জয়ফল
Monday 30 November -0001অন্যান্য স্থানীয় নাম:
বৈজ্ঞানিক নাম : Myristica fragrans পরিবার : Myristicaeaeপ্রধান ব্যবহার :মসলা/ওষুধ
অন্যান্য ব্যবহার :
আরো পড়ুন
প্রাচীন কাল থেকে বিভিন্ন রকমের ওষুধের উপকরণ হিসেবে জয়ফল এর ব্যবহার হয়ে আসছে। এমনকি এখনো ওষুধের উপকরণ হিসেবে জয়ফল ব্যবহার করা হয়। হাঁপানি,বদহজম, গ্যাসনিরাময়, ঠান্ডাকাশি, পানিস্বল্পতা, ডায়রিয়া, একজিমা, হিক্কা তোলা, অনিদ্রা, গর্ভবতীদের সকালে বমি ভাব, নিতম্বের স্নায়ু ব্যথা, দু:চিন্তা এসব রোগে জয়ফল ব্যবহার করা হয়।
পুষ্টিগুণ:
প্রতি ১০০ গ্রামে
জলীয় পদার্থ ১৪.৩%
প্রোটিন ৭.৫%
কার্বেহাইড্রেট ২৮.৫%
আঁশ ১১.৬%
মিনারেল ১.৭%
মিনারেল ভিটামিন ক্যালসিয়াম ০.১২ %
ফসফরাস ২.২৪%
আয়রন ৪.৬%
থায়ামিন ০.৩৩%
রাইবোফ্লাভিন ০.০১%
নিয়াসিন ১.৪%
ক্যালরী(খাদ্যশক্তি) ৪৭২
পূর্ব এশিয়া, মালাক্কা দ্বীপ, ইন্দোনেশিয়া, শ্রীলংকা, ওয়েষ্ট ইন্ডিজ জয়ফল আবাদ হয়। ক্ষুদ্র পরিসরে তামিলনাড়ু, ক্যারালা, আসাম এবং অন্যান্য প্রদেশে জয়ফল চাষ হয়। ভারতের নীলগিরি পাহাড় এবং মালাকার?? উপকুলে জয়ফলের অনেক প্রজাতি পাওয়া যায়। এর মধ্যে ৩০ টি প্রজাতি পাওয়া যায় ভারত, মালয়েশিয়া, আমেরিকায়। শোষড় শতাব্দিতে পর্তুগীজ চিকিৎসক দেখতে পেয়েছিলেন যে, ভারতের মাটিতে ব্যাপকহারে জয়ফল চাষ হয়। তবে এখন তেমন আর চাষ হতে দেখা যায় না ।
তথ্যসূত্র: ভারতীয় বনৌষধি চতুর্থ খন্ড, ইন্ডিয়ান স্পাইসিস এন্ড কনডিমেন্টস এস ন্যাচারাল হার্বস।