ধোঁয়াবিহীন তামাকপণ্যের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে কর বৃদ্ধি
বাংলাদেশে তামাক দ্রব্যের ব্যবহার উদ্বেগজনক হারে বিশ্বের অনেক দেশের তুলনায় বেশি। এখানে প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের মধ্যে ৪৩% ধোঁয়াযুক্ত ও বিভিন্ন ধরনের ধোঁয়াবিহীন তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার করেন। যদিও ধূমপানের কারণে স্বাস্থ্য ক্ষতির বিষয়টি তামাক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমে প্রাধান্য পেয়েছে। ২০০৭ সালের জরিপে দেখা যাচ্ছে বছরে ৫৭,০০০ মানুষ মারা যাচ্ছে এবং কয়েক লাখ নারী, পুরুষ ও শিশু পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হচ্ছে। কিন্তু জরিপে এটাও দেখা যাচ্ছে, মোট ৪ কোটি ১৩ লক্ষ তামাক সেবনকারীর মধ্যে ২ কোটি ১৯ লক্ষ (২৩%) ধূমপানের মাধ্যমে এবং ২ কোটি ৫৯ লক্ষ (২৭.২%) ধোঁয়াবিহীন তামাক দ্রব্য সেবন করেন। অর্থাৎ ধোঁয়াযুক্ত তামাক দ্রব্যেও চেয়ে সেবনের দিক থেকে ধোঁয়াবিহীন তামাক দ্রব্যের হার বেশি। দেশে আইনের মাধ্যমে তামাক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম জোড়ালোভাবে পরিচালনা করা হলেও এই সংখ্যা এখন বেড়েছে বলে বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায়। তামাক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম মূলত ধূমপান (বিড়ি, সিগারেট) নিয়ন্ত্রণের জন্যে বেশি সক্রিয়, অন্যদিকে ধোঁয়াবিহীন তামাকজাত দ্রব্য যেমন, সাদা পাতা, জর্দা, গুল ইত্যাদির ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ ২০১৩ সাল থেকে সংশোধিত আইনের আওতায় আনা হলেও এর ব্যবহার কমছে না।
বাংলাদেশ বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃক গৃহীত ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করার জন্য Framework Convention on Tobacco Control (FCTC) কনভেনশনে স্বাক্ষর করেছে ১৬ জুন, ২০০৩ ও অনুস্বাক্ষর করেছে ১০ মে, ২০০৪ তারিখে। উক্ত কনভেনশনের বিধানাবলী বাংলাদেশে কার্যকর করার লক্ষ্যে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় কর্তৃক “ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০০৫, (২০১৩ সালে সংশোধনী) প্রণীত হয়েছে।
ধোঁয়াবিহীন তামাকজাত দ্রব্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন টোবাকো কন্ট্রোল) এফসিটিসিতেও তামাক পাতা থেকে তৈরি সব ধরণের পণ্যকেই ‘তামাক পণ্য’ হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে। বাংলাদেশের সংশোধিত আইনে ধোঁয়াবিহীন তামাক পণ্যের মধ্যে জর্দা, গুল, সাদাপাতা অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। কিন্তু আইন এবং বিধি প্রণয়নের সময় ধোঁয়াবিহীন তামাকজাত দ্রব্যের উৎপাদন ও ব্যবহার সম্পর্কে যথেষ্ট তথ্য না থাকায় এর নিয়ন্ত্রণে কৌশল নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি।
