উবিনীগ


উন্নয়ন বিকল্পের নীতি নির্ধারণী গবেষণা

ঈদ উৎসবে খাদ্যের ধরণ ও ধানের জাত

সারা বছরই কৃষকরা বিভিন্ন উৎসব করে থাকেন। এর মধ্যে মুসলমানদের ধর্মীয় বড় উৎসব ঈদ-ঊল ফিতর এবং ঈদ-ঊল আযহা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। এবার ঈদুল আযহা হয়ে গেল আগস্ট মাসের ১২ তারিখে (২৮ শ্রাবণ, ১৪২৬, ১০ জিলহজ্জ ১৪৪০)। উৎসব মানেই খাবারের আয়োজন এবং কৃষক পরিবারে তা আসে নিজস্ব উৎপাদিত ধান থেকে। গৃহস্থ বাড়ীতে নানা ধরণের পিঠা, পায়েশ, পোলাও, খিচুরির আয়োজন থাকে এবং তা তৈরি করতে ভিন্ন ভিন্ন জাতের ধানের প্রয়োজন। সেই ধান কৃষক উৎপাদন করছেন কিনা বা করতে পারছেন কিনা, নয়াকৃষির দিক থেকে তা দেখা খুব জরুরি। নয়াকৃষির কাজের অন্যতম প্রধান দিক হচ্ছে বীজের বৈচিত্র্য রক্ষা এবং হারিয়ে যাচ্ছে এমন বীজ সনাক্ত করে তার চাষের ব্যবস্থা করা। বিভিন্ন উৎসবে ধানের জাত সম্পর্কে জানার মাধ (আরো পড়ুন )


নয়াকৃষি কৃষকের আড্ডা: ধানের জাত হারালে পরিবারে আনন্দ টিকবে না 

রিদয়পুর বিদ্যাঘরে টাঙ্গাইলের বিভিন্ন গ্রাম থেকে কৃষকেরা এসে আমাদের সাথে একদিন আড্ডা দিয়েছেন। চৈত্র মাসের ১৩ তারিখ (১৪২৫ সাল)। সংখ্যায় বেশি নয়, বারোজন, কিন্তু নয়াকৃষি আন্দোলনের অঙ্গে যুক্ত বলে বীজ নিয়ে তাঁদের চর্চা ও জ্ঞান অসামান্য। আলোচনা হয়েছে সারা বছর বিভিন্ন উৎসবে কী কী ধরণের খাবার তৈরি হয় এবং সে জন্য কি জাতের ধান কৃষক ব্যবহার করেন।

বাংলাদেশের কৃষক প্রধানত ধান চাষের ওপরই নির্ভরশীল। বেশির ভাগ, (প্রায় ৭০%) কৃষকই ক্ষুদ্র কৃষক যাদের জমির পরিমাণ এক হেক্টরের কম। এই জমিতে আমন, আউশ ও বোরো ধান ও শীতকালীন সব্জি, তেল, ডাল ইত্যাদি চাষ করেন। নিজের পরিবারের প্রয়োজন মিটিয়ে তারা কিছু বাজারেও বিক্রি করেন। বাকী ২৫% মধ্যম ও ৫% বড় কৃষক আছেন যারা বাণ (আরো পড়ুন )


ধানই কৃষকের প্রাণ

বলা হয়, বাংলাদেশে কৃষি কী তার পরিচয় ধান উৎপাদনের মধ্যে। কিন্তু কথাটা একাট্টা ধানের আবাদ যেমন নয়, তেমনি স্রেফ ধান চাষও নয়। কারন ভুলে যাওয়া উচিত নয় যে সরকারী হিসাবেই বাংলাদেশে ধানের জাতর সংখ্যা প্রায় পনেরো হাজারেরও বেশি ছিল। তাদের মৌসুম, চাষের সময় পানির পরিমান, ফটো পিরিয়ড বা দিনের আলো ব্যাবহারের সময়কাল এক রকম ছিল না। প্রাণের বৈচিত্র্যের চর্চা হাজার হাজার জাতের ধান আবাদের মধ্যেই ধরা পড়ত।

স্রেফ ধান চাষ নয় কেন? কারণ জমিতে কখন কি ধান বুনছি তার সঙ্গে জমির ব্যবহার ও ব্যবস্থাপনার প্রশ্ন জড়িত। ধানচাষ কেন্দ্রিক একটি বাস্তুসংস্থান পদ্ধতি বা ইকোসিস্টেম গড়ে উঠেছিল। সেই সবের কিছুই আধুনিক চাষাবাদের ফলে আর নাই। এখন দেশে কোন বছর কত ধান উৎপাদন হচ্ছে ত (আরো পড়ুন )


আফ্রিকার 'নেরিকা'  নিয়ে কৃষিমন্ত্রীর কাণ্ড

কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরি ২০০৯ সালে উগান্ডা থেকে নেরিকা নামে একটি ধানের জাত নিয়ে আসেন। এই ধানের জাতটি আন্তর্জাতিক উদ্যোগে আফ্রিকার জন্যই উদ্ভাবন করা হয়েছিল। এর গবেষণার জন্য যেমন বিপুল পরিমান অর্থ খরচ করা হয়, তেমন তার সাফল্য প্রচারের পেছনেও অর্থ খরচ করা হয় প্রচুর। বেশ কয়েকটি ধনি দেশ, আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থা, গবেষণা প্রতিষ্ঠান এবং বহুজাতিক বীজ কোম্পানি মিলে আফ্রিকায় নেরিকার সাফল্য প্রমাণ করতে ব্যস্ত। এই সাফল্যের দাবি নিয়ে সন্দেহ ছিল শুরু থেকেই। কিন্তু আফ্রিকার খাদ্য সমস্যার সমাধানের কথা বলে সে সকল সন্দেহকে উড়িয়ে দেওয়া হয়। এর সঙ্গে যুক্ত হয় নতুন অজুহাত। যেমন, জলবায়ুর পরিবর্তন। নেরিকা ধানের জাতে বিভিন্ন সমস্যার (আরো পড়ুন )