বন্যায় কৃষক ও কৃষি ফসলের ক্ষয়ক্ষতি
ফাহিমা খাতুন লিজা || Friday 31 July 2020 ||টাঙ্গাইল জেলার দেলদুয়ার উপজেলার লাউহাটি ইউনিয়নের ১০টি গ্রাম স্বল্পনাড়ু পাঁচুরিয়া, ডামখন্ড, তাঁতশ্রী, কাতুলী, তারটিয়া, পাহাড়পুর, ভবানীপুর, হেরন্ডপাড়া, চরলাউহাটি ফাজিলহাটি ইউনিয়নের বটতলা, ফাজিলহাটি, শশিনারা, মোমিননগর, জানমাবুদআবাদ, আটিয়া ইউনিয়নের নান্দুরিয়া, গড়াসিন, গোয়ারিয়া, কান্দাপাড়া, মৌসাকাঠালিয়া, নাল্লাপাড়া, আটিয়া, জাঙ্গালিয়া, মামুদপুর গ্রামে বন্যার পানি আসায় মানুষ, গবাদী পশু, হাঁস-মুরগী, বাড়ির পালানে, মাঠে আবাদ করা ধান, সবজীর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
পাঁচুরিয়া গ্রামের কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা যায় গত ১ সপ্তাহ ধরে বন্যায় মানুষের অপুরণীয় ক্ষতির সম্মুখীন হচেছন। মাঠে চাষ করা ছিট বোনা ভাওইলাদিঘা, চামারা, ঢেপর এবং বিআর-১১, মধুশাইল, কালিজিরা ধানের জালা/চারা সব শেষ। নদীর পাড় ভেঙ্গে পাট কাটতে পারে নাই। পাট কাটতে গেলে ছিড়ে যায়। নদীতে জাগ দেওয়া পাট পানির স্রোতে ভেসে গেছে। আনতে পারে নাই। সবজী একেবারে শেষ।
নদীর পাড় ভেঙে ফসলী জমি নদীতে গেছে। বড় বড় পাকি বেগুন ক্ষেত (২০০/৩০০ শতকের), বরবটি, চিচিঙ্গা, ঢেঁড়শ, ডাঁটা, চালকুমড়া, ধুন্দুল, কলা, পেঁপে গাছের কোন চিহ্ন নাই। পালানে চাষ করা মরিচ, বেগুন, আগর বোনা সীম, মিষ্টিকুমড়া, চালকুমড়া, সাতপটল, ঝিঙ্গা, ধুন্দুল, চিচিঙ্গা, উছতা, বরবটি সব নষ্ট হয়ে গেছে। ধইঞ্চা, বাদাম, তিল সব নদীর ভাঙনে গেছে। কাটতে পারে নাই। “তিলে ফুলও আসলে আর পানিতে তলিয়ে গেল”। লেবু ক্ষেতে লেবু গাছের উপরে পানি। কৃষকেরা এখন ধানের বেছন কোথায় পাবে তা ভেবে চিন্তায় আছে।
ফাজিলহাটি গ্রামের কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা যায় এবারের আগর বন্যায় কৃষকের মাথায় বারি। মাঠে ছিট বোনা আমন ধানের মধ্যে দিঘা, পাটজাগ, লালভাওইলা, হরিঙ্গা, কাতিকাইকা গোছা আমনের মধ্যে চামারা, কার্তিকঝুল ডুবে গেছে। মধুশাইল, পাটজাগ, আবছায়া, কাইকা ধানের জালা/চারা নষ্ট হয়ে গেছে। লেবু ক্ষেতের উপরে পানি।
মাঠে চাষ করা সবজী চালকুমড়া, ধুন্দুল, পেঁপে, মরিচ, মিষ্টিকুমড়া, বড় বড় বেগুন ক্ষেত, পাট ডুবে গেছে। ৩/৪ আঙুল পানি বাড়লে পালানে আবাদ করা আদা, হলুদ ডুবে যাবে। বীজের সংকট হবে। কেউ কেউ উঠানে কুপিয়ে ধানের চারা ফেলছেন।
