তাবিনাজ প্রসঙ্গে কিছু কথা


বাংলাদেশে ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্যেও নিয়ন্ত্রণহীন উৎপাদন ও ব্যবহারের কারণে যে ক্ষতি হচ্ছে তার বিরুদ্ধে সোচ্চার হবার জন্য নারীদেও একটি জোট হিসাবে ‘তামাক বিরোধী নারী জোট’ (তাবিনাজ)-এর আত্মপ্রকাশ। ইংরেজিতে Anti-Tobacco Women`s Alliance এই জোটের সংক্ষিপ্ত নামকরণ বাংলা নামের সাথে মিলিয়ে করা হয়েছে তাবিনাজ (Tabinaj) । 

বিশ্ব তামাক মুক্ত দিবসে ৩১ মে, ২০১০ পালন করার জন্যে নারীগ্রন্থ প্রবর্তনা ও উবিনীগ “নারী স্বাস্থ্য ঝুঁকির জন্য তামাক কোম্পানী দায়ী” শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করে। এই সভায় দেশের ১৬টি জেলার নারী প্রধান সংগঠনের প্রতিনিধি, নারী আন্দোলন, পরিবেশ আন্দোলন, উন্নয়ন সংগঠক, গবেষক, সাংবাদিক, লেখিকা, বিজ্ঞানীসহ সর্বস্তরের নারী ও পুরুষ প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। আনুষ্ঠানিকভাবে তাবিনাজ আন্তর্জাতিক নারী দিবসের প্রাক্কালে ৬ মার্চ, ২০১১ তারিখে আত্মপ্রকাশ করেছে।

তাবিনাজ কি করতে চাই:

সকল পযার্য়ের নারীদের ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য উৎপাদন ও ব্যবহারের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে সচেতন ও নারীদের রক্ষার জন্য সক্রিয় করবে।

তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নের উদ্যোগের সাথে তাবিনাজ অংশগ্রহন করবে এবং অবদান রাখবে।

নারীরা নানাভাবে তামাক সেবনের সাথে যুক্ত থাকলেও এবং ধূমপানের ক্ষেত্রে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার বিষয়টি নারী আন্দোলন কিংবা নারী স্বাস্থ্য আন্দোলনের দাবী দাওয়ার অংশ হয়নি। তাবিনাজ তামাক বিরোধী আন্দোলনকে নারী আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ত করতে চায়।

তামাক চাষ ও তামাকজাত দ্রব্যের উৎপাদনের সাথে জড়িত নারী শ্রমিকদের স্বাস্থ্য ও তাদের মজুরী শোষণের দিক বিবেচনা করে নীতিনির্ধারণী সিদ্ধান্ত নেওয়ার সুপারিশ করা।

দেশের বিশিষ্ট নারী ব্যক্তিত্ব, শিক্ষক, সাংস্কৃতিক কর্মী, কবি, লেখিকা, আইনজীবী, রাজনৈতিক কর্মী, আইন শৃংখলা বাহিনী, ব্যবসায়ীসহ সকল পেশার নারীদের অংশগ্রহণে তাবিনাজ সক্রিয় ভাবে আন্দোলন গড়ে তুলতে চায়।

জাতীয় সংসদ ও স্থানীয় সরকারের নারী প্রতিনিধিদের সাথে মতবিনিময় ও আইন প্রণয়ন ও সংশোধনে তাঁদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করবে।

সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ের জাতীয় ও স্থানীয় পযার্য়ের নীতিনির্ধারণী মহলে মতবিনিময় ও তথ্য বিনিময়ের মাধ্যমে সঠিক নীতি নির্ধারণের সহযোগিতা করা।

 


ছাপবার জন্য এখানে ক্লিক করুন



৫০০০ বর্ণের অধিক মন্তব্যে ব্যবহার করবেন না।