৫ মে, আসুন দাই মা দিবস পালন করি
মে মাসের ৫ তারিখ আন্তর্জাতিক ধাত্রী দিবস। আন্তর্জাতিকভাবে ধাত্রীরা সন্তান প্রসবে মায়েদের যেভাবে যুগ যুগ ধরে সেবা দিয়ে আসছেন সেই কাজের স্বীকৃতির জন্য ১৯৮০ এর দশক থেকে তাঁরা দাবী করে আসছেন। শেষ পর্যন্ত ১৯৯২ সালে ৫ মে তারিখটি আন্তর্জাতিক ধাত্রী দিবস হিসেবে স্বীকৃতি পায়।
প্রতিবছর এই দিবসটি পালনের মধ্য দিয়ে ধাত্রীরা মনে করিয়ে দিতে চান ধাত্রীবিদ্যা এবং পেশা হিশেবে ধাত্রীর কাজের গুরুত্ব কতখানি। এই দিনে তাঁরা একে অপরের সাথে যোগাযোগ করেন, এবং অন্যদের সাথেও সম্পর্ক তৈরী করে তাঁরা তাঁদের জ্ঞান ও অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন। বিশ্বব্যাপী মাতৃ ও শিশু মৃত্যুর হার কমাবার জন্য যে এমডিজি ৪ ও ৫ এ লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছে তাতে ধাত্রীদের ছাড়া অর্জন করা কোন মতেই সম্ভব নয়। তাই এখন তাদের শ্লোগান উঠেছে, ‘ বিশ্বে ধাত্রীদের প্রয়োজন আগের তুলনায় বেড়েছে “The World Needs Midwives Today More Than Ever” ।
এবার ২০১৪ সালে মূল শ্লোগানের সাথে মিলিয়ে যে শ্লোগান দেয়া হয়েছে তা হচ্ছে, “ধাত্রীরা এক একটি পরিবারে সেবা দিয়ে বিশ্বে পরিবর্তন আনবে”। তাঁদের কাজ সরাসরি মা ও শিশুদের অবস্থা পরিবর্তন করবে। প্রয়োজনীয় ও সময়মতো সহযোগিতা পেলে তাদের জীবন বাঁচবে।
বাংলাদেশে এই দিবসটি পালনের রেওয়াজ গড়ে ওঠে নাই। আন্তর্জাতিকভাবে যাদের ধাত্রী বা মিডওয়াইফ বলা হয় আমাদের দাই মায়েরা সে ধরণের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা থেকে বঞ্চিত, কিন্তু তাঁদের জ্ঞান ও অভিজ্ঞতার কারণে এখনো ৮৫% মায়েরা নিজ বাড়ীতে দাই মায়েদের সেবা নিয়ে সন্তান প্রসব করেন। অর্থাৎ জনগোষ্টির একটি বড় অংশ এই দাই মায়েদের ওপর নির্ভরশীল, অথচ তাঁদের স্বীকৃতি নেই, নেই কোন সহযোগিতা।
তাই আসুন, ৫ মে তারিখে আমরা বাংলাদেশ দাই মা দিবস পালন করি, এবং দাই মায়েদের আরো দক্ষ করার জন্যে উদ্যোগ নেই এবং দাই মায়েদের কাজের সাথে সরকারের স্বাস্থ্য সেবা যুক্ত করে আমাদের দেশের মা ও শিশুদের জীবন রক্ষা করি।