মৌশাকাঠালিয়া ও নান্দুরিয়া গ্রামের কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা যায় আশপাশের জমি, সবজী ক্ষেত ডুবে গেছে। রাস্তা, পুকুর ডুবে গেছে। দাইঘরের সামনেও পানি। আমন ধানের মধ্যে দিঘা, হরিঙ্গা, কার্তিকঝুল ডুবে গেছ। আমন ধানের বীজতলাও ডুবে গেছে। পাট ডুবে ডুবে কাটছে। মাছে আবাদ করা সবজী চালকুমড়া, পুঁইশাক, ধুন্দুল, শসা, ঢেঁড়শ আর পালানে আবাদ করা ঝিঙ্গা, মরিচের চারা, বেগুন, ডালিম, পেঁপে চারা নষ্ট হয়ে গেছে।
দেলদুয়ারের দক্ষিণে লাউহাটির ভিতর দিয়ে ধলেশ্বরী নদী বয়ে গেছে এটি যমুনার একটি শাখা নদী। কাজেই যমুনার পানি বাড়লে এর প্রভাব পড়ে এই সব এলাকায়। দেলদুয়ার একটি অন্যতম কৃষি প্রধান এলাকা এখানে ফসলের বৈচিত্র্য অন্য এলাকার চেয়ে ভিন্ন কারণ হাজার হাজার নয়াকৃষির কৃষক বিভিন্ন গ্রামে নয়াকৃষি পদ্ধতিতে চাষাবাদ করছে। ফলে সব সময় মাঠে ফসলের বৈচিত্র্য থাকে। কিন্তু এবারের বন্যায় ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হবে বলে কৃষকরা জানিয়েছেন। স্বল্পনাড়ু গ্রামের কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা যায় এবারের বন্যা প্রায় ১৯৮৮ সালের বন্যার মত মনে হচ্ছে। আকাশে সাদা/মেঘ যায়। মেঘ শব্দ করে ডাকে। ঐ মেঘ উজানে নামে। উজান থেকে পানি আসে। কি হবে বলা যায় না। চারিদিকে শুধু পানি আর পানি। গরু-ছাগল ঘরে ঘরে। মানুষও ঘরে। কেউ কোথায়ও যেতে পারে না। ছোট-বড় নাই সবার উঠানে পানি। গরুর হাটে মাজা পানি। ২৩ তারিখে ৪ আঙুল পানি কমছে।
ফাজিলহাটি গ্রামের কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা যায় ২৩ তারিখে ১ আঙুল পানি বাড়ছে। মাঠে পানি আর পানি নদীর মতন দেখা যায়। রাস্তাঘাটও ডুবছে। ক্ষেত-খোলা ডুবে এবার মানুষের মাথায় বারি। বেছন সংগ্রহ করতে পারে নাই। আগের মত বাইরে যাওয়া যায় না। ২/১ জন পানি ভেঙে বাইরে যায়। দেলদুয়ার কলেজের দক্ষিণের রাস্তা ভাঙছে। লাউহাটি থেকে কোন সিএনজি দেলদুয়ারে যেতে পারছে না।
নান্দুরিয়া, আটিয়া গ্রামের কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা যায় নান্দুরিয়া গ্রামে ১ আঙুল পরিমাণ পানি কমেছে। কিন্তু পানির গতি দেখে মনে হয় পানি আরো বাড়বে। মানুষের আবাদ করা সব সবজী এবার শেষ। বীজও সংগ্রহ করতে পারেন নাই কেউ। আটিয়া গ্রামে ২/৩ আঙুল পরিমাণ পানি কমেছে। কেউ বাড়ি থেকে বের হতে পারছে না। স্বাভাবিক চলাচল খুব কষ্ট। মানুষ নৌকায় করে যাতায়াত করছে।
