তামাক বিরোধী নারী জোট (তাবিনাজ) ও সম্মেলন
তামাক বিরোধী নারী জোট ( তাবিনাজ)-এর মূল উদ্দেশ্য সামগ্রিকভাবে নারীদের তামাকের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে মুক্ত করা। ধূমপায়ী হিসেবে সংখ্যায় কম হলেও নারীরা পরোক্ষ ধূমপানের শিকার। অন্যদিকে ধোঁয়াবিহীন তামাক সেবনের প্রবণতা নারীদের মধ্যেই বেশী দেখা যায়। পানের সাথে জর্দা, সাদাপাতা ও গুলের ব্যবহার গ্রাম ও শহর সবখানেই আছে। এর ফলে নারীদের নানা ধরণের স্বাস্থ্য সমস্যা হচ্ছে। তামাক চাষ এবং নানা ধরণের তামাকজাত দ্রব্য সেবন নারী-পুরুষ এবং শিশুদের নীরব ঘাতক হিসাবে কাজ করে। তামাক চাষের কারণে খাদ্যের অভাবসহ অতি পরিশ্রম ও মানসিক চাপ নারীকে তার স্বাভাবিক জীবন থেকে দূরে নিয়ে যাচ্ছে। তাই নারীকে ক্ষতিকর তামাক থেকে মুক্ত করা জরুরী।
তামাক বিরোধী নারী জোট (তাবিনাজ) আত্মপ্রকাশ করে ৬ মার্চ, ২০১১ তারিখে ঢাকা জাতীয় প্রেসক্লাবে। আমি তামাক বিরোধী নারী জোট (তাবিনাজ)-এর সচিবালয় ৬/৮, স্যার সৈয়দ রোড, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭ এর অফিসে গবেষক হিশাবে কাজ করছি।
বর্তমানে তাবিনাজের সদস্য ৫৪টি জেলায় ৫৭ জন নারী সংগঠক। এই জোটের সদস্য শুধুমাত্র নারীরাই হতে পারে। তাবিনাজ তিন বছর পূর্তির পথে।
আমরা এখন একটি তামাক বিরোধী নারী জোট (তাবিনাজ)-এর সম্মেলন করার পরিকল্পনা করেছি। আগামি ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ তারিখে তামাক নিয়ন্ত্রণ সংগঠন, তামাক বিরোধী নারী জোটের সদস্য, কৃষকদের সাথে সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। সম্মেলনের স্থান হচ্ছে রিদিয়পুর বিদ্যাঘর। টাংগাইল জেলার দেলদুয়ার উপজেলার পাথরাইল ইউনিয়নের বিষ্ণুপুর গ্রামে।
এই সম্মেলনে তাবিনাজের বিভিন্ন কার্যক্রম তুলে ধরা হবে। যেমন, তাবিনাজ প্রতিষ্ঠার পূর্বে তামাক চাষের গবেষণা, তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন-২০০৫ সংশোধনের দাবী, বাংলাদেশের জর্দা-গুলের অনুসন্ধানের চিত্র এবং তাবিনাজের পরবর্তী কার্যক্রম।