শিমুল
Tuesday 21 July 2015অন্যান্য স্থানীয় নাম: শিমুল
বৈজ্ঞানিক নাম : Samalia malabaricum/Bombax ceiba পরিবার : Malvaceaeপ্রধান ব্যবহার :ওষুধ/কাঠ
অন্যান্য ব্যবহার :
আরো পড়ুন
উবিনীগ মাঠ গবেষণার তথ্য
ফোঁড়ায় শিমুল ছাল বেঁটে প্রলেপ দিলে ২/৩ দিনের মধ্যে জ্বালা যন্ত্রণা লাঘব হবে এবং ফোঁড়া সেরে যাবে।
শরীরের কোথাও পুড়ে ফোস্কা পড়লে এবং সে ফোস্কা গলে গেলে ঘায়ের সৃষ্টি হয়। পোড়া ঘা সহজে শুকাতে চায় না। শ্বেত শিমুল গাছের গুঁড়ি থেকে যে রস বের হয়, তা ২ গ্রাম এবং সমপরিমাণ শিমুল বীজ সামান্য পানি দিয়ে বেটে কয়েকদিন ঘায়ের ওপর প্রলেপ দিলে খুব তাড়াতাড়ি ঘা শুকিয়ে যায় এবং যন্ত্রণাও চলে যায়। গোসলের সময় যাতে ঘায়ে পানি না লাগে তা খেয়াল করতে হবে। (তথ্য ওষুধি গাছগাছড়া)
যদি কারও কুকুরে কাপড়ায় সেই সময় সাথে সাথে সবরি কলার মধ্যে তিনটি শিমুলের বীজ ভরে সকালে খালি পেটে ৩ দিন খেলে কুকুরের কামড়ে বিষ নষ্ট হয়ে যায় এবং পরে কোন সমস্যা হয় না।
সাদাস্রাব হলে শিমুল ফুল গাওয়া ঘি দিয়ে ভেজে নামানোর আগে সৈন্ধব লবণ ছড়িয়ে দিয়ে নামিয়ে ২ গ্রাম আন্দাজ দিনে দুইবার খেলে সাদাশ্রাব ভাল হয়ে যায়।
সাদাস্রাব হলে লজ্জাবতী পাতার রস দুধের সাথে মিশিয়ে জ্বাল করে সকালে খেলে ভাল উপকার পাওয়া যায়। এ নিয়মে তিন সপ্তাহ খেতে হবে।
বহুমুত্র রোগে শিমুল গাছের মূলের দশ মিলিলিটার রস রোজ সকালে খেলে উপকার পাওয়া যায়। এখানে একটা বিষয় মনে রাখতে হবে বহুমুত্র রোগ কোনদিন একে বারে সারে না। সর্তকতা অবলম্বন করলে এবং খাদ্য গ্রহণে নিয়মানুবর্তী হলে রোগ বাড়বে না এবং শরীরও ঠিক থাকবে। (তথ্য ওষুধি গাছগাছড়া )
গনোরিয়া রোগ হলে কচি শিমুলের মূল ছেঁচে রস করে এক গব্জাস পানিতে মিশিয়ে মিছরি দিয়ে শরবতের মত করে খেলে এই রোগ ভাল হয়ে যায়। এই নিয়মে এক মাস খেতে হবে।