নারী আসন আরো ২৫ বছর ও নারীর রাজনৈতিক পঙ্গুত্ব
ফরিদা আখতার || Wednesday 08 August 2018 ||জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসন আরও ২৫ বছর থাকার বিধান রেখে গত ৮ জুলাই, ২০১৮ জাতীয় সংসদে সংবিধানের সপ্তদশ সংশোধনী বিল ‘সংবিধান (সপ্তদশ সংশোধন) বিল-২০১৮’ বিভক্তি ভোটে পাস হয়েছে। এই সংশোধনীতে ৫০ টি নারী আসনের সংখ্যাও বাড়ানো হয়নি এবং নির্বাচন পদ্ধতিতেও কোন পরিবর্তন আনা হয়নি। শুধু ২৫ বছরের জন্যে মেয়াদ বাড়িয়ে সংবিধানের ৬৫(৩) অনুচ্ছেদে সংশোধনী আনা হয়েছেঃ
‘সংবিধান (সপ্তদশ সংশোধন) আইন,২০১৮ প্রবর্তনকালে বিদ্যমান সংসদের অব্যবহিত পরবর্তী সংসদের প্রথম বৈঠকের তারিখ হইতে শুরু করিয়া ২৫ বৎসর কাল অতিবাহিত হইবার অব্যবহিত পরবর্তীকালে সংসদ ভাঙ্গিয়া না যাওয়া পর্যন্ত পঞ্চাশটি আসন কেবল মহিলা সদস্যদের জন্য সংরক্ষিত থাকিবে এবং আইনানুযায়ী পূর্বোক্ত সদস্যদের দ্বারা সংসদে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতির ভিত্তিতে একক হস্তান্তরযোগ্য ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হইবেন…।’
পঞ্চাশটি সংরক্ষিত নারী আসনের মেয়াদ ২০১৯ সালের ২৮শে জানুয়ারি পর্যন্ত থাকা সত্ত্বেও ২০১৮ সালেই জাতীয় নির্বাচনের আগে তড়ি ঘড়ি করে এই সংশোধনী আনা হয়েছে; সম্ভবত নির্বাচনের পর জাতীয় সংসদে বর্তমান সরকারি দলের এতো বিপুল সংগরিষ্ঠতা নাও থাকতে পারে এই ভেবে। সংবিধান সংশোধনের জন্য এককভাবে দুই-তৃতীয়াংশ ভোট পাওয়া নাও যেতে পারে। পত্রিকায় প্রকাশিত খবরে জানা যায়, এই সংশোধনীর প্রক্রিয়া হিশেবে ২০১৮ সালের ১০ এপ্রিল বাংলাদেশের সংবিধানে সপ্তদশ সংশোধনী আনতে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক একটি বিল সংসদে তোলেন। পরে এটি পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়। এরপর ৬ জুন (২০১৮) সংসদীয় কমিটির প্রতিবেদন সংসদে উপস্থাপন করা হয়। অবশেষে জুলাই মাসে বিলটি পাস হয়। এর মধ্যে সংসদের বাইরে নারী সংগঠনের সাথে কোন প্রকার আলোচনা হয়নি, জানতে চাওয়া হয়নি তাঁরা কি চান। এতোদিন তাঁরা যে দাবী করে আসছেন সে বিষয়ে আইন মন্ত্রী এবং সংসদীয় কমিটি নিশ্চয়ই ওয়াকিবহাল আছেন। সংসদে ভেতরে এবং বাইরে রাজনৈতিক দলের কাছে মতামত নেয়া হয়েছে কিনা জানা যায় নি। বিষয়টি যেন একান্তই সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের!
