তামাক পণ্যের মোড়ক প্যাকেট/ কৌটায় সচিত্র সর্তকবাণী


“১৯ শে মার্চ থেকে জর্দ্দা, গুল সহ সকল ধরণের তামাক পণ্যের মোড়ক প্যাকেট/ কৌটায় সচিত্র সর্তকবাণী বাজারজাত বাধ্যতামূলক থাকলেও তা সুনির্দিষ্ট ভাবে আনা হচ্ছে না”

ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০০৫ (সংশোধিত ২০১৩) অনুযায়ী সকল প্রকার ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্যের প্যাকেট, মোড়ক, কার্টন বা কৌটায় অনূন্য শতকরা ৫০ ভাগ স্থান জুড়ে স্বাস্থ্য ক্ষতি সম্পর্কিত রঙিন ছবি ও লেখা সম্বলিত সচিত্র সতর্কবানী দিতে হবে এবং এমনভাবে দিতে হবে যেন ব্যান্ডরোল বা ষ্ট্যাম্প সংযুক্তির বা অন্য কোন কারনে ঢেকে না যায়। বিধি অনুসারে সচিত্র সর্তকবাণী সম্বলিত প্যাকেট, কৌটা এবং মোড়ক ব্যতীত তামাকজাত দ্রব্য বাজারজাত বা বিক্রি বাধ্যতামূলক।

গত ১৭ ই আগষ্ট তামাক বিরোধী নারী জোটের (তাবিনাজ) পক্ষ থেকে মোহাম্মদপুর টাউন হল বাজার ও শ্যামবাজার এর জর্দ্দা ও গুলের দোকান পরিদর্শন করা হয়। আইন অনুযায়ী সতর্ক সচিত্রবাণী তামাক পণ্যের কৌটায় বা প্যাকেটে ব্যবহার হচ্ছে কি না দেখতে গেলে দেখা যায় কোন পণ্যের সুনিদির্ষ্টি নিয়ম মেনে ছবি ব্যবহার করা হচ্ছে না। যতটুকু ছবি প্রদর্শন করা হচ্ছে তা একেবারে দায় সারা ভাবে। জর্দ্দার জন্য যে ছবি দেয়ার কথা তা না দিয়ে সিগারেটের ছবি একেবারে ছোট আকারে এবং ষ্টিকার হিসাবে কৌটার লেবেলের উপর লাগানো হয়েছে। ছবিগুলো এতোই অস্পষ্ট যে একেবারে বোঝা যায় না কিসের ছবি ।

ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) (সংশোধন) আইন ২০১৩ ও বিধিমালা ২০১৫ এর ১০ নং ধারা অনুযায়ী দেশের সকল তামাকজাত দ্রব্যের প্যাকেট, মোড়ক, কার্টন বা কৌটার উভয় পাশের্^ মূল প্রদর্শনী তলের উপরিভাগে অনূন্য শতকরা পঞ্চাশ ভাগ পরিমান স্থান জুড়ে তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহারের কারনে সৃষ্ট ক্ষতি সম্পর্কিত রঙ্গিন ছবি ও লেখা সম্বলিত স্বাস্থ্য সতর্কবাণী মুদ্রণ করা বাধ্যতামূলক। আইন অনুযায়ী ধূমপানে ব্যবহৃত তামাকজাত দ্রব্যের ক্ষেত্রে ৭ টি ও ধোঁয়াবিহীন তামাকজাত দ্রব্যের ক্ষেত্রে ২ টি সহ মোট ৯ টি সতর্কবাণী মূদ্রণ করা বাধ্যতামূলক আইনের এই ধারা লঙ্ঘন করলে অনূর্ধ্ব ৬ মাস বিনাশ্রম কারাদন্ড বা অনধিক ২ লক্ষ টাকা অর্থদন্ড বা উভয় দন্ড এবং দ্বিতীয়বার বা পুনঃ পুনঃ অপরাধ সংঘটন করলে পর্যায়ক্রমিকভাবে উক্ত দন্ডের দ্বিগুণহারে দন্ডিত হবেন।

আইন অনুযায়ী সকল তামাকজাত পণ্যের মোড়কে ছবিযুক্ত স্বাস্থ্য সতর্কবানী সঠিকভাবে ব্যবহার না করলে ২০৪০ সালের মধ্যে মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি কিভাবে বাস্তবায়িত হবে?


ছাপবার জন্য এখানে ক্লিক করুন



৫০০০ বর্ণের অধিক মন্তব্যে ব্যবহার করবেন না।