তাই ধোঁয়াবিহীন তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ বের করা জরুরী। নারীরা ধূমপানে কম দেখা গেলেও জর্দা, সাদাপাতা ও গুলের ব্যবহারে পুরুষের তুলনায় বেশি। এক হিসাবে দেখা গেছে প্রায় ১ কোটি ১ লক্ষ নারী ধোঁয়াবিহীন তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার করছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এ বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং বিভিন্ন দেশে তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহারের উপর নিষেধাজ্ঞা কিংবা ব্যবহার নিয়ন্ত্রণের জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
নারী ও তামাক
নারীরা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে তামাক ও তামাকজাত দ্রব্যের কারণে ক্ষতির শিকার হচ্ছে। ধোঁয়াবিহীন তামাক ব্যবহারের প্রবণতা পুরুষের তুলনায় (২৬%) নারীদের মধ্যে বেশি (২৮%)। ধোঁয়াবিহীন বা চর্বনযোগ্য তামাক যেমন: জর্দা, গুল, সাদা পাতা প্রভৃতি ব্যবহারে মুখে ক্যান্সার, খাদ্যনালীতে ক্যান্সার, অগ্ন্যাশয়ে ক্যান্সার, হৃৎকম্পন বৃদ্ধিসহ নানা ধরনের জটিল রোগ হতে পারে। নারীদের ক্ষেত্রে সন্তান জন্মদান সংক্রান্ত জটিলতা দেখা দিতে পারে বলে বিভিন্ন গবেষণায় জানা গেছে। যে মা ধূমপান করে প্রসবকালে তার বাচ্চার ওজন একজন অধূমপায়ী মায়ের বাচ্চার তুলনায় ২০০ থেকে ২৫০ গ্রাম কম হয়। প্রসবকালে শিশু মারা যাবার সম্ভাবনাও বেশী থাকে।
জর্দা ও গুল উৎপাদনের তথ্য
ধোঁয়াবিহীন তামাকজাত দ্রব্যের উৎপাদন ও সরবরাহ ব্যবস্থার উপর তথ্য এখনও যথেষ্ট নাই। তাবিনাজের এক জরিপে কিছু তথ্য পাওয়া গেছে। ক্ষুদ্র শিল্প আকারে কারখানা পর্যায়ে জর্দা এবং গুল তৈরী হয়। অধিকাংশ সময় এইসব পণ্য ঘরোয়া পরিবেশে ছোট পরিসরে উৎপাদন করা হয়। কোন প্রকার সাইন বোর্ড ছাড়া, ছোট বাড়ি বা বাড়ির ভিতরে ১টি রুম নিয়ে অথবা নিজের বাড়িতে তামাক পণ্য তৈরী করছে। অনেক কারখানার নাম থাকলেও চেনা যায় না ভিতরে আসলে কি কি পণ্য তৈরী হয়। বিশেষ কায়দায় সাদাপাতা ভিজিয়ে প্রক্রিয়াজাত করে পানের সাথে খাওয়ার জন্য বাজারে পাওয়া যায়। এইসব কারখানার কাজ করতে শ্রমিকদের খুব বেশি দক্ষতার প্রয়োজন হয় না। জর্দা এবং গুল কারখানা খুব দ্রুত স্থান পরিবর্তন করে। প্রচুর অনিয়ম রয়েছে এসব কারখানার উৎপাদন স্থানে। জর্দা, গুল ভ্যাট ও করের আওতাধীন পণ্য।
৩৮টি জেলা থেকে ২২৫ ব্র্যান্ডের জর্দা এবং ১৮ ব্র্যান্ডের গুলের তথ্য তাবিনাজের সদস্যদের গবেষণায় সংগ্রহ করা হয়েছে। ৩৮% জর্দা পাইকারী এবং ৩৭% খুচরা বিক্রি করে। জর্দার ক্ষেত্রে ৩১% কারখানার মাসিক গড় আয় ১১-২৫ হাজার টাকা, ৩৭ % কারখানার গড় মাসিক আয় এক লক্ষ টাকার বেশী। গুল কারখানার ক্ষেত্রে ৩৩% কারখানার মাসিক আয় ১০ হাজার টাকার কম, ৩৩% কারখানার মাসিক আয় ১১-২৫ হাজার টাকা। এ ক্ষেত্রে সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি কারণ বেশীর ভাগ কারখানা থেকে বিক্রিত পণ্যের পরিমাণ জানিয়েছেন।
প্রধাানত: পাইকারী বিক্রি করা হয় (৪০%)। খুচরা বিক্রি করা হয় ৩০% এবং ১৬% এজেন্টের মাধ্যমে বিক্রি করা হয়। জর্দা বেশীর ভাগ কৌটায় হয় (৫৫%), গুলও কৌটায় হয় (৫৪%)। কৌটা ৩ সাইজের পাওয়া যায়, ছোট, মাঝারি ও বড়। ছোট কৌটায় ১০ গ্রাম, মাঝারি কৌটায় ২৫ গ্রাম, বড় কৌটায় ৫০ গ্রাম জর্দা থাকে। দাম যথাক্রমে ১০, ২০, ৪৫ টাকা। স্বাভাবিকভাবেই পরিমাণের সাথে দামের পার্থক্য আছে যেমন, ১০ গ্রাম কৌটা ৫-৬ টাকা, ৪০ গ্রাম কৌটা ১০-২২ টাকা, ৫০ গ্রাম কৌটা ১৪-৫০ টাকা। কেউ কেউ কৌটার সাইজ অনুযায়ী মূল্য নির্ধারণ করে, কেউ নিজের ইচ্ছায় মূল্য নির্ধারণ করে।
