কৃমি নাশক ট্যাবলেট খেয়ে শিশুরা অসুস্থ
প্রতিবছরের মতো এবারও বাচ্চাদের কৃমি নাশক ওষুধ খাওয়ানো হয়েছে। এই ওষুধ খেয়ে শিশুরা অসুস্থ হয়ে পরার খবর পাওয়া গেছে। ১ এপ্রিল, ২০১৪ প্রথম আলোতে একটি বিজ্ঞাপন দেয়া হয়। ১-৭ এপ্রিল ২০১৪ প্রাথমিক পর্যায়ে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিশুদের কৃমিনাশক ঔষধ সেবন করানো হবে।
বিজ্ঞাপনটি পড়েই কেন যেন মনে হয়েছিল হয়তো প্রতিবারের মতো এবারও শিশুদের অসুস্থ হওয়ার খবর পাওয়া যাবে। যে কথা সেই কাজ ৩ এপ্রিল ইনক্লিাবের প্রথম পাতায় খবর বের হয়েছে কুষ্টিয়ার মিরপুরে কৃমিনাশক ট্যাবলেট খেয়ে ৭ শিক্ষার্থী অসুস্থ। ২ এপ্রিল, ২০১৪ কুষ্টিয়া উপজেলার ধুবইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের কৃমিনাশক ট্যাবলেট খাওয়ালে এ সময়ে এই বিদ্যালয়ের ছাত্রী এশা, রিমা, তারিন, সোনালী, সুমি, মিম ও নাসরিন মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়ে। স্থানীয় জনগণ অসুন্থ শিক্ষার্থীদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সিভিল সার্জন ডা. মোঃ মুস্তাফিজুর রহমান জানান অতিরিক্ত তাপদাহের কারণে এমনটা হতে পারে তবে ভয়ের কিছু নাই। যদি তাই হয়ে থাকে তা হলে একদিকে পত্রিকাগুলিতে তাপদাহের ভয়াবহতা নিয়ে মানুষকে সতর্ক করছেন। অন্য দিকে এই তাপদাহের মধ্যে শিশুদের খাওয়ানো হচ্ছে কৃমিনাশক ট্যাবলেট। সচেতন একজন স্বাস্থ্য কর্মী হয়ে কিছু না লিখে পারছি না। ছোট বেলায় দেখেছি বাবা মা শীতের সময় আমাদের কৃমিনাশক ট্যাবলৈট খাওয়াতেন। তখন কোন সমস্যা হতে দেখিনি। এখন প্রতিবছর দেখছি গরমের সময়ে কৃমিনাশক ট্যাবলেট খাওয়ানো হয়। এটা কেন করা হয়? আর একটি বিষয় হলো অনেক অভিবাবক শীতের সময় শিশুদের কৃমিনাশক খাওয়ান তা হলে দ্বিতীয় বার কি কোন প্রয়োজন হয়? শিশুরা শিক্ষকে ভগবানের মত বিশ্বাস করে তাই যা দেয় তাই শিশুরা গ্রহণ করে। কোন কিছু না জেনে এটা খাওয়ানো ঠিক নয় বলে মনে করি। স্বাস্থ্য বিভাগীয় কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্শন করে বলছি এটাকি দাতাদের চাপিয়ে দেয়া প্রোগ্রাম। যদি তা না হয়ে থাকে তাহলে আমার আবেদন হলো কৃমিনাশক ওষুধ শীতকালে খাওয়ালে ভাল। আর যাতে অতিরিক্ত ডোজ না হয়ে যায় সেদিকেও খেয়াল রাখা প্রয়োজন।