গত ২২/০৫/২০১৪ইং তারিখ সকাল ১১: ৩০ ঘটিকায় আন্তর্জাতিক প্রাণবৈচিত্র্য দিবস (International Day for Biological Diversity 2014) উপলক্ষে এক মানববন্ধন ও র্যালী অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন ও র্যালী আয়োজন করেন উবিনীগ, নয়াকৃষি আন্দোলনের প্রাণবৈচিত্র্যের সামাজিক ব্যবস্থাপনা (সিবিএম) প্রকল্প। আন্তর্জাতিক ভাবে এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় দেওয়া হয়েছে -দ্বীপ জীববৈচিত্র্য রক্ষা কর। উবিনীগ, নয়াকৃষি আন্দোলেনর পক্ষ থেকে বাংলাদেশের কৃষি পেক্ষাপটে প্রতিপাদ্য বিষয় দেওয়া হয়েছে “স্থানীয় জাতের বীজ, গাছপালা ও পশু পাখি রক্ষা কর”। এরই লক্ষ্যে বড়াইগ্রাম উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গনে একটি মানব-বন্ধন ও র্যালীর আয়োজন করা হয়। উপজেলা পরিষদ চত্বরে আয়োজিত মানববন (আরো পড়ুন )
২২ মে, ২০১১ ঢাকা: বিশ্ব প্রাণবৈচিত্র্য দিবসে নায়াকৃষি আন্দোলন, উবিনীগ ও নারীগ্রন্থ প্রবর্তনার উদ্যোগে ঢাকায় জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। উবিনীগের নির্বাহী পরিচালক ফরিদা আখতার সবার পক্ষ থেকে সেই বিশেষ দিনের তাৎপর্য ব্যখ্যা করে বক্তব্য পেশ করেন। ড, এম এ সোবহান ও গোলাম রাব্বি বাদল সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দেন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সীমা দাস সীমু, সাইদা আখতার ও জাহাংগির আলম জনি।
প্রাণবৈচিত্র্য ধ্বংস নিয়ে এতদিন অনেক সাবধান বাণী আমরা শুনেছি কিন্তু আমাদের দেশের সরকার এবং আমাদের দেশের উন্নয়নের জন্য যারা সহযোগিতা করেন তাঁরা কেউ বিষয়টি আমলে আনেন নি, তাই বিশ্ব প্রাণবৈচিত্র্য দিবস ২০১০ পালন করতে গিয়ে এতদিন কত ক্ষ (আরো পড়ুন )
চকরিয়া উপজেলার বদরখালী ইউনিয়নে বিশ্ব প্রাণ বৈচিত্র দিবস উপলক্ষে অনুষ্টিত র্যালী।কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার বদরখালী ইউনিয়নের দক্ষিনে মহেশখালী চ্যানেলের দ্বীপ এলাকায় গতকাল বৃহস্পতিবার ব্যাপক আয়োজনে বিশ্ব প্রাণ বৈচিত্র দিবস পালিত হয়েছে। প্রাণ বৈচিত্রের সামাজিক ব্যবস্থাপনা (সিবিএম, নয়াকৃষি আন্দোলন ও এনজিও সংস্থার উবিনীগের যৌথ আয়োজনে দিবসটি পালন উপলক্ষে আয়োজন করা হয় বণার্ঢ্য র্যালী ও আলোচনা সভা। এদিকে বেলা ১১টায় অনুষ্টিত র্যালীতে অংশ নেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, কৃষক, জেলে সম্প্রদারের প্রতিনিধি, শিক্ষক, বনকর্মকর্তা, শিক্ষা প্রতিষ্টানের ছাত্র-ছাত্রী ও বিভিন্ন শ্রেনী-পেশার জনগন। পরে অনুষ্টিত হয় এক আলোচনা সভা। উবিনীগ কক্সবাজারের আঞ্চ (আরো পড়ুন )
কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলার মাতামুহুরী নদী ও এর শাখা-প্রশাখা বেষ্ঠিত বি এম চর ইউনিয়নের কৃষ্ণাপুর গ্রাম। গত ১৫ বছর ধরে এই গ্রামে নয়াকৃষির কাজ শুরু হয়েছে। নয়াকৃষির ধারাবাহিকতায় গত ২০০৯ সাল থেকে কৃষকেরা প্রাণ বৈচিত্র্যের সামাজিক ব্যবস্থাপনায় (সিবিএম) বীজ সংগ্রহ, সংরক্ষণ সহ শস্যাবর্তন ও মিশ্র ফসল চাষ পদ্ধতিতে দানাদার শস্য, ডাল, তৈল, শাক-সবজি, ফলমূল, মসলা সহ বৈচিত্র্য পূর্ন ফসল উৎপাদন করছে।
চলতি রবি মৌসুমে (২০১৪-২০১৫) কৃষ্ণাপুর গ্রামের মোট ২৭৫ টি পরিবারের মধ্যে ১৫০ টি কৃষক পরিবার প্রাণবৈচিত্র্যের সামাজিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে প্রায় ৪০ একর জমিতে শীতকালীন বিভিন্ন ফসলের চাষাবাদ করছেন।
মাঠে ফসলের আবাদ ছাড়াও বাড়ির আঙ্গিনায় শাক-স (আরো পড়ুন )
বীজ ও প্রাণসম্পদের সমৃদ্বির মাধ্যমে জীবন জীবিকার উন্নতির লক্ষ্যে পরিগঠিত একটি অর্থ ব্যবস্থাপনা প্রাণবৈচিত্র্যের সামাজিক ব্যবস্থাপনা তহবিল” (CBM Fund)। এই তহবিল ব্যবস্থাপনার মূল লক্ষ্য হলো গ্রামীণ বিশেষত গরীব ও প্রান্তিক জণগোষ্ঠির অর্থ প্রাপ্তির ক্ষেত্র সৃষ্টি ও অর্থ ব্যবস্থাপনার ক্ষমতায়ন বিকাশের মধ্য দিয়ে অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও প্রাণসম্পদের সমৃদ্বি। পাবনা, না্টোর, সিরাজগন্জ, টাংগাইল ও কক্সবাজার এলাকায় নয়াকৃষি কৃষকরা এরই মধ্যে প্রাণবৈচিত্র্যের সামাজিক ব্যবস্থাপনা তহবিল গঠন ও তা ব্যবহারেরর মাধ্যমে প্রাণসম্পদের সমৃদ্বি ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে তাদের সৃজন ও সৃষ্টিশীল তৎপরতার উল্লেখযোগ্য নজির হাজির করেছেন।
নাটোর জেলার বড়াইগ্রাম উপজেলার কৃ (আরো পড়ুন )
বাংলাদেশ নদ-নদী হাওর,বাওড়, খাল-বিল নালা, ডোবার দেশ। এক কথায় প্রচুর মিঠা পানির দেশ। আর প্রচুর মিঠা পানির কারণে এদেশ মিঠা পানির প্রাচুর্যেরও দেশ। বাংলাদেশে এখনো যত প্রজাতির মিঠা পানির মাছ রয়েছে সারা ইউরোপ মহাদেশে তা নেই। মিঠা পানির এই অতিমূল্যবান সম্পদ দিনে দিনে ধ্বংসের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। কেন কি কারণে মিঠা পানির মাছ ধ্বংসের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে সে সম্পর্কে আমরা সবাই কমবেশি জানি, কিন্তু আমলে আনি না।
সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন জেলাতে চির পরিচিত নানান জাত ও প্রজাতির ছোট মাছের আকাল চলছে। যেমন খাল বিল হাওর, নদ নদীসহ মুক্ত জলাশয় গুলো মাছ শূন্য হয়ে পড়ার আশংকা দেখা দিচ্ছে। জলবায়ু তথা আবহাওয়া পরিবর্তন এবং তথাকথিত অপরিনামদর্শী উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের ফলে ধ (আরো পড়ুন )
ফসল উৎপাদনের জন্য কম পক্ষে ২১ টি মৌলিক উপাদান প্রয়োজন। এর মধ্যে তিনটি ম্যাক্রনিউট্রিয়ন্ট যেমন কার্বন, হাইড্রোজেন এবং অক্সিজেন বাতাস ও পানি থেকে পাওয়া যায়। তিনটি প্রাইমারী ম্যাক্রনিউট্রিয়ন্ট যেমন নাইট্রোজেন, ফসফরাস এবং পটাশিয়াম মাটি থেকে পাওয়া যায়। তিনটি সেকেন্ডারি ম্যাক্রনিউট্রিয়ন্ট যেমন সালফার, ক্যালশিায়াম এবং ম্যাগনেশিয়াম মাটি থেকে পাওয়া যায়। এ ছাড়া আরো আছে ১২ টি মাইক্রোনিউট্রিয়ন্ট যেমন আয়রন, মলিবডেনাম, বোরোন, কপার, ম্যাঙ্গানিজ, সোডিয়াম, জিঙ্ক, নিকেল, ক্লোরিন, কোবাল্ট, এ্যালমুনিয়াম এবং সিলিকন যা মাটিতে থাকা প্রয়োজন।