প্যাকেট ছাড়াও খোলা বা লুজ বিক্রি করে ১০ গ্রাম ৪ টাকায়। এছাড়া পলি প্যাকেটেও বিক্রি হয়, ২৫ গ্রাম প্যাকেট ১০ টাকা, ৪০ গ্রাম প্যাকেট ৪০ টাকা, ২০ গ্রাম প্যাকেট ১০-২৫ টাকা। গবেষণা থেকে ৯ রকমের সাইজ পাওয়া গেছে। যেমন, ১০০, ৭৫, ৫০, ৪০, ৩০, ২৫, ২০, ১৫, ১ গ্রাম পরিমাণ পর্যন্ত জর্দার কৌটা আছে।
কয়েকজন জর্দা সেবনকারীর হিসাব নিয়ে দেখা গেছে একজন মধ্যবিত্ত নারী দিনে ৮ থেকে ১০টি খিলি পান জর্দা দিয়ে সেবন করেন, নিম্ন ও গরিব নারী তার চেয়ে অনেক বেশি সংখ্যক পান সেবন করেন, দিনে ২০ থেকে ২২টি খিলি জর্দাসহ। পানের দোকানের তথ্য হচ্ছে দিনে ৩০০ থেকে ৩৫০ খিলি পান বিক্রি করেন, এর মধ্যে ৮০-৯০% জর্দাসহ পান বিক্রয় হয়। টাকার অংকে দিনে ১৫০০ থেকে ১৭৫০ টাকার পান ও জর্দা বিক্রি হয়।
করারোপ ও তামাক নিয়ন্ত্রণ
ধোঁয়াযুক্ত এবং ধোঁয়াবিহীন তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহার কমাবার আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত পদ্ধতি হচ্ছে জনস্বাস্থ্য রক্ষার্থে করারোপ করে তামাক পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেয়া। কিন্তু তামাক দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি ও উচ্চ হারে করারোপ (PRICE MEASURES) এর মতো কার্যকর পদক্ষেপ আইনে সুস্পষ্টভাবে নেই।
এই পর্যন্ত করারোপের যে কৌশল ব্যবহার করা হয়েছে তার ফলে পণ্যেও মূল্য ক্রেতার ক্রয়-ক্ষমতার বাইরে যেতে পারেনি। বিশেষ করে ধোঁয়াবিহীন তামাকদ্রব্য সংক্রান্ত করের কৌশল উল্লেখযোগ্যভাবে নেয়া হয়নি। এবং জর্দা, গুল , সাদাপাতা অত্যান্ত কম দামে এবং খুচরাভাবে পাওয়া যাওয়ার কারনে ক্রেতা এর প্রতি আকৃষ্ট থাকে। ধোঁয়াবিহীন তামাকজাত দ্রব্য যে ধরনের স্বাস্থ্য হুমকির সৃষ্টি করে সে দিক বিবেচনায় এর ব্যবহার নিয়ন্ত্রণের জন্যে কার্যকর হারে কর/শুল্ক আরোপ করা জরুরী। ধোঁয়াযুক্ত তামাকজাত পণ্যের উপর উচ্চহারে কর আরোপের সাথে সাথে ধোঁয়াবিহীন তামাকজাত পণ্যের উপর অধিক ও কার্যকর হারে কর আরোপ করা হলে তা ধোঁয়াবিহীন তামাকজাত পণ্য ব্যবহারকারীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য মাত্রায় কমাবে।
২০১৬-১৭ বাজেটে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য কর বৃদ্ধি করা হয়েছে জর্দা ও গুলের উপর। গত ২ বছর পর এ দু’টি তামাকপণ্যের উপর সম্পূরক শুল্কের হার ৬০% থেকে বাড়িয়ে ১০০% করা হয়েছে। এছাড়াও পণ্য দুটির আমদানি শুল্কও ১০০% থেকে বৃদ্ধি করে ১৫০% নির্ধারণ করা হয়েছে। সম্পূরক শুল্ক যতই বাড়ানো হোক না কেন ভিত্তিমূল্য কম হলে বাজারে এসব পণ্যের মূল্য খুব একটা পরিবর্তন হয় না। ভ্যাট ধার্য্য করা হয়েছে ১৫%। আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, এসব পণ্যের রাজস্ব আদায় খুবই দুর্বল। অধিকাংশ ক্ষেত্রে জনবল সংকটের কথা বলা হয়। দেশে রেজিষ্ট্রেশনবিহীন উল্লেখযোগ্য সংখ্যক জর্দা ও গুল কারখানা থাকায় ঐসব কারখানা থেকে কর সংগ্রহ করা কঠিন। সুতরাং জর্দা ও গুলের উপর প্রযোজ্য কর আহরণের ক্ষেত্রে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড তথা সরকারের পক্ষ থেকে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ জরুরি।
