খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দ্রুত তামাক চাষ নিয়ন্ত্রণ নীতিমালা চাই


খাদ্য ঘাটতি, ক্ষুধা ও পুষ্টিহীনতা দূর করতে দ্রুত তামাক চাষ নিয়ন্ত্রণ নীতিমালার দাবীতে তামাক বিরোধী নারী জোট (তাবিনাজ) ও ডাব্লিউবিবি ট্রাস্ট এর আয়োজনে জাতীয় প্রেসক্লাব এর সামনে ১৬ অক্টোবর, ২০১৪ তারিখে বেলা ১১ টায় বিশ্ব খাদ্য দিবস, ২০১৪ উপলক্ষ্যে অবস্থান কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়।

অবস্থান কর্মসূচীতে বক্তারা, দেশের খাদ্য সংকট মোকাবেলা ও জনস্বাস্থ্য রক্ষায় তামাক নিয়ন্ত্রণের নীতিমালা দাবী জানান সরকারের কাছে। কারণ তামাক কোম্পানীগুলো প্রলুবদ্ধকরণে কৃষি জমিতে তামাক চাষ বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে খাদ্য সংকট সৃষ্টি এবং তামাক চাষ নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম হুমকীর সম্মুখীন হচ্ছে। খাদ্য সংকট মোকাবেলা এবং জনস্বাস্থ্য রক্ষায় তামাক কোম্পানীগুলোর এ ধরণের কার্যক্রম কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন।

তামাক চাষে খাদ্যের জমি দখল হয়ে যাচ্ছে। বারো মাসের খাদ্য ফসলের ক্ষতি করছে। তামাক চাষ বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে কৃষি জমির হ্রাসে পাশাপাশি গো-খাদ্য সংকট, শিশু-কিশোরদের শিক্ষা কার্যক্রম ব্যহত, তামাকজনিত রোগ বৃদ্ধি, সামাজিক ও পারিবারিক বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। তামাক চাষের এলাকায় কৃষি জমি হ্রাসের প্রেক্ষিতে খাদ্য সংকট সৃষ্টি হচ্ছে।


বিশ্ব খাদ্য দিবস


তামাক চাষের কারণে বন ধ্বংস করে পরিবেশের বিপর্যয় সৃষ্টি হচ্ছে। কোম্পানীগুলো নিজেদের স্বার্থে দ্রুত বৃদ্ধি পায় এ ধরণের বিদেশী গাছ লাগাচ্ছে বনাঞ্চলে। বিদেশী গাছ আমাদের জীববৈচিত্র্যের হুমকী স্বরূপ।

তাই তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের বিধিমালার দ্রুত প্রকাশের দাবীও তোলা হয়।

অবস্থান কর্মসূচীতে বক্তব্য রাখেন, ক্যাম্পেন ফর টোবাকো ফ্রি কিডস্রে প্রোগ্রাম ম্যানেজার ইভা নাজনীন;

তামাক বিরোধী নারী জোট (তাবিনাজ) এর সমন্বক সাইদা আখতার; তাবিনাজের সদস্য মাহমুদা বেগম নার্গিস;

ডাব্লিউবিবি ট্রাস্ট এর পরিচালক এডভোকেট সৈয়দ মাহবুবুল আলম; ডাব্লিউবিবি ট্রাস্টের ন্যাশনাল এডভোকেসি অফিসার সৈয়দা অনন্যা রহমান; মানবিকের উপদেষ্টা রফিকুল ইসলাম মিলন; প্রত্যাশা মাদক বিরোধী সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হেলাল আহমেদ; আধুনিকের আব্দুল জব্বার। এছাড়াও আরো বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।

বিশ্ব খাদ্য দিবসে দেশের খাদ্য ঘাটতি মোকাবেলা এবং তামাক নিয়ন্ত্রণের স্বার্থে আমাদের দাবী:

১. খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে কৃষি জমিতে তামাক চাষ বন্ধ করা।

২. তামাক চাষে সকল ধরণের ঋণ ও অন্যান্য সুবিধা নিষিদ্ধ করা।

৩. তামাকের পরিবর্তে খাদ্য শস্য উৎপাদনে কৃষকদের সহযোগীতা প্রদান এবং বাজারজাতকরণের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা।

৪. পাবর্ত্য এলাকায় তামাক চাষ অবিলম্বে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা।

৫. বনায়নের নামে তামাক কোম্পানগিুলো বিদেশী গাছ লাগানো নিষিদ্ধ করা।

উল্লেখ্য যে, কৃষি মন্ত্রনালয়ের এবারের বিশ্ব খাদ্য দিবসের অঙ্গীকার “পারিবারিক কৃষির মাধ্যমে প্রকৃতিকে সুরক্ষা করে সবার জন্য খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হোক”।


বিশ্ব খাদ্য দিবস


তামাক বিরোধী নারী জোটের আয়োজনে ঢাকা ছাড়াও কক্সবাজার, টাংগাইল, লালমনিরহাট, মাগুড়া, দিনাজপুরে বিশ্ব খাদ্য দিবস পালিত হয়।


ছাপবার জন্য এখানে ক্লিক করুন



৫০০০ বর্ণের অধিক মন্তব্যে ব্যবহার করবেন না।