কৃষকদের সাথে চৈত্র সংক্রান্তি পালন


৩০ চৈত্র ১৪২৩-বাংলা, ১৩ এপ্রিল, ২০১৭ ইং রোজ বৃহস্পতিবার উবিনীগ নোনাবাড়ী বিদ্যাঘর, মগনামা পাড়া বদরখালী, চকরিয়া, কক্সবাজারে চৈত্র সংক্রান্তি ১৪২৩ পালিত হয়। চৈত্র সংক্রান্তিতে কক্সবাজার জেলার বদরখালী, শাপলাপুর ও কেএমছড়া ইউনিয়নের ১৭ জন কৃষক অংশগ্রহন করে ।

৩টি ইউনিয়নের কৃষকরা ১৪ প্রকার অনাবাদী এবং ৯ প্রকার আবাদী শাক নিয়ে আসেন।

অনাবাদী শাক গুলো হলো:

১. বথুয়া শাক, ২.খুরমুজ্জা শাক, ৩.খেতাফাটা শাক, ৪.হাটুরা মারিস শাক, ৫.কাটা মারিস শাক, ৬ .তেলাকচু শাক, ৭.আই শাক, ৮.গিরমি তিতা শাক, ৯. নূন্যা শাক,১০.ইলিচি শাক, ১১.থানকুনি শাক, ১২. কচু শাক, ১৩.কলমি শাক, ১৪.মিষ্টি আলু পাতা শাক।

আবাদী শাক গুলো হলো:

১. লাউ শাক, ২. মিষ্টি কমড়া শাক, ৩. পুঁই শাক, ৪. ঝিংগা পাতা শাক, ৫. ফেলন পাতা শাক, ৬. টমেটো পাতা শাক, ৭. ডাটা শাক, ৮ .লাল শাক, ৯. ঢেঁড়স পাতা শাক।

আলোচনায় কৃষক জাকের হোসাইন বলেন, আমরা দীর্ঘ দিন ধরে নয়া কৃষি করে আসছি। নয়াকৃষি করলে এলাকায় অনাবাদী ফসল বেশী হয়। যা খেলে আমরা অনেক রোগ থেকে বাঁচতে পারি । কৃষক শাকেরা বেগম বলেন, এ বছর খেতাফাটা শাক খুব কম দেখা গেছে কারণ এখন পর্যন্ত বৃষ্টি কম হয়েছে। কৃষক মোতাহারা বেগম বলেন, অন্য বছরের তুলনায় ইলিচি শাক বেশী দেখা গেছে ।

চৈত্র সংক্রান্তিতে ১৪ প্রকারের কুড়িয়ে পাওয়া শাক খেলে আমরা রোগ থেকে সুরক্ষা পাব। এখানে আজকে ১৪ প্রকারের শাক আনা মানে এলাকায় এগুলো এখনো আছে এবং পাওয়া যায়। যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ভাল। চৈত্র সংক্রান্তি পালন আমাদের সংস্কৃতির একটা বড় অংশ।

উবিনীগ
কক্সবাজার কেন্দ্র


Click Here To Print


Comments Must Be Less Than 5,000 Charachter