স্বল্পনাড়ু গ্রামের কৃষকদের থেকে জানা যায় আজ ৬/৭ আঙ্গুলের মত পানি কমছে। তবে পানি আসার গতি খুব খারাপ। নদীর পানিতে খুব ধার। দাইঘরের চারিদিকে পানি। রাস্তাও ডুবে গেছে। নৌকায় করে সবাই চলাচল করতেছে। নদীর পানির খুব ঢেউ। লগি ঠাই নেয় না। আবাদ করা সব সবজী, ধান ডুবে গেছে। বীজ পাকে নাই। টান জায়গা, আত্মীয় বাড়ি থেকে বীজ আনা লাগবে। যেকোন উপায়ে বীজ সংগ্রহ করতে হবে। ধান আবাদ না করলে কৃষকের উপায় নাই।
ফাজিলহাটি কৃষকদের থেকে জানা যায় গত রাত এবং আজ সকালের বৃষ্টিতে দেড় আঙুল পানি বেড়েছে। এভাবে পানি বাড়ায় মানুষ খুব চিন্তায় আছে। কবে পানি নামবে আর মানুষ কৃষি কাজ করবে আগের মত। পানি নামলে বীজ ধানের চারা সংগ্রহ করা শুরু করতে হবে। এবার আগর বন্যা হওয়ায কেউ বীজ সংগ্রহ করতে পারে নাই।
নান্দুরিয়া গ্রামের কৃষকরা বলেন, গতদিন ১ আঙুল পানি কমলেও আবার আজকে ১ আঙুল পরিমাণ পানি বেড়েছে। দাইঘরের সামনের পানি এখনও সরে নাই। মানুষের ঘরের ডোয়ার মাটি সরে যাচ্ছে। মানুষের ঠান্ডা-জ্বর হচ্ছে। আটিয়া গ্রামে আজকে আবার ৬ আঙুল পরিমাণ পানি বাড়ছে। বাড়ি থেকে বের হওয়া খুব মুশকিল। ধানের খড়ের পালা ডুবে যাচ্ছে । বাড়ির আশপাশ ডুবে যাওয়ায় ছোট ছোট বাচ্চাদের নিয়ে মানুষ বিপদে আছে।
কৃষক ও কৃষি ফসলের ক্ষয়ক্ষতি: শাহজাদপুর, সিরাজগঞ্জ
সোনাতনী ইউনিয়নের বানতিয়ার গ্রামের কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, এবারের বন্যায় সোনাতনী এবং ঘোরজান ইউনিয়নে বেশি ক্ষতি হয়েছে। পহেলা আষাঢ় মাস থেকে বন্যার পানি বাড়তে থাকে। সোনাতনী ইউনিয়নের বানতিয়ার, ছোটচামতারা, বাঙ্গালা, আলাজি বানতিয়ার, বড় চামতারা, কুরশি, বারপাইকা এবং ঘোরজান ইউনিয়নের ছোট ঘোরজান, বড় ঘোরজান, বালিয়াকান্দি, বরংগাইল, ফইলাকান্দি, ধীতপুর, কৈরট, ভাতদিঘলা, মারহা গ্রামের সবারই কম-বেশি ক্ষতি হয়েছে। নদী ভাঙনে আবাদী জমি, বাড়িঘর নদীতে বিলীন হচ্ছে।
মানুষ, গরু, ছাগল, মাঠে চাষ করা আমন ধান, সবজী সব কিছুর অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। প্রায় প্রতি বাড়িতে পানি। ঘরেও পানি ঢুকেছে। মানুষ ঘুমানোর জন্য চকি, মাচা পেতে থাকছে। গরু-ছাগল উচুঁ জায়গায় কাইশা, কচু, খেড় দিয়ে শুন্য করে রাখছে। মাঠে আবাদ করা আমন ধানের মধ্যে দিঘা, হিজলদিঘা, ভাওইলা দিঘা, সবজীর মধ্যে মরিচ, চালকুমড়া, পেঁপে, ঢেঁড়শ, ডাঁটা, বেগুন , পটল ডুবে গেছে। ১/২ ক্ষেতে ধান কিছুটা টিকতে পারে। আগর পানি আসায় তিল, পাট কাটতে পারে নাই। পালানে চাষ করা