পুষ্টি পিরামিড
পুষ্টি পিরামিড একটা চার্ট এতে পাঁচ ধরণের খাদ্যের ভাগ আছে। এই চার্ট সব সময় মনে করিয়ে দেয় কোন ভাগের খাদ্য কতটুকু বা কি পরিমাণে খেতে হয়। পিরামিডের একদম শেষের ধাপে আমরা দেখতে পাচ্ছি -এখানে আছে চাল, আটা, আলু , মুড়ি ইত্যাদি। এগুলো বেশি বেশি খেতে হবে। তার উপরের ধাপে আছে তাজা শাক সবজি। এগুলো সব সময় খেতে হবে। তবে ভাতের চেয়ে একটু কম খেতে হবে ।
এর উপরের ধাপে ফলমূল। এগুলো শাক সবজির থেকে আর একটু কম খেতে হবে কিন্তু ফলমূল নিয়মিত খেতে হবে ।
তৃতীয় দাপ বা তার উপরের ধাপে আছে দুধের তৈরী জিনিস এবং মাছ, মাংস। অর্থাৎ প্রটিন জাতীয় খাদ্য। যেমন - দুধ, দই, মাছ, মাংস, ডিম ইত্যাদি। এগুলো তুলনামূলক কম খেতে হবে। এগুলো শরীরের জন্য খুবই জরুরী কিন্তু বেশী দরকার নাই।
সবচেয়ে উপরের ধাপে আছে ফ্যাটযুক্ত খাবার। যেমন - তেল, ঘি। এ সব খাদ্য-খাবার খুব কম খেলেই চলবে।
পুষ্টি পিরামিড মাথায় রেখে যদি মা, গর্ভবতী নারী ও শিশুদের খাবারের কথা বলা হয় তা হলে সেটা খুবই কার্যকরী হবে।
ককস্ বাজারের চকরিয়া উপজেলার বদরখালী ইউনিয়নে ‘মগনামা পাড়া দাই ঘর’ এবং পার্বত্য চট্টগ্রামের লামা উপজেলার ‘মার্মা পাড়ায় দাই ঘরে’ দাইমা ও গর্ভবতী মাদের নিয়ে দুটি পুষ্টি পিরামিড করা হয় ২৪ মার্চ ও ২৮ মার্চ, ২০১৪ তে। পুষ্টি পিরামিড আলোচনায় ২৮ জন দাইমা ও ১৫ জন গর্ভবতী নারী আনন্দের সাথে অংশগ্রহণ করে।