পদ্মার ইলিশ আর পাবনার ঘি, জামাইয়ের পাতে দিলে আর লাগে কি!
পাবনার প্রসিদ্ধ ঘি এর কদর বাঙলা দেশের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে পরেছে। এমন কি দেশের গন্ডি পেরিয়ে বিদেশে পাবনার ঘি এর কদর রয়েছ। ঘি নিয়ে উপরোক্ত প্রবাদ শুধু পাবনাতে নয়, বাঙলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় প্রচলিত আছে।
ঘি নিয়ে পাবনাবাসীর গর্ব করার সুযোগ সৃষ্টি করেছে উপজেলা সাথিয়া, বেড়া, ফরিদপুর, আটঘড়িয়া, ঈশ্বরদী এবং সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর উপজেলার গরুর দুধের কারনে।এই উপজেলা গুলো দুধ উৎপাদন কারী এলাকা হিসাবে পরিচিত।এই অঞ্চলের দুধ স্বাধে ও মানে উৎকৃষ্ট বলে দাবী করে পাবনা জেলাবাসী।
ঘি উৎপাদনে প্রসিদ্ধ হওয়ার পেছনে রয়েছে দুধের সহজ প্রাপ্যতা। পাবনা থেকে দুধ সংগ্রহ করে দুধ উৎপাদনকারী প্রতিস্ঠানগুলো দুধের চাহিদার শিংহ ভাগ পূরন করে থাকে।
ঘি তৈরীর মুল উপাদান হলো ননি।খাটি ননি সঠিক নিয়মে জ্বাল দিয়ে তৈরী হয় ঘি।পাবনায় রয়েছে ননি তৈরীর পাশাপাশি ছানা তৈরীর কারখানা। ঘি উৎপাদনকারী কারিগরেরা বিশেষ যন্ত্রের সাহায্যে দুধ ভাংগিয়ে তৈরী করে ননি।ননি জ্বাল দিয়ে তৈরী করে ঘি।সাধারনত ২ কেজি ননিতে ১ কেজি ঘি তৈরী হয়।
ঘি তৈরীতে পাবনার বেড়া উপজেলার ডাকবাঙলা, পেচাকোলা, হাটুরিয়া। সাথীয়া উপজেলার সোনাতলা, মেলন্দা, ডেমড়া। ফরিদপুর উপজেলার গোপালনগর এবং ঈশ্বরদী উপজেলার নয়াকৃষির উৎপাদিত ভেজালমুক্ত বিখ্যাত ঘি ঢাকার মোহাম্মদপুরের শস্যপ্রবর্তনায় পাওয়া যাচ্ছে, যা ইতি মধ্যে দেশ এবং বিদেশে সুনাম অর্জন করেছে।
পাবনা জেলার প্রতিটি কারখানায় প্রতিদিন ২০/২৫ কেজি ননি ও ২০ কেজি ঘি তৈরী হয়। শুধু গোপাল নগরেই ৪/৫ মন ঘি তৈরী হয়।
তাই দেশ-বিদেশে পাবনার ঘি এর কদরের কারনে প্রচলিত প্রবাদ –
পদ্মার ইলিশ আর পাবনার ঘি,
জামাইয়ের পাতে দিলে আর লাগে কি!