উল্লেখ্য, জাতীয় সংসদে ৩০০ সংসদীয় আসনের বিপরীতে ১৯৭৩ সালে ১৫টি সংরক্ষিত নারী আসনের বিধান রাখা হয় সংবিধানে ৬৫(৩) ধারায়। এই আসনে কোন পরিবর্তন আনতে হলে তিনটি বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হয়। এক. আসন সংখ্যা, ২. মেয়াদ, ৩. নির্বাচনী পদ্ধতি। এই পর্যন্ত যা পরিবর্তন আনা হয়েছে তা আসন সংখ্যা এবং মেয়াদ বৃদ্ধি নিয়ে, কিন্তু নির্বাচনী পদ্ধতি নিয়ে হয় নি। ১৯৭৩ সালে পর বিভিন্ন সময় আসন সংখ্যা বাড়িয়ে দ্বিতীয়,তৃতীয়,পঞ্চম,ষষ্ঠ ও সপ্তম সংসদে ১৫টি থেকে বাড়িয়ে ৩০টি করা হয়।
সংবিধানে এই আসনের মেয়াদ না থাকায় চতুর্থ সংসদে সংরক্ষিত নারী আসন ছিল না। একই কারণে অষ্টম সংসদের শুরুতেও নারীদের সংরক্ষিত আসন ছিল না। কারণ সে সময় আদালতে সম্মিলিত নারী সমাজের মামলা চলছিল। পরবর্তীতে ২০০৪ সালে অষ্টম জাতীয় সংসদে সংবিধান সংশোধন করে সংরক্ষিত নারী সদস্যের ৪৫টি আসন সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আনুপাতিক হারে বণ্টনের ব্যবস্থা করা হয়। সরাসরি নির্বাচন না দিয়ে সংসদে অংশগ্রহণকারি অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সাথে আসন ভাগাভাগির ব্যবস্থা রাখা হোল। এই সময় সংখ্যাগরিষ্ঠ দল বিএনপি ছাড়াও জোটের নারীরা আনুপাতিক ভাগ পেয়েছেন।
২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয় এবং সংসদের প্রথম অধিবেশন বসে ২০০৯ সালের ২৫ জানুয়ারি। সেই হিসেবে সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্যের মেয়াদ ২০১৯ সালের ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত আছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও ২০১১ সালে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সংরক্ষিত নারী সদস্যদের সংখ্যা ৪৫ থেকে বাড়িয়ে ৫০ এ উত্তীর্ণ করা হয়। অবশ্য এই সময় আর মেয়াদ বাড়ানো হয়নি, কিংবা নির্বাচনী পদ্ধতিতেও পরিবর্তন করা হয়নি। সেই মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে বছরখানেক হাতে থাকতেই সপ্তদশ সংশোধনীর মাধ্যমে মেয়াদ ২৫ বছর বাড়ানো হয়েছে, যার কোন যৌক্তিক কারণ নাই। এতো বড় সময় ধরে মেয়াদ বৃদ্ধি এর আগে আর কখনো হয়নি।
সংরক্ষিত নারী আসনের সদস্যরা সংসদের পেছনের আসনেই বসতে পারেন, সামনের আসনে বসেন জনগনদ্বারা নির্বাচিত প্রতিনিধি। নারীরা আরও ২৫ বছর এভাবেই বসে থাকার বিধান করা হোল সপ্তদশ সংশোধনীর মাধ্যমে। এটা করা হয়েছে এমন এক সময়ে যখন নারী আর ‘অনগ্রসর বা পশ্চাদপদ’ বলে চিহ্নিত নয়, যখন নারী এভারেস্টের চুড়ায় উঠছে, ক্রিকেট খেলায় ইওরোপের দলকেও হারিয়ে দিচ্ছে। সেই দেশে তাকে আরও ২৫ বছর জাতীয় নীতিনির্ধারণের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পেছনের সীটে বসে থাকতে হবে, এবং শুধু টেবিল চাপড়ে সরকারি দলের সকল কাজের বাহবা দিয়ে যেতে হবে, নারী বিরোধী, মানবাধিকার বিরোধি হলেও তার কিছু করার নেই। তার প্রমান আমরা দেখেছি। দেশে এতো নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে, তনু হত্যার বিচার আজ পর্যন্ত হয়নি। কিন্তু সংসদে কোন নারী এই নিয়ে টু’শব্দটি করেন নি। এভাবে নারী রাজনৈতিকভাবে পঙ্গু হচ্ছেন, হচ্ছেন রাজনৈতিক অটিজমের শিকার।
