তামাক চাষ বন্ধে কৃষককে দিতে হবে ভর্তুকি


১৯৯৯ সালে বিএটির গোল্ডলীফ সিগারেটের প্রচারণা কার্যক্রম ভয়েজ অব ডিসকভারীর বিরুদ্ধে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে করা রাষ্ট্রপক্ষের আপীল খারিজ করে দিয়েছে আপীল বিভাগ। অনেক দিনের প্রত্যাশিত একটি রায়। সংযুক্ত হাইকোটের রায়…

তামাকজাত পণ্যের উৎপাদন ও প্রক্রিয়াজাতকরণের লাগাম টানতে কৃষকদের ভর্তুকি এবং ব্যবসায়ীদের লাইসেন্স বন্ধ করাসহ ছয়দফা নির্দেশনা দিয়ে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বহাল রেখেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ মঙ্গলবার হাইকোর্টর রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা আপিল খারিজ করে দেন। এর ফলে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বহাল রইল বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট আইনজীবীরা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একরামুল হক টুটুল বলেন, 'রাষ্ট্রপক্ষের করা আপিল খারিজ করে দিয়ে আপিল বিভাগ বলেছেন- হাইকোর্টের দেওয়া ছয় দফা নির্দেশনার সঙ্গে আরও কিছু নির্দেশনা তারা দেবেন। পূর্ণাঙ্গ রায় পাওয়া গেলে বিস্তারিত জানা যাবে।'

মামলার বিবরণে জানা যায়, তামাকজাত সামগ্রী বিপণন ও নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রণীত ১৯৮৮ সালের আইনের বাস্তবায়ন চেয়ে ১৯৯৯ সালে পৃথক রিট করেন ‘আমরা ধুমপান নিবারণ করি’ (আধূনিক) এর সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক নুরুল ইসলাম ও বাংলাদেশ এন্টি ড্রাগ ফেডারেশনের সভাপতি নুর মোহাম্মদ। রিটের শুনানি নিয়ে ওই বছরই হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ রুল জারি করেন। রুলে তামাকজাত সামগ্রী বিপণন ও নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রণীত ১৯৮৮ সালের আইন বাস্তবায়নে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। ২০০০ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ ওই রুলের শুনানি নিয়ে ছয় দফা নির্দেশনাসহ রায় দেন। পরে এর বিরুদ্ধে আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ। মঙ্গলবার ওই আপিলের শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগ আদেশ দেন।

ছয়দফা নির্দেশনা দিয়ে হাইকোর্টের রায়ে বলা হয়, মুক্ত এলাকায় (পাবলিক প্লেস) ধুমপান করা যাবে না। কৃষকদের ভর্তুকি দিতে হবে, যাতে করে তারা তামাকজাত দ্রব্য উৎপাদন না করে। তামাকজাত দ্রব্য প্রক্রিয়াজাতকরণের লাইসেন্স বন্ধ করা ও লাইসেন্স নেওয়া নিরুৎসাহিত করতে হবে। এছাড়া তামাকজাত দ্রব্য আমদানি বন্ধ, তামাকজাত দ্রব্য আমদানিতে উচ্চ কর আরোপ এবং সচেতনতার জন্য সতর্কতামূলক নির্দেশনা গণমাধ্যমে প্রচার ও কণ্ঠ প্রচার বন্ধেও ব্যবস্থা নিতে বলা হয়।

দেখুন


ছাপবার জন্য এখানে ক্লিক করুন



৫০০০ বর্ণের অধিক মন্তব্যে ব্যবহার করবেন না।