বারির সংবাদ সম্মেলন
বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিউট এখন প্রতিবাদ করছে।
বিটিবেগুন বিরোধী মোর্চা গত ১৮ ফেব্রুয়ারিতে গাজিপুরে জেলা পরিষদের সসামনে বিটিবেগুনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছে (দেখুন) । এখন বারি পালটা সংবাদ সম্মেলন করছে।
---------
বৃহস্পতিবার দুপুরে গাজীপুরে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিউটের (বারি) মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে ড. রফিকুল বলেন, “বিটি বেগুন খেলে ‘বেগুনের-ডগা-ফল-ছিদ্রকারী পোকা ছাড়া অন্য কোন প্রাণির ক্ষতির সম্ভাবনা নেই।”
এ সম্মেলনে জানানো হয়, ২০০৫ সাল থেকে বারি আমেরিকার সহায়তায় ডগা-ফল ছিদ্রকারী পোকা প্রতিরোধী বিটি বেগুনের উপর গবেষণা শুরু হয়।
দেশীয় বেগুনে ডগা-ফল ছিদ্রকারী পোকা প্রতিরোধী জিন ঢুকিয়ে বিটি বেগুনের ৯টি জাত উদ্ভাবন করা হয়।
তা উন্নত দেশের ১০টিরও বেশি পরীক্ষাগারে মাছ, মুরগি, ছাগল, খরগোস, ইঁদুর ও মহিষসহ বিভিন্ন প্রাণীর উপর পরীক্ষা চালানো হয়। এতে তাদের উপর কোন ক্ষতিকর প্রভাব দেখা যায়নি।
মহাসচিব জানান, সব আনুষ্ঠিকতা মেনে সম্প্রতি বিটি বেগুনের চারটি জাত কৃষকদের সরবরাহ করা হয়েছে।
এ জাত থেকে বীজ সংগ্রহ করে কৃষকরা নিজেরাই চারা উৎপন্ন করতে পারবেন। এতে হাইব্রিড জাতের মতো বার বার বীজ কেনার বিড়ম্বনা নেই।
দুঃখ প্রকাশ করে তিনি বলেন, “যখন উন্নত বিশ্বে জিন প্রকৌশল প্রয়োগ করে বিভিন্ন জাত উদ্ভাবন করছে, তখন কয়েকটি সংগঠন নানা উছিলায় এসব জাত প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে আসছে।”
কীটনাশকের ব্যবহার কমে যাওয়ার আশঙ্কায় কীটনাশক সরবরাহকারী দেশের ইন্ধনে বিটি বেগুন বিরোধী আন্দোলন হচ্ছে বলে মনে করেন তিনি।
গত ১৮ ফেব্রুয়ারি বিটি বেগুন চাষ প্রত্যাহারে দাবিতে গাজীপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের চত্বরে উবিনীগ, নয়া কৃষি আন্দোলন, বেলা, বিটি বেগুনের জাত প্রতিরোধী গণমোর্চাসহ কয়েকটি সংগঠন মানববন্ধন করে।
এর প্রেক্ষিতেই বারিতে এই সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়।
সৌজন্যেঃ বিডিনিউজ২৪