দাইমাদের সাথে পু্ষ্টির কথা


ঈশ্বরদীর হাতিগাড়া গ্রামে ৮ মার্চ, ২০১৪ সকালে দাইদের নিয়ে প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হলো ‘হাতিগাড়া দাই ঘর’ এ।

এই প্রশিক্ষণে পাঁচটি গ্রামের (হাতিগাড়া, পাড়াসিধাই, টংবয়রা, শ্যামপুর ও বাগবাড়ি) মোট ৩২ জন দাইমার মধ্যে ২১ জন দাইমা অংশগ্রহণ করেন।

আজ আলোচনার মধ্যে বিশেষভাবে গুরুত্ব পায় মা ও শিশু পুষ্টির প্রয়োজনীয়তা নিয়ে। গর্ভবতী মা, প্রসবোত্তর মা ও শিশুকে কতটুকু খাদ্য খেতে হবে তা পিরামিড ভারসাম্যের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়।

পুষ্টি পিরামিড

পাঁচটি ভাগে খাদ্য পিরামিডকে ভাগ করা হয়। সবচেয়ে উপরের ধাপে ছিল তেল, ঘি।

দ্বিতীয় ধাপে দুধ, ডিম, মাছ, মাংস অর্থাৎ আমিষ জাতীয়।

তৃতীয় ধাপে ছিল ফল-কামরাঙা, পেয়ারা, লেবু, টমেটো, বড়ই।

চতুর্থ ধাপে ছিল শাক সবজি। কুড়িয়ে পাওয়া শাক এর মধ্যে ছিল-শান্তির শাক, কচুর শাক, তেলা কচু, ডন্ড কলস, সজনে শাক। আরও শাক ছিল-পুঁই শাক, লাল শাক, লাউ শাক, খেসারী শাক, ধনে পাতা।

সবজি- কাঁচা পেঁপে, ডুমুর, আলু, বেগুন, সীম, কলার মোচা, কাঁচা কলা।

পঞ্চম বা শেষ ধাপ-চাল, মুড়ি, গম, ছাতু।

ডা. আজমিরী বেগম, মেডিকেল অফিসার, ঈশ্বরদী উপজেলা হাসপাতাল

যখন কোন গর্ভবতী মাকে পুষ্টি জাতীয় খাবার খেতে বলা হবে তখন খাদ্য পিরামিড হিসাবে খাদ্য খেলে গর্ভবতী মায়ের পুষ্টি ঘাটতি পূরণ হবে। তেল অল্প খেলেই চলে। তবে গর্ভবতী মায়ের খাদ্যে সবসময় প্রোটিন থাকতে হবে। যে দিন মাছ, মাংস না থাকবে সে দিন ডাল ঘন করে খেলে প্রেটিন খাওয়া হবে। আর যদি মাছ, মাংস, ডাল না থাকে তাহলে সীম বীচিসহ খেলে প্রোটিন পাওয়া যাবে। সবজির মধ্যেও প্রোটিন আছে, আয়রণ আছে। কলার মোচা খেলে শরীরে রক্ত হবে। একজন গর্ভবতী মাকে প্রতিদিন যদি সম্ভব হয় দুধ খেতে হবে। আর প্রসবোত্তর মাও শাক সবজি, ফলমূল সবই খেতে পারবে।

 


Click Here To Print


Comments Must Be Less Than 5,000 Charachter