নানান বাহারের সীম ও একটি গান


উবিনীগ রিদয়পুর বিদ্যাঘর টাঙ্গাইল, এই বছর ১৭ টি জাতের সীম রোপন করা হয়েছে, সীমের জাতগুলোর নাম হচ্ছে। যেমন: কার্তিক সীম, তক্তা সীম, বক্তীমা সীম, চটকা সীম, নলী সীম আউশা সীম, কালো শিরা সীম, হাতি কানে সীম, সিন্দুর সীম, পুটি সীম, আউশে সবুজ সীম, মটর সীম, ছেই সীম, বরবটি সীম, মটর সীম (১), সাদা সীম , সিরা সীম। এতো নানান বাহারের সীম দেখলে মনে আনন্দ দেয়। আরো জমিতে ফসল রয়েছে লাল শাক ডাটা শাক ওল কছু বেগুন ও কুড়িয়ে পাওয়া নানান রকমের শাক পাতাও রয়েছে।


shim


shim


shim


shim


shim


lal shakh

লাল শাক ও ডাটা


বিদ্যাঘরে রয়েছে একটি নার্ছারি, দুটি বীজঘর, মিটিং করার জন্য রয়েছে বিশাল এক কনর্ফারেন্স রুম, এছাড়াও রয়েছে নয়াকৃষি পণ্যের কিছু ঘর , মুড়ি ও খই ভাজার ঘর, ঢেঁকিছাটা চাউলের ঘর। ঘানি ঘর। আরো রয়েছে নানান প্রজাতির গাছপালা, সবুজ শ্যামলে ঘিরা টাংগাইল বিদ্যাঘর।

বিদ্যাঘরের একটি জমিতে গম রোপন করা হয়েছে, গম ক্ষেতের এই ছবিটা দেখে একটি গল্প মনে পড়ে তাই তুলে দেওয়া হলো।


গম ক্ষেত

এই ছবিটা দেখে ছোটবেলার ইস্কুলে কথা মনে পড়ে যায়, শ্রদ্ধীয় বড় স্যার গান শিখাবেন আমাদের আঞ্চলিক ভাষায়, গানটা শুনতে থাকি আর বুক ফেঠে হাসতে লাগি, গানের কিছু কথা এখানে তুলে দিলাম:


ও মুই এদান কে হলুং, ও মুই এদান কে হলুং

অজগবিতে কান্তে কান্তে মাডিত পড়িনুং

নয়া তবানডার মুড়ি ফাডানুং

ওমুই এদান কে হলুং, ওমুই এদান কে হলুং

আরে ভয়ে ভয়ে আগি দেখন এহান বাইগন বারি

পোয়ালের মানুষ বানাই মাথাথ দিছে হাড়ি....

এর মানে একটি লোক শ্বশুর বাড়ি যাবার পথে অন্ধকার হয়েছে, পথে যাবার সময় দেখতে পায় একটি জমিতে একজন লোক দাড়াই আছে সেটাকে দেখে সে ভয়ে উল্টেপরে গিয়ে তার পরনের লুঙি ছিরে যায়। তারপর সে আস্তে আস্তে এগিয়ে দেখে এটা তো খড়ের তৈরি মানুষ এটাকে দেখে সে ভয় পায়।  


shim


Click Here To Print


Comments Must Be Less Than 5,000 Charachter