লামায় বিশ্ব খাদ্য দিবস উপলক্ষ্যে উবিনীগের র‌্যালী সমাবেশ


বান্দরবানের লামায় উন্নয়ন বিকল্পের নীতিনির্ধারনী গবেষণা (উবিনীগ), নয়াকৃষি আন্দোলন ও তামাক বিরোধী নারী জোটের (তাবিনাজ) যৌথ উদ্যোগে বিশ্ব খাদ্য দিবস পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার সকালে, তামাক চাষ বন্ধ করো খাদ্য ঘাটতি, ক্ষুধা ও পুষ্টিহীনতা দূর করো, এ শ্লোগানকে সামনে রেখে এক বর্ণাঢ্য র‌্যালী বের করা হয়। র‌্যালীটি লামা পৌর এলাকার কাটাপাহাড় থেকে কলিঙ্গাবিল হয়ে লামামুখ গিয়ে শেষ হয়। লামা পৌরসভার কাউন্সিলর জোসনা বেগমের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত র‌্যালীতে দুই শতাধিক আদিবাসী ও বাঙ্গালী নারী-পুরুষ অংশ গ্রহন করেন। র‌্যালী শেষে কলিঙ্গাবিল চার রাস্তার মাথায় এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। উবিনীগর কক্সবাজার ও বান্দরবান জেলার আঞ্চলিক সমন্বক রফিকুল হক টিটোর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, পৌরসভার কাউন্সিলর জোসনা বেগম, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা রতন কুমার দেব, উবিনীগের কর্মসূচী সহযোগী আলী আকবর, গবেষক সারথী দাশ, জাকির হোসেন, সামছুদ্দিন আহমেদ, কৃষক সুরুজ মিয়া, সারোয়ার হোসেন ও আকলিমা বেগম প্রমুখ।


বিশ্ব খাদ্য দিবস ২০১৪


সমাবেশে বক্তারা বিশ্ব খাদ্য দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে বলেন, পার্বত্য লামা উপজেলা এক সময় শস্য ভান্ডার হিসেবে খ্যাত ছিল। বর্তমানে মাতামুহুরী নদীর দুকূলসহ উর্বর খাদ্যের জমিতে ক্ষতিকর তামাক চাষের কারনে উপজেলায় খাদ্য ঘাটতিসহ জমির উর্বরতা নষ্ট হচ্ছে, প্রাণ বৈচিত্র ও প্রাণ সম্পদ বিলুপ্তি পথে। শুধু তাই নয়, তামাক চাষ, ধুমপান ও ধোয়া বিহীন তামাক যেমন জর্দা, সাদা পাতা, গুল ইত্যাদি সেবন করার ফলে সরাসরি মানব দেহে প্রবেশ করে প্রতিনিয়ত স্বাস্থ্যহানি ঘটছে। অবিলম্বে খাদ্যের জমিতে তামাক চাষ বন্ধসহ তামাক নিয়ন্ত্রন আইনের সঠিক বাস্তবায়নের দাবী করে স্থানীয়ভাবে খাদ্য শস্য উৎপাদন করার জন্য বক্তারা কৃষকদের প্রতি আহবান জানান।

বিশ্ব খাদ্য দিবস ২০১৪


ছাপবার জন্য এখানে ক্লিক করুন



৫০০০ বর্ণের অধিক মন্তব্যে ব্যবহার করবেন না।