ঢেঁড়শ, চালকুমড়া, বেগুন, মরিচ, পেঁপে, বেগুন, কলা, ধুন্দুল সব মারা গেছে। এই বছর কৃষকদের বীজের সংকট হবে। গরু-ছাগলের খাদ্যের সংকট দেখা দিছে। মাঠে কোন কাঁচা ঘাস নাই। কাঁঠাল গাছের পাতা, কাইশা, কেটে খাওয়াচ্ছে। খড়ের গাদায় পানি উঠছে। সব দাইঘরের ভিতরে পানি। পানির স্রোতে ঘরের ডোয়া ভাঙছে। বানতিয়ার বাজার, স্কুলেও পানি। করোনায় কামাই নাই, এদিকে এতো পানি। দুটো মিলে অবস্থা খুবই খারাপ।
ঘরবাড়ি ও রাস্তাঘাটের ক্ষয়ক্ষতি: দেলদুয়ার, টাঙ্গাইল
মানুষের ঘর-বাড়ির ডোয়া ভেঙ্গে যাচ্ছে। ঘরের ডুয়া ভেঙ্গে খামের গোড়া বের হয়ে পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অনেকের ঘর ভেঙ্গে নদীতে যাওয়ার অবস্থায় আছে। নৌকা, কলার ভুর্যা (ভেলা) করে যাতায়াত করছে। খুব প্রয়োজন না হলে বাড়ির বাইরে বের হচ্ছে না। লাউহাটিতে বড় হাট বসে, প্রতিদিনের বাজার বসে। সেই বাজারে হাটু পানি। মানুষের দোকানের ভেতরে পানি ঢুকে বাজার বন্ধ হয়ে গেছে। রাস্তায় বাজার বসছে। সামনে কুরবাণীর হাট ছিল হাটও বসতে পারবে না। রান্নাঘর ডুবে যাওয়ায় চুলায় রান্না করতে পারছে না। পানিতে চেয়ারের উপর চুলা রেখে দাড়িয়ে রান্না করছে। খাওয়ার পানিরও সমস্যা দেখা দিয়েছে।
গবাদি পশু-পাখির অবস্থা: দেলদুয়ার, টাঙ্গাইল
গরু-ছাগল নিয়ে মানুষ চিন্তায় আছে। কুরবানীর গরু নিয়ে বেশি চিন্তিত। গরুর থাকার জায়গা নাই। কোথাও উঁচু জায়গা থাকলে সেখানে বাঁধছে। কেউ কেউ আত্মীয় স্বজনের বাড়ি পাঠাচ্ছে। খাবারের অভাব দেখা দিয়েছে। কাঁচা ঘাসের অভাবে শুধু শুকনা খড়, কাঁঠাল গাছের পাতা, কলা পাতা খাওয়াচ্ছে। চারিদিকে শুধু পানি আর পানি। গরুর খাবারের অভাবে অনেকে গরু বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
রিদয়পুর বিদ্যাঘরের বন্যা পরিস্থিতি:
৪-১০ জুলাই পর্যন্ত কেন্দ্রভিত্তিক ধান গবেষণার যে বীজতলা দেওয়া হয় তা ১৩ জুলাই এর মধ্যে বৃষ্টির পানিতে এক তৃতীয়াংশ তলিয়ে যায়। সেই দিন থেকেই বন্যার পূর্বাভাস পাওয়া যায়। ১৬ তারিখে বীজতলার সব ধানের চারা পানির নিচে তলিয়ে যায়। তার পাশের বেগুন ক্ষেতেও পানি চলে আসে। বেগুন ক্ষেতে পানি আসার কারণে ফলন থাকা সত্ত্বেও গাছগুলো পানিতে পঁচে যাচ্ছে। জমির আশপাশে চারদিকে অন্যান্য কৃষকদের ক্ষেতেও কোমড় সমান পানি। কেন্দ্রের ঘানি ঘরের সামনের পুকুরের উপরের চাল কুমড়ার জাংলা পানিতে তলিয়ে গেছে। বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত থাকার কারনে পানি বেড়েই চলেছে।
