অসক্রামক ব্যাধির ব্যাপক বিস্তৃতি


অসংক্রামক ব্যাধি বিশ্ব ব্যাপী এখন সব চেয়ে বড় মৃত্যু ঝুঁকি। হৃদ রোগ, স্ট্রোক, ডায়াবেটিস, ক্যান্সার এবং ক্রনিক পালমুনারি অবসট্রাকটিভ রোগে প্রতি পাঁচ জনের মধ্যে তিন জনের মৃত্যুর কারণ। দিনে দিনে অসংক্রামক রোগের তালিকা বাড়ছে। বর্তমানে এ তালিকায় ৪৭ টি রোগের নাম রয়েছে।

অসংক্রামক রোগ প্রধানত: দুই প্রকারের হয় যেমন-

  • বংশগত এবং
  • পরিবেশ গত।

বংশগত অসক্রামক রোগের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে:

১. একন ড্রপলেশিয়া ২. আলবিনিজম ৩. বার্ডেটবিডল সিনড্রম ৪. বাইপোলার সিনড্রম ৫. ক্যানাভান ডিজিজ ৬. কালার ব্লাইন্ডনেস ৭. ডাউনস্ সিনড্রম ৮. সিসটিক ফাইব্রোসিস ৯. ফ্রাজাইল একস্ সিনড্রম ১০. গ্যালাকটোসেমিয়া ১১. হেমোফিলিয়া ১২. ক্রাব ডিজিজ ১৩. মাসকুলার ডেসট্রফি ১৪. নিউরো ফাইব্রো ম্যাটোসিস ১৫. নুরান সিনড্রম ১৬. ওসটিও জেনেসিস ১৭. পাতাউ সিনড্রম ১৮. সিকেলসেল ডিজিজ ১৯. টেস্যাকস ডিজিজ ২০. ট্রিপল একস সিনড্রম ২১. টার্নার সিনড্রম ২২. উষার সিনড্রম ২৩. ভন হিপ্পেল লিডেন সিনড্রম ২৪. ওয়ার্ডেন বার্গ সিনড্রম ২৫. উইলসনস্ ডিজিজ এবং ২৬. জেরোডার্মা পিগমেন টোসাস।

পরিবেশগত অসংক্রামক রোগের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে-

এ্যাপেনডিসাইটিস ২.এ্যানোরেকসিয়া নার্ভোসা ৩. আরটেরিও স্কেলেরোসিস ৪. এজমা ৫. ফেটাল এলকহল সিনড্রম ৬. কার্পাল টানেল সিনড্রম ৭. ক্রনিক অবসট্রাকটিভ পালমুনারি সিনড্রম ৮. এম ফাইমা ৯. গ্লুকোমা ১০. ফাইব্রো মায়ালজিয়া ১১. হাইপারথাইরয়েডিজম ১২. ইরিটেবল বাওল সিনড্রম ১৩. লিভার সিরোসিস ১৪. নার্কোলেপসি ১৫. অস্টিওপোরোসিস ১৬. সাডেন ইনফ্যান্ট ডেথ সিনড্রম এবং ১৭. টিক প্যারালাইসিস ১৮. হৃদ রোগ ১৯.স্ট্রোক ২০. ডায়াবেটিস ২১. ক্যান্সার ।

জীবন যাপন পদ্ধতি ও খাদ্যাভাস পরিবর্তন করে অসংক্রামক রোগের ঝুঁকি বহুলাংশে কমানো যায়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনগুলি হচ্ছে:

১. ধুমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার বন্ধ করা।

২. মদ পান না করা।

৩. লবন যুক্ত খাবার কম খাওয়া।

৪. চিনি, মিষ্টি জাতীয় খাবার এবং চর্বি যুক্ত খাবারের পরিমাণ কমিয়ে দেওয়া।

৫. নিয়মিত শারীরিক শ্রম অনুশীলন করা।

৬. নিয়মিত লেচিথিন সমৃদ্ধ খাবার যেমন- দানা শস্য, সীম, চীনা বাদাম ইত্যাদি খাওয়ার অভ্যাস করা।

৭. এন্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার যেমন- বরই, জাম, তরমুজ, আম, লেবু, টমেটো, মিষ্টি কুমড়া, গাজর, পালং শাক, ফুল কপি, বাধা কপি, ব্রকলি, সীম, পিয়াজ, রসুন, কাঁচা মরিচ, চীনা বাদাম, তিল, দানা শস্য, মাছ, ইত্যাদি নিয়মিত খাওয়া।

সাম্প্রতিক কালে বাংলাদেশে আর্থিক অগ্রগতি, নগরায়ণ, খাদ্যাভাস ও জীবন ধারার পরিবর্তনের সাথে সাথে অসংক্রামক রোগের বিস্তৃতি দেখা যাচ্ছে। অসংক্রামক রোগ ভয়াবহ আকারে বিস্তৃতির আগেই এ বিষয়ে পরিকল্পিত ব্যবস্থা গ্রহণ করা বাঞ্ছনীয়।


Click Here To Print


Comments Must Be Less Than 5,000 Charachter