বলাবাহুল্য, সংরক্ষিত নারী আসনের মেয়াদ বৃদ্ধি নারী আন্দোলনের দাবী ছিল না, নারী আন্দোলন সবসময় চেয়েছে নির্বাচন পদ্ধতির পরিবর্তন, এবং আসন সংখ্যা বৃদ্ধি। তাঁরা সংসদে নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের দ্বারা মনোনীত হয়ে বা পরোক্ষভাটে নয়, সরাসরি জনগণের ভোটে নির্বাচিত হওয়ার দাবি জানিয়েছেন। তাঁরা জনগনের কাছেই তাদের অঙ্গীকার ব্যক্ত করে নির্বাচিত হতে চেয়েছেন। উল্লেখ্য, স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের সময় গড়ে ওঠা ঐক্যবদ্ধ্ব নারী সমাজ প্রথম ১৯৮৭ সালে জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনে সরাসরি নির্বাচনের দাবী জানিয়েছে। এরপর ১৯৯৫ সাল থেকে সম্মিলিত নারী সমাজ এই দাবীটি এগিয়ে নিয়েছে, আরো বেগবান করেছে। এমন কি হাইকোর্টে মামলাও করেছে। নারী আন্দোলনের যুক্তি ছিল যে স্বাধীনতার পর শুরুতে নারীদের জন্যে এই আসন বিশেষ ব্যবস্থা হিসেবে করা হয়েছিল। সেই কারণে নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের দ্বারা মনোনীত করার বিধান রাখা হয়েছিল। ১৯৭২ সাল থেকে ২০১৮ পর্যন্ত ৪৬ বছরের অভিজ্ঞতায় আমরা বলতে পারি এই বিধান রাখার কারণে দলীয় নারী সংসদে বসতে পারছেন বটে, সুযোগ সুবিধাও পাচ্ছেন, কিন্তু নিজেরা রাজনীতিতে সক্রিয়ভাবে কাজ করতে পারছেন না। তাছাড়া রাজনৈতিক দল ছাড়া সমাজে নারী অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্যে যারা লড়ছেন তাঁদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার কোন সুযোগ থাকছে না। এই আসনে যারা বসবেন তাঁদের কাজ হচ্ছে দেশের নারীদের কল্যাণে কাজ করা। কিন্তু সেটাও হচ্ছে না। কোন বিশেষ ব্যবস্থা দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে না। এক পর্যায়ে শেষ হতে হয়। সাধারণ আসনে প্রতিদ্বন্দিতা করাই নারীর রাজনৈতিক লক্ষ্য। সে কারণে সম্মিলিত নারী সমাজ, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ, সামাজিক প্রতিরোধ কমিটিসহ বিভিন্ন সংগঠন সরাসরি নির্বাচনের দাবীর পাশাপাশি সাধারণ আসনে মনোনয়নের ক্ষেত্রে ২০% আসনে নারীদের মনোনয়ন দেয়া্র দাবী জানিয়েছে। লক্ষণীয় যে রাজনৈতিক দলের নেতারা সংরক্ষিত আসনের মেয়াদ বৃদ্ধিতে এতো উদারতা দেখাচ্ছেন, অথচ সাধারণ আসনে মনোনয়ন দেয়ার ক্ষেত্রে তারা নীরব।
যদি সংসদে সংরক্ষিত আসন থাকতেই হয়, তা হবে স্বল্প মেয়াদের এবং হতে হবে সরাসরি নির্বাচনের মাধ্যমে, যেন সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নারী ছাড়াও সকল নারী নির্বাচন করে জনগণের ভোট নিয়ে এই আসনে বসতে পারেন। আসন সংরক্ষণের অর্থ হচ্ছে, এই আসনে প্রতিদ্বন্দিতা কেবল নারীদের মধ্যে হবে। যেই জিতুক, এই আসনে কেবল নারীই বসবে। নির্বাচিত বারীর জবাবদিহিতা হবে জনগণের কাছে, দেশের নারীদের কাছে।
