বাংলাদেশে বিদেশী ফল
সাম্প্রতি ফল উৎপাদনে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে।বিশ্ব খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) হিসাবে বাংলাদেশ ফল উৎপাদনে গত প্রায় ১৮ বছর ধরে প্রতিবছর ১১% হারে বৃদ্ধি পেয়েছে (এফএও,২০০৯)। যা বিশ্বের অন্য কোন দেশে হয়নি।
গত এক দশকে কমপক্ষে ২১টি বিদেশী ফল বাংলাদেশে প্রবর্তন হয়েছে। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে:
ক্রম নং ফলের নাম ফলের বৈজ্ঞানিক নাম
১ ড্রাগন ফল ঝবষবহরপবৎবঁং ঁহফঁষধঃঁং
২ রামবুটান ঘবঢ়যবঁস ষধঢ়ঢ়ধপবঁহ
৩ স্ট্রবেরি ঋৎধমধৎরধ ধহধহধংধ
৪ আলুবোখারা চৎঁহঁং নড়শযধৎবহংরং
৫ প্যাশন ফল চধংংরভষড়ৎধ বফঁষরং
৬ পার্শিমন উরড়ংঢ়ুৎড়ং শধশর
৭ অ্যাভোকাডো চবৎংবধ ধসবৎরপধহধ
৮ চেরি ফল চৎঁহঁং ধারঁস
৯ লংগন উরসড়পধৎঢ়ঁং ষড়হমধহ
১০ রক মেলন ঈঁপঁসরং সবষড়
১১ সৌদি খেজুর চযড়বহরী ফধপঃুষরভবৎবধ
১২ রুটি ফল অৎঃড়পধৎঢ়ঁং ধষঃরষরং
১৩ ক্যানিসটেল বা জামান ফল চড়ঁঃবৎরধ পধসঢ়বপযরধহধ
১৪ সন্তল ঝধসফধৎরপঁস শড়বঃলধঢ়ব
১৫ মালটা ঈরঃৎঁং ংরহবহংরং
১৬ টক আতা অহহড়হবধ ৎবঃরপঁষধঃধ
১৭ কোকো ঞযবড়নৎড়সধ পধপধড়
১৮ আঙ্গুর ঠরঃরং ারহরভবৎধ
১৯ পীচ ফল চৎঁসঁং নবৎংরপধ
২০ ম্যাঙ্গোস্টিন এধৎপরহরধ সধহড়ংঃধহধ
২১ ডুরিয়ান উঁরৎড় ুরনবঃযরঁং
ইত্যাদি।
একটি জনপ্রিয় ফল লিচু (খরভপযর পযরহবহংরং)। এ ফলটি চীন থেকে বাংলাদেশে প্রবর্তন করা হয়েছিল সূদূর অতীতে। এমন অনেক ফল ফসল, শাক-সবজি বিদেশ থেকে আগে এদেশে এসেছে। এদেশকে আপন করে নিয়েছে। তাই আমরা তাদের বাংলাদেশী ফল ফসল বলি।
এসব পুরানো প্রজাতির মধ্যে কিছু নতুন জাত সম্প্রতি প্রবর্তন করা হয়েছে। যেমনÑ থাইল্যান্ডের পেয়ারা। এই জাতের পেয়ারায় ১২ মাস ফুল ফল দেয়। এ জাতের পেয়ারা সারা বছর পাওয়া যায়। বারো মাসি আমের জাত কাটিমন সারা বছর পাওয়া যায়। ব্রুনাই রাজা আম, একেকটি আম ২-৩ কেজি ওজনের হয়। এছাড়াও এসেছে থাই জামরুল, অরবরই, বামন নারিকেল এবং বারোমাসি তরমুজ।
ফলের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন, খনিজ লবন এবং আঁশ। বৈচিত্র্যপূর্ণ ফলে এ সব উপাদান পর্যাপ্ত পরিমাণে পাওয়া যায়। ফলের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে খাদ্য অংশ রয়েছে যা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফাইটো এস্ট্রোজেন এবং এন্টিইনফ্লেমেটরি এজেন্ট হিসাবেও কাজ করে।
খাদ্য তালিকায় ফলের সমারোহ শুভ লক্ষণ। নয়াকৃষি (প্রাণবৈচিত্র্য নির্ভর প্রাকৃতিক কৃষি) পদ্ধতিতে ফলের উৎপাদন বহুবিধ সম্ভাবনার দ্বার খুলে দেবে। স্থানীয় কৃষি শ্রমিকদের বারো মাস কাজের সুযোগ হবে। ফল বাগানে সাথী ফসল হিসাবে শাক সবজির উৎপাদন বাড়ানো যাবে। ফলের স্থানীয় চাহিদা পূরণ করে উদ্বৃত্ত ফল উচ্চমূল্যের ফল হিসাবে বিশ্ব বাজারে বিক্রী করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা যাবে।