সবচেয়ে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে ধাত্রীরা


বাংলাদেশে মাতৃমৃত্যুর হার কমেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) এক প্রতিবেদনে গত ৬ মে, ২০১৪ তারিখে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। এটা বংলাদেশের কাজের সফল অর্জন বলা যায়। সারা বিশ্বে মাতৃমৃত্যু ও মাতৃস্বাস্থ্য নিয়ে প্রকাশিত ডব্লিউএইচওর ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৯৯০ সাল থেকে গতবছর পর্যন্ত বিশ্বে মাতৃমৃত্যুর হার কমেছে ৪৫ শতাংশ। প্রতিবেদনে ১৯৯০ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত মাতৃমৃত্যু ও মাতৃস্বাস্থ্য পরিস্থিতি তুলে ধরা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে গত বছর সন্তান জন্ম দিতে গিয়ে প্রতি এক লাখে ১৭০ জন মায়ের মৃত্যু হয়েছে। ১৯৯০ সালে এই এই সংখ্যা ছিল ৫৫০। মাতৃমৃত্যু হার কমিয়ে আনতে বাংলাদেশ যে ধারবাহিকভাবে উন্নতি করেছে তা প্রতিবেদনের পরিসংখ্যানে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে মাতৃস্বাস্থ্যের বিষয়ে বাংলাদেশ ‘উন্নতি করছে’। উবিনীগ (উন্নয়ন বিকল্পে নীতি নির্ধারণী গবেষণা) এই লক্ষ্যে কাজ করছে।

বিশ্বব্যাপী মাতৃমৃত্যু ও শিশু মৃত্যু হার কমাবার জন্য যে এমডিজি ৪ ও ৫ এ যে লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছে তাতে ধাত্রীদের ছাড়া কোন মতেই এটা অর্জন করা সম্ভব নয়। এবার ২০১৪ সালে আন্তর্জাতিক ধাত্রী দিবসে শ্লোগান ছিল“ধাত্রীরা এক একটি পরবারে সেবা দিয়ে বিশেষ পরিবর্তন আনবে” তাদের কাজ সরাসরি গ্রামের মা ও শিশুদের নিয়ে। তারা কাজ করে মাতৃমৃত্যু ও শিশু মৃত্যু রোধ করবে।

মাতৃমৃত্যু ও শিশুমৃত্যু রোধ করার জন্যে উবিনীগ ২০১২ সাল থেকে জেলা পর্যায়ে কাজ করে যাচ্ছে।

১৫ জেলা ২০ টি উপজেলা ৩০টি গ্রাম নিয়ে এই কাজ চলছে। মাতৃমৃত্যু ও শিশুমৃত্যু রোধ করার জন্যে সব চেয়ে অগ্রণী ভূমিকা রাখছে উবিনীগ থেকে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত ধাত্রীরা। তারা খুব যত্ন সহকারে মা ও শিশুদের স্বাস্থ্য পরামর্শ সেবা দিচ্ছেন। সময় মতো ধাত্রীর সহযোগিতা পেলে মা ও শিশুর জীবন বাঁচানো সম্ভব।

 


Click Here To Print


Comments Must Be Less Than 5,000 Charachter