সংরক্ষিত নারী আসন এতোই লোভনীয় বিষয় হয়ে গেছে যে কোন সরকারই নারী আন্দোলনের দাবীর প্রতি সাড়া দেয় নি, কারণ এই আসন গুলো সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের জন্যে বোনাস হয়ে আছে। কোনমতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলেই ৫০ আসন আপনা থেকে প্লাস হয়ে যাচ্ছে! বড় দুটি দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও বিএনপি’র নারী সদস্যরা তাদের ত্যাগ-তিতিক্ষার পুরুস্কার হিসেবে এই আসনে বসার সুযোগ পাবেন ভেবে এই আসনের ব্যাপারে সরাসরি নির্বাচন করতে নারাজ। যদিও এই পর্যন্ত জাতীয় সংসদে তাঁরাই সংরক্ষিত আসনে মনোনীত হয়েছেন এবং তাঁদের অভিজ্ঞতা মোটেও ভাল নয়। সম্মান ও মর্যাদার অভাব এবং কাজ করার সীমাবদ্ধতা নিয়ে গ্লানিতে ভুগেছেন।
আমরা বিশেষভাবে দুঃখিত যে এই সংসদে নারী স্পীকার, এড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে নারীর জন্যে এতো পশ্চাদপদ একটি বিল পাশ হোল। সংসদ নেতা শেখ হাসিনা এবং বিরোধী দলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদ, সকলেই নারী। ইতিহাসে এই কথা খোদাই করা হোল। আমাদের দেশের প্রধান মন্ত্রী নারীর ক্ষমতায়নের জন্যে আন্তর্জাতিক পুরুস্কারও পেয়েছেন। সেই প্রধানমন্ত্রীর আমলে নারীর জন্যে এমন একটি পশ্চাদপদ বিল পাস হওয়া লজ্জাজনক। আশার কথা এই যে, আইন মন্ত্রী আনিসুল হকের প্রস্তাবের পর এই বিলটি বিনা প্রতিবাদে পাশ হয়নি। বিরোধী দল জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে জনমত যাচাই এবং বাছাই কমিটির কাছে পাঠানোর প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল। কিন্তু জাতীয় সংসদে সরকারি দলের সংখ্যাগরিষ্ঠতার কারণে এসব প্রস্তাব স্পিকার ভোটে দিলে ‘না’ নাকচ হয়ে যায়। স্পিকার সংশোধনী প্রস্তাবের ওপর আলোচনার আহবান জানালে জাতীয় পার্টি ও স্বতন্ত্র সদস্যের পক্ষ থেকে কয়েকটি সংশোধনী প্রস্তাবও দেন। বিলের ওপর প্রায় দুই ঘণ্টা আলোচনা শেষে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
বিলের বিপক্ষে যেসব যুক্তি উপস্থাপিত হয়েছিল, (পত্রিকার মাধ্যমে যা জেনেছি), তুলে ধরছিঃ
১। ৬০ বা ৭০ এর দশকে এই বিধানের যৌক্তিকতা ছিল। তখন নারীরা বঞ্চিত ছিলেন। এখন সেই অবস্থা নেই। এখন প্রয়োজনে নারীদের জন্য আলাদা ১০০টি আসন করে সেখানে সরাসরি নির্বাচন দেওয়া যেতে পারে।
২। এখন যেভাবে নারীদের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে তাতে সংবিধানের ২৮(৪) ও ৬৬ (১) দফার লঙ্ঘন হবে। কারণ এখানে সব নারী সংসদ সদস্য হওয়ার সুযোগ পাবেন না। শুধু দলীয় নারীরা সুযোগ পাবেন। ‘অরাজনৈতিক’ নারীরা প্রার্থী হতে পারবেন না। এতে সংবিধানের ২৮(৪) ধারা লঙ্ঘন হবে।
৩। সংরক্ষিত আসনের মেয়াদ ২৫ বছর না করে ১০ বছর করার প্রস্তাব দেয়া হয়।
ইতিমধ্যে ২৫ বছরের মেয়াদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হয়েছে। ২০৪৩ সাল পর্যন্ত নারীকে এমন একটি পশ্চাদপদ ব্যবস্থায় রেখে দেয়া নিশ্চয়ই আগামি প্রজন্মের নারী পছন্দ করবে না। এই প্রজন্মের তরুণ-তরুণী সরকারি চাকুরিতে কোটার বিরোধিতা করে আন্দোলনে নেমেছে। তারা রাজনৈতিক কোটার এমন ব্যবস্থা মেনে নেবে এমন আশা করা ঠিক নয়। আমরা জানি নারীর প্রতি রাজনৈতিক বৈষম্য শেষ হয়ে যায় নি, কিন্তু সেটা দূর করতে সাধারণ আসনে নারীর অংশগ্রহণ বাড়ানোর ক্ষেত্র তৈরি করতে হবে। তার উদাহরণ বর্তমান সংসদেই রয়েছে। আসন সংরক্ষণ করে তা নির্বাচিত সদস্যদের করুণার ওপর ছেড়ে দিয়ে নারীর ক্ষমতায়ন হয় না, তাকে পঙ্গু করে দেয়া হয়। আশা করছি, এই বিল পুনর্বিবেচনা করে সংশোধনী আনা হবে।