যজ্ঞডুমুর
Monday 30 November -0001অন্যান্য স্থানীয় নাম: যজ্ঞডুমুর
বৈজ্ঞানিক নাম : Ficus racemosa পরিবার : Moraceaeপ্রধান ব্যবহার :ওষুধ/সবজি
অন্যান্য ব্যবহার :
আরো পড়ুন
উবিনীগ মাঠ গবেষণার তথ্য
যদি কারও জল বসন্ত হয় সেই ক্ষেত্রে ডুমুরের পাতার উপরে ফোসকার মত হয়, সেই পাতা ৮ থেকে ১০ টি পাতা তুলে রস করে রোগীকে খাওয়ালে জ্বালা পোড়া কমে এবং ঘঅ শুকানোর ক্ষেত্রে সাহায্য করে। রোগীকে এক ছটাক পরিমাণ রস ২ বেলা খাওয়াতে হবে।
যজ্ঞডুমুরের শিকড় রক্ত আমাশয়ে হিতকর এবং ইহার রস একটি বলকারক ঔষধ।
প্রস্রাব করতে গিয়ে প্রস্রাবের জায়গা জ্বালা যন্ত্রণা করে, ফোটা ফোটা প্রস্রাব হয়,প্রস্রাব পরিস্কার হয় না। সেই ক্ষেত্রে যজ্ঞডুমুরের পাতার রস এক পোয়া পরিমাণ করে খেলে ঐ দোষটা সেরে যায়।
চোখের উপরে বা নীচে যদি আইনল হয় সাথে সাথে একটু কষ বের করে তুলা দিয়ে পাতলা করে তিন দিন লাগালে উপকার পাওয়া যায়।
যদি পিঁপড়া, বিছা ও চেলা কোন স্থানে কামড়ায় সেই ক্ষেত্রে এই পাতার রস করে লাগালে বিষ কমে যায়।
বহুমুত্র রোগ হলে ঘন ঘন প্রস্রাব করে। প্রস্রাব আটকিয়ে রাখতে পারে না। সেই ক্ষেত্রে ডুমুর ভাজি, ভর্তা ও মাছের সাথে ঝোল রান্না করে খেলে বা কাঁচা ফল প্রতিদিন ৮/১০ টি লবন দিয়ে চিবিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যায়।
ভাত খাওয়ার আগে ২ ছটাক পরিমাণ ডুমুর পাতার রস খেলে বহুমুত্র রোগ সেরে যায়। ডুমুরের গাছের মূল ও পাকা ফলের রস বহুমুত্র রোগে হিতকর।
জন্ডিস হলে যজ্ঞডুমুর পাতার রস কপালে ঘষলে জন্ডিস ভাল হয়।
যজ্ঞডুমুর ছালের রস ৪ তোলা পরিমান চিনি ও জিরা ভিজানো পানি মিশিয়ে একসাথে ৪ সপ্তাহে খেলে গনোরিয়া রোগ ভাল হয়।
ঠাণ্ডা লেগে গলা ব্যথা করে, টনসিল হয়, কানের এক পাশে ফুলে যায় এবং ব্যথা করে সেই ক্ষেত্রে গাছ থেকে কেটে কেস বের করে গুড়ের নালী মিশিয়ে চামচে করে আঙ্গুলে ঘষে ব্যথার স্থানে তিনদিন লাগালে ব্যথা কমে যায়। কানের ফুলা হলে অনেক সময় শক্ত হয়ে যায়, সেই ক্ষেত্রে শক্ত জায়গায় চারিপাশে প্রলেপ দিলে নরম হয়ে গলে যায়।