তামাকজাত পণ্যের উপর বিভিন্ন ধরণের কর আরোপের নিয়ম বিদ্যমান- ধোঁয়াযুক্ত তামাকজাত পণ্য সিগারেট ও বিড়ি এবং ধোঁয়াবিহীন তামাকজাত পণ্যের উপর সম্পূরক কর (সাপ্লিমেনটারি ডিউটি); আমদানি করা তামাকজাত পণ্য এবং আমদানি ও রপ্তানি করা তামাক পাতার উপর শুল্ক আরোপ; এবং এ সব রকম তামাকজাত পণ্যের বিক্রয়মূল্যের উপর মূল্য সংযোজন কর (মূসক)।
সবচেয়ে কম রাজস্ব আসে ধোঁয়াবিহীন তামাক থেকে। সাংবাদিকদের অনুসন্ধানে দেখা গেছে ২০১০-১১ সালে রাজস্ব আয় ছিল ৪.৫ কোটি থেকে কিছুটা বেড়ে ২০১৪-১৫ অর্থবছরে জর্দার মাধ্যমে রাজস্ব আয় হয়েছে ১২.২ কোটি টাকা। গুলের ক্ষেত্রে ২০১০-১১ অর্থবছরে ছিল মাত্র ৩২ লাখ, ২০১৪-১৫ সালে হয়েছে ৬০ লাখ টাকা। অন্য একটি হিসাবে দেখা গেছে ধোঁয়াবিহীন তামাকপণ্য থেকে রাজস্ব আদায় হয়েছে মাত্র ১৪.৩৬ কোটি টাকা যা তামাকখাত থেকে অর্জিত মোট রাজস্বের মাত্র ১%। অথচ মোট ৪ কোটি ১৩ লক্ষ তামাক সেবনকারির মধ্যে ২ কোটি ৫৯ লক্ষ (৬২%) ধোঁয়াবিহীন তামাকদ্রব্য সেবন করছে, যার মধ্যে নারীর সংখ্যা বেশি। এত বিপুল সংখ্যক ধোঁয়াবিহীন তামাক দ্রব্য ব্যবহার হলেও সরকারকে উৎপাদনকারীরা রাজস্ব প্রদান করছে না।
তামাক উৎপাদনে অগ্রসর ভৌগলিক অঞ্চলসমূহ পর্যবেক্ষণ করে এটা নিশ্চিত হওয়া গেছে যে, জর্দা এবং গুলের প্যাকেটে রাজস্ব আদায় নির্ধারণী কোন চিহ্নই নেই যা রাজস্ব ফাঁকির প্রত্যক্ষ প্রমাণ। এছাড়াও, জর্দা ও গুলের প্যাকেটের ধরণ ও মাপের ভিন্নতা কর ফাঁকির পথ সুগম করে। বিএসটিআই - এর ১৫৫টি পণ্য তালিকায় ৬৪টি হচ্ছে খাদ্য দ্রব্য, অন্যগুলো কেমিকাল পণ্য, পাট পণ্য ইত্যাদি। তামাক পণ্য সেবন করা হলেও এটা খাদ্য পণ্য হিসেবেও উল্লেখ নেই তাই বিএসটিআই -এর অনুমতির ব্যাপার অস্পষ্ট।
২০১৬ -১৭ সালের বাজেটের আগে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে দেয়া তাবিনাজের প্রস্তাবনা
- ধোঁয়াবিহীন তামাকপণ্যে কর আরোপের ক্ষেত্রে বিদ্যমান এক্স-ফ্যাক্টরি প্রথা বাতিল করে খুচরা মূল্যের ---- শতাংশ সমপরিমাণ স্পেসিফিক এক্সাইজ ট্যাক্স আরোপ করা।
- কর আদায় সহজীকরণের লক্ষ্যে অভিন্ন ১০০ গ্রামের প্যাকেট বা কৌটা চালু এবং এর ওপর নির্দিষ্ট পরিমাণ (স্পেসিফিক) এক্সসাইজ ট্যাক্স আরোপ করা।
- মোড়কে বা কৌটায় বিড়ি-সিগারেটের ন্যায় রাজস্ব আদায় নির্ধারণী স্ট্যাম্প বা ব্যান্ডরোল প্রথা চালু করা।
- ধোঁয়াবিহীন তামাকপণ্যে বিদ্যমান স্বাস্থ্য উন্নয়ন সারচার্জ ১ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি করে ২ শতাংশ নির্ধারণ করা।
- ধোঁয়াবিহীন তামাকপণ্য উৎপাদন ও বিক্রয়ের ক্ষেত্রে লাইসেন্সিং প্রথা চালু করা।
- সারাদেশে অসংখ্য অনিবন্ধিত ধোঁয়াবিহীন তামাকপণ্য উৎপাদন ও বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠান রয়েছে সেগুলোকে শক্ত মনিটরিং এর আওতায় নিয়ে আসা।
- জর্দা এবং গুলের উপর সুনির্দিষ্ট শুল্ক আরোপ করে মূল্য বাড়াতে হবে; প্রস্তাবিত বাজেটে সম্পূরক শুল্কবৃদ্ধির মাধ্যমে পণ্যদুটির মূল্যবৃদ্ধির পুরানো প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখা হয়েছে।