়ী লেখিকা ‘নয়ন রহমানের’ শ্রদ্ধাঞ্জলী
লেখিকা নয়ন রহমানের জন্ম ১৯৪০ সালের ৯ সেপ্টেম্বর। তিনি র্দীঘদিন ইউনাটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর গত ২১ ডিসেম্বর, ২০১৪ তারিখ রাত ১১ টায় হৃদরোগজনিত কারণে ইন্তেকাল করার পরে তাঁর মরদেহ বার্ডেম হাসপাতালের হীমাগারে রাখা হয়। আজ ২৪ ডিসেম্বর ২০১৪ তারিখে বাংলা একাডেমিতে তাঁকে শ্রদ্ধাঞ্জলী দেয়া হয়।তাঁকে শ্রদ্ধা জানান বাংলাদেশ লেখিকা সংঘ, নারীগ্রন্থ প্রবর্তনা, চয়ন সাহিত্য ক্লাব,ইনার হুইল ক্লাব এবং আবহমান সংস্থা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থকে তিনি রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ে এম.এ ডিগ্রী অর্জন করে ঢাকার একটি বেসরকারী কলেজে অধ্যাপনা করেন। নয়ন রহমান সত্তর দশক থেকে সাহিত্য রচনায় নিজেকে ব্যাপৃত রেখেছিলেন। গল্প, উপন্যাস, শিশু-কিশোর গ্রন্থ, সাহিত্যেও সব শাখায় তাঁর পদচারণা ছিল। তাঁর ১০টি গল্পগ্রন্থ, ১০টি উপন্যাস, ২৩টি শিশু-কিশোর গল্পগ্রন্থ,২টি জীবনী গ্রন্থ প্রকাশিত হয়। নয়ন রহমান বিভিন্ন সামাজিক-সাস্কৃতিক সংগঠন থেকে পুরস্কৃত এবং সংবর্ধিত হন। তিনি মহিলা সাহিত্যিকদের একমাত্র জাতীয় সংগঠন ‘বাংলাদেশ লেখিকা সংঘের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।
নয়ন রহমান এর উল্লেখযোগ্য ১২টি পুরস্কার:
অশ্বিনী কুমার দত্ত, স্বর্ণপদক-১৯৯০,কবি জসিম উদ্দীন সাহিত্য পুরস্কার-১৯৯৪, দেওয়ান আব্দুল হামিদ সাহিত্য পুরস্কার-১৯৯৭, জাতীয় সাহিত্য পরিষদ পুরস্কার-২০০৩, বাংলাদেশ লেখিকা সংঘ সাহিত্য পদক-১৯৯৮, কমর মুস্তারি সাহিত্য পদক-২০০৫, সাজেদুন্নেছা খাতুন চৌধুরানী সাহিত্য পুরস্কার-২০০৫, আলপনা সাহিত্য পুরস্কার-২০০৬, সাদত আলী আখন্দ সাহিত্য পুরস্কার-২০০৬, নন্দিনী সাহিত্য পুরস্কার-২০০৩, বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন, প্রবন্ধ প্রতিযোগিতা প্রথম স্থান-১৯৮০, বাংলাদেশ ইনসিওরেন্স একাডেমি, প্রবন্ধ প্রতিযোতিা, প্রথম স্থান-১৯৭৭ এবং ১৯৭৮।
নয়ন রহমানের সংবর্ধনা:
ঢাকা লেডিস ক্লাব কর্তৃক সংবর্ধনা-১৯৮৯, ‘সোনালী রোদ’ সাহিত্য পত্রিকার ২৫ বছর পূর্তিতে সংবর্ধনা, হুগলি পশ্চিমবঙ্গ-১৯৯৮, উর্মি সাহিত্য পত্রিকার ২৫ বছর পূর্তিতে সংবর্ধনা হুগলি পশ্চিমবঙ্গ-১৯৯৬, সিলেট লেখিকা সংঘ, সংবর্ধনা-২০০৮ এবং প্রবীন দিবসের সম্মাননা পান ২০১৪ সালের ৯ অক্টোবর।