আধুনিক কৃষি প্রবর্তনের পর থেকে মাটিতে মৌলিক উপাদানের ঘাটতি দেখা দিচ্ছে। যেমন ১৯৫১ সালে এ দেশের মাটিতে নাইট্রোজেনের ঘ (আরো পড়ুন )
স্মরণনাতীত কাল থেকে গ্রাম বাংলায় ঘরের পিছনে মোরগ- মুরগী লালন পালন চলে আসছে। এখনও প্রায় ৭০% পরিবার মোরগ- মুরগী লালন পালনের সাথে যুক্ত। বর্তমানে এ দেশে মোরগ- মুরগী লালন পালন দুই শ্রেণীতে ভাগ করা যায়। যেমন, ক্ষুদ্র পরিসরে বাড়ীর আঙ্গনায় খোলা যায়গায় চড়ে বেড়ানো মোরগ-মুরগী এবং ব্যবসায়িক ভিত্তিতে পোলট্রি খামারে লালন পালন করা মোরগ-মুরগী। সনাতন পদ্ধতিতে ক্ষুদ্র পরিবারে সীমিত সংখ্যক মোরগ -মুরগী লালন পালন করা প্রায় প্রতিটি পরিবারের অবিচ্ছেদ্য অংশ। এ সব মোরগ -মুরগীর জন্য তেমন কোন তৈরি খাবারেরও প্রয়োজন হয় না। তবে এ সব মোরগ- মুরগী লালন করে পরিবারের ডিম ও মাংসের চাহিদা পূরণ করে বাজারে বিক্রি করে কিছু বাড়তি আয়েরও সুযোগ হয়। বেশীরভাগ ক্ষেত্রে পরিবারের মহিলার (আরো পড়ুন )
‘প্রাণবৈচিত্র্য ও টেকসই পর্যটন’
প্রাণবৈচিত্র্য ইংরেজীতে বায়োডাইভারসিটি (biodiversity) এখন একটি পরিচিত ও সংগ্রামী শব্দ। বিশ্ব পরিবেশ সম্মেলন (১৯৯২) এর সময় পরিবেশ বিপর্যয়ের নানা দিক তুলে ধরতে গিয়ে এই শব্দটির প্রচলন হয়, এটা আদি কোন ইংরেজি শব্দ নয়। বায়ো (প্রাণ) এবং ডাইভারসিটি (বৈচিত্র্য) এক করে এই শব্দটি তৈরি হয়েছে পরিবেশ কর্মীদের দ্বারা। এরপর প্রাণ ও প্রকৃতির বৈচিত্র্য রক্ষার বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টির জন্যে International Day for Biological Diversity জাতিসংঘ ঘোষণা দিয়েছিল। প্রথমে শীতকালে দিবসটি থাকলেও ২০০০ সালে সিদ্ধান্ত হয় গ্রাষ্মকালে, ২২ মে তারিখে হবে। প্রতিবছর একটি প্রতিপ (আরো পড়ুন )
৫ জুন, বিশ্ব পরিবেশ দিবস। এবছর (২০১৭) জাতি সংঘের প্রতিপাদ্য ছিল “Connecting People to Nature,” যার মাধ্যমে এই বার্তাই দেয়া হয়েছে যে প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সম্পদের সাথে মানুষের ঘনিষ্ট সম্পর্ক রয়েছে এবং এই সম্পর্কের গোড়ার কথা হচ্ছে প্রকৃতিকে লালন করতে হবে। বাংলাদেশে পরিবেশ দিবসের প্রতিপাদ্য করা হয়েছে “প্রাণের স্পন্দনে, প্রকৃতির বন্ধনে”। সরকার দিবসটি পালন করেছেন জাতীয় বৃক্ষ রোপন অভিযান, পরিবেশ ও বৃক্ষমেলার আয়োজনের মাধ্যমে। দিবসটি খুব নীরবেই কেটে গেল। প্রকৃতির সাথে মানুষের সম্পর্ক নিয়ে আমরা খুব সোচ্চার হলাম না।
নয়াকৃষি আন্দোলনের মূল কথা হচ্ছে প্রকৃতি ও মানুষকে আলাদা ভাবে না দেখা। মানুষ প্রকৃতিরই অংশ। তবে মানুষ প্রক (আরো পড়ুন )