ডোরা কচু (ডাম্ব কেইন)
Wednesday 12 August 2015অন্যান্য স্থানীয় নাম: ডোরা কচু (ডাম্ব কেইন)
বৈজ্ঞানিক নাম : Diffenbachia পরিবার : Araceaeপ্রধান ব্যবহার :ওষুধ
অন্যান্য ব্যবহার :
আরো পড়ুন
উবিনীগ মাঠ গবেষণার তথ্য
কচু পাতার মতো সবুজ পাতা আর তার গায়ে চিতা বাঘের সাদা সাদা ছোপ তাই ইংরেজিতে এর নাম ‘লিএওপার্ড লিলি’। আরেকটি ইংরেজি নাম আছে, ‘ডাম্ব কেইন’ (Dumb Cane) একটি পরিচিত গাছ। এর বগীয় পরিচিতি Diffenbachia। এ বর্গের ৩০ টি প্রজাতি আছে। আদি নিবাস দক্ষিণ আমেরিকা। গাছটির বাহারি সবুজ সাদা মোজাইক পাতা এবং আকর্ষণীয় গঠন সাজ শয্যার জন্য তাকে বন থেকে তুলে এনেছে ঘরে, বারান্দায়, অফিস আদালত, কমিউনিট সেন্টারে, হোটেল রেস্তোঁরা সহ সব রকম নান্দনিক পরিবেশে। পরিবেশের সৌন্দর্য বৃদ্ধি ছাড়াও এ গাছটির অনেক ব্যবহার চলে আসছে বহুকাল থেকে।
কিউবা, পুয়ের্তোরিকো ও অন্যান্য ক্যারিবিও পরিবেশে মানুষ বন্ধাত্য ও কাম-শীতলতা চিকিৎসার জন্য এ গাছ ব্যবহার করছেন। এ অঞ্চলে চর্মরোগ ও সাপের কামড় চিকিৎসার জন্যও এ গাছ ব্যবহার হয়। শোথ (dropsy) রোগ চিকিৎসার জন্য এ গাছের রস ব্যবহার করা হয়। গুয়াতেমালার মানুষ বাতজ্বর চিকিৎসার জন্য এ গাছের রস ব্যবহার করেন। বিষাক্ত প্রাণীর কামড় ও বাত রোগের চিকিৎসার জন্য এ গাছের রস ব্যবহার করা হয়। এল সালভাদোরের মানুষ এ গাছের বীজের রস আঘাত, পুড়ে যাওয়া এবং শরীরের ক্ষত নিবারনের চিকিৎসায় এ গাছের পাতার রস ব্যবহার করেন। (দেখুন, Encyclopedia of Flora and Fauna of Bangladesh, vo1, 11, page 54, Asiatic Society of Bangeadsh, 2007).
সম্প্রতি ডাম্ কেইন গাছটির মধ্যে ক্যান্সার প্রতিরোধী গুণের সন্ধান পাওয়া গিয়াছে। জানা গেছে এ গাছের মধ্যে antiangiogenic শক্তি আছে যা ক্যান্সার চিকিৎসায় ব্যবহার করা যেতে পারে। এন্টিএনজিওজেনেসিস টিউমার কোষ উৎপাদন ও বিস্তার নিয়ন্ত্রণ করে। সাধারনত একটি কোষ থেকে টিউমার সৃষ্টি হয় যা পরবর্তিতে বিভাজনের মাধ্যমে বৃদ্ধি পেয়ে শরীরে বিভিন্ন অংশে ছড়িয়ে পড়ে। গবেষণায় দেখা গেছে যে ডাম্ কেইন এর রক্তবাহ প্রতিরোধী গুণ ব্যবহার করে ক্যান্সার চিকিৎসার ঔষধ আবিস্কারের উজ্জল সম্ভাবনা দেখাদিয়েছে. ((http//www.breastcancer.orgtreatment/targetted- therapies/2006-07/question o7).
ডাম্ কেইন Araceae বা কচু পরিবারের গাছ। এ গাছে oxalic acid আছে। আমাদের সাধারণ অভিজ্ঞতায় কচু খাওয়ার সময় কখনও কখনও মুখে ও গলায় সূচের মত আঘাত হানে। ব্যথা হয়। ডাম্ কেইন গাছের পাতা মুখে নিলে বা চিবালে মুখ চুলকায় বা গলায় ব্যথা হয়ে। এ ব্যথা এতোই প্রকট হতে পাওে যে জবান বন্ধ হয়ে যেতে পারে। সে থেকে এর নাম হয়েছে ডাম্ কেইন। এ বিষয় আমাদের সাবধানতা অবলম্বন করা প্রয়োজন। তবে ইদানীং কালে ইন্টারনেটের সৌজন্যে এ সাবধানতার মাত্রা একটু বেশী হয়েছে। এক ধরনের ভীতি সঞ্চার করা হচ্ছে। এটা ঠিক নয়। আমাদের সবার জেনে রাখা প্রয়োজন পৃথিবীর সব গাছ-গাছালির ভালো এবং মন্দ দিক রয়েছে। যদি আমরা বিচার বিবেচনা করে চলি তাহলে কোনই সমস্যা হবে না।