0
0 || Tuesday 26 November 2013 ||
একদিকে জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে কি হবে না সংশয়, অন্যদিকে সরকারি দলের প্রস্তুতি চলছে মনোনয়নপত্র বিক্রির। এ যেন এক উৎসব। নাচানাচি হচ্ছে, ঢোল বাজছে। তবে এ উৎসবে আসনসংখ্যা গনা হচ্ছে ৩০০। মনে হচ্ছে এগুলো বেশির ভাগ পুরুষদের জন্য নির্ধারিত। মোটরসাইকেল র?্যালি করে এসে মনোনয়ন চাওয়ার মধ্যে তাই প্রতীয়মান হয়। তারা সবাই ৩০০ সাধারণ আসনের মধ্যে নিজ নির্বাচনী এলাকার মনোনয়নপত্র কিনছেন ২৫ হাজার টাকা দিয়ে। এরই মধ্যে সবার অজান্তে থেকে যাচ্ছে ৫০টি আসন, যা সংরক্ষিত নারী আসন নামে পরিচিত। যখন সংসদ অধিবেশন চলে তখন যিনি চালান অর্থাৎ স্পিকার, তিনি যে আসন থেকে এসেছেন সে আসনও এখন গনার বাইরে। এ বড় অদ্ভুত ব্যাপার। এ আসনগুলোর মর্যাদা কখন বাড়ে বা কমে তা বোঝার উপায় নেই। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী যোগ্যতার দিক থেকে বিভিন্ন মানদ-ে মিললেও একটি ব্যাপারে প্রশ্ন থেকে গেছে যে, তিনি সরাসরি নির্বাচিত নন। তিনি সংরক্ষিত নারী আসনের একজন। তাকে প্রধানমন্ত্রী স্পিকার হিসেবে নির্বাচন করেছেন ভালো কথা; কিন্তু তার ব্যাপারে যে প্রশ্ন থেকে গেছে তার কোনো সুরাহা করে দেননি। এ বিষয়টিকে একটা ঘাটতি হিসেবেই রেখে দেয়া হয়েছে।
বর্তমানে যারা সংরক্ষিত আসনে আছেন তাদের মধ্যে দু’একজন সংসদ সদস্যকে মনোনয়নপত্র কিনতে দেখা যাচ্ছে। অর্থাৎ তারা সরাসরি নির্বাচন করতে চান। তাদের এ আত্মবিশ্বাস ও আত্মমর্যাদাবোধকে আমি সাধুবাদ জানাই। আর বাকি যারা সংরক্ষিত আসনেই থাকবেন বলে ঠিক করে রেখেছেন তারা এখন বসে থাকছেন। নির্বাচনের সময় হলে দলের প্রার্থীদের জন্য মাঠে ভোট চাওয়ার কাজ করবেন। তারপর যে দল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে সে দলের নারী সদ