বিকৃত বীজের (জিএমও) আগ্রাসন: বিটি বেগুন ও গোল্ডেন রাইস


আলোচনা সভা

যৌথ উদ্যোগ: উন্নয়ন বিকল্পের নীতিনির্ধারণী গবেষণা (উবিনীগ) ও বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা)

তারিখ: ২৪ এপ্রিল ২০১৫ সময়: বিকাল ৪ টা।
স্থান: বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্র, পাঠচক্র (পঞ্চম তলা)
১৭- কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, বাংলা’মটর ঢাকা

যোগাযোগ: ৬/৮ স্যার সৈয়দ রোড মোহাম্মদপুর ঢাকা, ফোন: ৮১২৪৫৩৩ / ০১৭৩০০৫৭৭০৮

সুধি,

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন ও উবিনীগ আগামি ২৪ এপ্রিল, ২০১৫ তারিখে বিকেল ৪টায় বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের পাঠচক্র হলে ‘বিকৃত বীজের (জিএমও) আগ্রাসন: বিটি বেগুন ও গোল্ডেন রাইস’ শীর্ষক এক আলোচনা সভার আয়োজন করেছে। এই সভায় ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অব কেমিকাল বায়োলজি (CSIR) প্রতিষ্ঠানের প্রধান বিজ্ঞানী ড. তুষার চক্রবর্তী, মূল বক্তা থাকবেন। তিনি ভারতে একচেটিয়া আগ্রাসন বিরোধী মঞ্চ (FAMA)’র সদস্য এবং জিএম বিরোধি আন্দোলনের একজন সক্রিয় কর্মী। উবিনীগের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের পরিস্থিতি তুলে ধরবেন ফরিদা আখতার ও ড. এম এ সোবহান।

বিশেষ অতিথি থাকবেন বিশিষ্ট লেখক সৈয়দ আবুল মাকসুদ এবং গণস্বাস্থ্য ট্রাষ্টের ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরি। সভাপতি থাকবেন উবিনীগের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরহাদ মজহার।


btbegun


বীজের ওপর দখলদারি ও কৃষি ও খাদ্য ব্যবস্থায় একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণ কায়েম করবার জন্য জেনেটিক কারিগরির মধ্য দিয়ে কিভাবে বীজে বিকৃতি ঘটিয়ে বহুজাতিক কম্পানি ও তাদের সঙ্গে জড়িত দেশীয় বীজব্যবসায়ীরা বাংলাদেশে তা চাষ ও বাজারজাত করবার চেষ্টা চালাচ্ছে তার উৎকট উদাহরণ হচ্ছে বিটিবেগুন ও গোল্ডেন রাইস। ‘বিকৃত’ না বলে এই বীজগুলোকে জেনেটিকালি মডিফাইড বা ‘জিএমও’ বলা হয়। কম্পানির হাতে বীজ, কৃষি ও খাদ্যব্যবস্থা তুলে দেওয়ার ভয়ানক বিপদ ছাড়াও এদেশের প্রাণব্যবস্থা, প্রাণবৈচিত্র্য, পরিবেশ ও মানুষের স্বাস্থ্য এর কারনে ভয়াবহ ঝুঁকির মধ্যে পড়ছে। বিকৃত বীজ বা জিএমওর কারণে জৈবিক জগত ও প্রাণচক্রের সম্ভাব্য দূষণ প্রতিরোধ বিদ্যমান বিজ্ঞান ও কারিগরির সাধ্যের বাইরে। বিকৃত বীজের ক্ষতি ও জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং-এর বিপদ সম্পর্কে বিশ্বব্যাপী কৃষক আন্দোলন, পরিবেশবাদী সংগঠন ও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা আন্দোলন করছেন। বাংলাদেশেও এ বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি হয়েছে, তবে এখনও বেশীরভাগ মানুষ এর কুফল সম্পর্কে অবগত নন।

যেখানে বাংলাদেশের মতো একটি প্রাণবৈচিত্র্যে সমৃদ্ধ কৃষি প্রধান দেশে রাত কানা রোগ প্রতিরোধের জন্য খাদ্য ব্যবস্থায় শাকসবজির পরিমান বৃদ্ধি ও উৎপাদিত বিপুল পরিমান স্থানীয় জাতের বেগুন বাজারজাত করবার সহায়তা দরকার সেখানে বিকৃত বীজের প্রবর্তন কম্পানির ব্যবসা বৃদ্ধির জন্য, এর আর কোন যুক্তি নাই।

ইতিমধ্যে বেগুনের নয়টি জাতের ওপর জেনেটিক ইঞ্জিনীয়ারিং-এর মাধ্যমে বিটি-বেগুন নাম দিয়ে কৃষক পর্যায়ে চাষের অনুমোদন দেয়া হয়েছে ও চাষ করা হচ্ছে, যদিও যারা চাষ করেছেন তারা ব্যাপক ক্ষতির শিকার হয়েছেন। এ ছাড়াও ভিটামিন এ সমৃদ্ধ ধান বা গোল্ডেন রাইস এদেশের ধানের ওপর জেনেটিক কারিগরির মাধ্যমে করা হচ্ছে অথচ আমাদের দেশে উৎপাদিত নানা শাক সব্জির মাধ্যমে ভিটামিন-এ ঘাটতি মেটানো সম্ভব।

এই আলোচনা সভায় আপনাকে সাদর আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।

ডা. মো. আব্দুল মতিন (বাপা) ফরিদা আখতার (উবিনীগ) 


Click Here To Print


Comments Must Be Less Than 5,000 Charachter