সাদা কলমী
Monday 30 November -0001অন্যান্য স্থানীয় নাম: সাদা কলমী
বৈজ্ঞানিক নাম : Ipomoea terpenthum পরিবার : Convolvutaceaeপ্রধান ব্যবহার :খাদ্য এবং ওষুধি
অন্যান্য ব্যবহার :0
আরো পড়ুন
অন্যান্য ব্যবহার: এটি একটি লতা গাছ। সাদা কলমী প্রধানত বদ্ধ জলাশয়ে জন্মে। যখন ফুল ফোটে তখন বেশ শোভা বর্ধন করে। সাদা কলমী যেখানে জন্মে সেখানে ঝোপঝাড় সৃষ্টি করে। কলমীর ফুল বেশ আকর্ষণীয়। বাংলাদেশে প্রাকৃতিক ভাবে দু’ধরণের কলমী দেখতে পাওয়া যায়। একটি ফুল বেগুনী অপরটির ফুল সাদা। এখানে আমরা সাদা কলমী সম্পর্কে আলোচনা করছি।
এটি বাংলাদেশের মানুষের নিকটে অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি শাক। এশিয়া মহাদেশসহ উষ্ণঅঞ্চলে এটি দেখতে পাওয়া যায়। সাদা কলমী বর্তমানে বাংলাদেশে একটি বিপন্ন লতা ও ওষুদি উদ্ভিদ। কলমীরর পাতা, কান্ড সবজী হিশেবে খাওয়া হয়। আর ওষুধ হিশেবে কান্ড, শিকড়, ও বীজ ব্যবহৃত হয়।
ওষুধি গুণাগুন: সাদা কলমী আয়র্বেদ চিকিৎসা ক্ষেত্রে অতিব গুরুত্বপূর্ণ একটি ওষুধি লতা হিশেবে ঐতিহ্য রয়েছে। বর্তমানে ওষুধি গুণাগুণের কারণে এর গুরুত্ব আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। সাদা কলমী দিয়ে আয়র্বেদ চিকিৎসা পদ্ধতিতে জ্বর, শোথ, ক্ষুধামন্দা, কোষ্ঠ্কাঠিন্য, ফেস্টুলা, রক্তল্পতা, স্থূলতা, পেটের আলসার, ত্বকে চুলকানীসহ বিভিন্ন চর্ম রোগে সফলতার সঙ্গে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এসব ছাড়াও প্রদাহনাশক, বেদনানাশক, মানসিক অস্থিরতা এবং পাকস্থলীর অ্যাসিডিটি রোগে সাদা কলমী আয়র্বেদ চিকিৎসা পদ্ধতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। এই প্রজাতি যেমন, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, আমাশয়, কোষ্ঠকাঠিন্য, ক্লান্তি, বাত, বাত, hydrocephaly, মেনিনজাইটিস, কিডনি রোগে আক্রান্ত এবং inflammations বিভিন্ন রোগ, চিকিৎসার জন্য বিশ্বের বিভিন্ন অংশ ব্যবহার করা হয়।
সাদা কলমীর পুস্টি মান: সাদা কলমীতে অ্যামিনো এসিড পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকে। এটি একটি সম্পূরক খাদ্য হিশেবে ব্যবহৃত হতে পারে। এতে আমিষ ও ভিটামিনসহ ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন, জিঙ্ক এবং কপার রয়েছে। এসব কারণে দেহের পুষ্টি পূরণে কলমী গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে।
পরিবেশগত অবদান: কলমী যে সব জলাশেয় থাকে সে জলাশয়ের পানি পরিস্কার করে, মাছের খাদ্য জোগায় এবং জলজপ্রাণীর শ্বাস-প্রশ্বাসের জন্য অক্সিজেন সরবরাহ করে।
বর্তমানে এ দেশে প্রাকৃতিক কলমী একটি বিপন্ন লতা। প্রাণবৈচিত্র্য এবং মানুষের বৃহৎ স্বার্থে আমার আপনার সবার দায়িত্ব একে রক্ষা করা।
সূত্র:
১।http://www.ijpbs.net/issue-4/Ph-53.pdf
২। http://www.scielo.br/scielo.php?script=sci_arttext&pid=S0102-695X2012000300031