২০ জুলাই সকালে মুরগির খামারে পানি প্রবেশ করে। সকালেই নাম ঘরে মুরগি সরিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু হয় এবং রাত ৮ টায় কাজ শেষ হয়। গরু ঘরে পানি প্রবেশ করায় তাঁতবাড়ি গরু সরানো হয়। সবজী চাষ করা সব ক্ষেতে পানি চলে আসে। চালকুমড়া, ঢেঁড়শ, মিষ্টিকুমড়া, ধুন্দুল, মরিচ, শসা, বেগুন, পেঁপে সব ক্ষেতে পানিতে ডুবে গেছে। বীজঘরের সামনে লাগানো পুঁইশাক, ঢেঁড়স, ডাঁটা, মরিচ, বেগুন, কলমী শাক, শসা সব পানিতে ডুবে গেছে। লালশাক পুঁইশাক ও লাউয়ের জাংলায়ও পানি উঠে গেছে। বন্যার কারণে আবার নতুন করে সেগুন তলায় বীজতলা দেওয়া হচ্ছে। এ্যাভোকাডো ফলের গাছগুলো মাটি থেকে তুলে টবে লাগানো হয়েছে। চারিদিকে পানি থাকায় সীম গাছের চারা সময়মত লাগানো সম্ভব হচ্ছে না।
সেগুন তলায় নতুন করে যে বীজতলা দেওয়া হয়েছে। বীজঘরের সামনের পানি আগের তুলনায় বৃদ্ধি পেয়েছে। বীজঘরের উত্তর পাশে জাংলায় চালকুমড়া, ধুন্দল এবং গবেষণার যে বেগুন বীজের জন্য রাখা হয় তা পরিপক্ক হওয়ার আগেই বন্যার পানির কারণে নষ্ট হয়ে গেছে। এখন বীজ সংগ্রহ করা যাচ্ছে না। বীজ সংগ্রহের জন্য যে মরিচ গাছ লাগানো হয়েছিল তার মধ্যে ১টি গাছ মারা গেছে আর বাকি গাছগুলোর পাতা ঝরে পড়ছে। বীজঘরে বীজ রাখার জন্য মরিচ, শসা, কাঠবাদাম, হরিতকি, বরবটি বীজ সংগ্রহ করা হয়েছে কিন্তুর বৃষ্টির কারণে বীজগুলি রোদে দেওয়া যাচ্ছে না।
২৩ তারিখ সকাল থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত বৃষ্টি হওয়ার কারণে পানি বাড়ছে। গবেষণার সীমের প্যাকেটর চারার লতাগুলো সব জড়িয়ে যাচেছ। বন্যার কারনে সময়মত লাগানো সম্ভব হচ্ছে না। প্রতিদিন বৃষ্টি হওয়ায় পাকা মরিচ তুলে রোদে শুকানো সম্ভব হচেছ না। বীজ সংগ্রহের জন্য গাছে ঢেঁড়শ পাকানোর জন্য রাখা হয়েছিল পাকার আগেই পানিতে গাছ তলিয়ে যায়।
অন্যান্য সমস্যাসমূহ: দেলদুয়ার, টাঙ্গাইল
“একদিকে করোনা অন্যদিকে পানি”। নদীতে অনেক ধার (স্রোতের) ভয়ে বাড়ি থেকে বের হচ্ছে না। নদী আর চক (মাঠ) বুঝা যায় না।
হঠাৎ পানি এসে গেছে। মানুষ বুঝতে পারে নাই। পানি আসলেও এতো দিন থাকে না। শাওন (শ্রাবন) মাসের শেষে পানি আসলে কাজে লাগত। এবার আগে পানি আসছে আবার যাচ্ছেও না। সাপের কাটার কারণে মানুষও মরছে। সড়কে মাজা পানি। মহিলারা বাইরে বের হতে পারছে না। পুরুষরা কোন প্রয়োজন হলে সাতরে যায় অথবা পানি ভেঙে যায়।
প্রতিবেদক
ফাহিমা খাতুন লিজা
উবিনীগ, টাঙ্গাইল কেন্দ্র
২৩ জুলাই, ২০২০