গুলঞ্চ
Monday 04 January 2016অন্যান্য স্থানীয় নাম: অমৃত
বৈজ্ঞানিক নাম : Tinospora cordifolia পরিবার : Menispermaceaeপ্রধান ব্যবহার : ওষুধ
অন্যান্য ব্যবহার :গুলঞ্চ
আরো পড়ুন
উবিনীগ মাঠ গবেষণার তথ্য
গুলঞ্চ
গুলঞ্চ বহুনামে মানুষের কাছে পরিচিত যেমন অমৃত, গুডুস, গিলয়, ইংরেজিতে heart leaf moonseed এবং উদ্ভিদ বিজ্ঞানের ভাষায় Tinospora cordifolia। গুল্মটি অন্য গাছের ওপরে বেয়ে ওঠা লতানো গাছ। কান্ডের উপরিভাগ খসখসে ফাটল যুক্ত। বিস্কুট রং এর চামড়া। পাতা পানপাতার মত হৃদয় আকৃতির এবং লম্বা বোটা যুক্ত। লম্বা সুতার মত অসংখ্য বায়ুবীয় মূল যা ঝুলন্ত কান্ড থেকে মাটি পর্যন্ত বিস্তৃত। এই গাছে গ্রীষ্মকালে ফুল ফোটে এবং শীতকালে ফল পাকে। পূংকেশর এবং স্ত্রীকেশর ভিন্ন ফুলে থাকে। শ্রীলংকা, চীন, ভারত, বাংলাদেশ, মায়ানমার এবং দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশে পাওয়া যায়।
এ লতায় আছে আশঁ (১৫ - ১৯%), প্রটিন (৩.১%) এবং প্রতি ১০০ গ্রামে ২৯২.৫৪ ক্যালরি পুষ্টি শক্তি। এ লতায় আরো আছে নানা রকম রাসায়নিক পদার্থ যেমন জিঙ্ক, ম্যাঙ্গানিজ, ফ্লোরিন, ক্যালশিয়াম, টাইটানিয়াম, ক্রমিয়াম, আয়রন, কোবাল্ট, নিকেল, কপার, ব্রমিন, ষ্ট্রোনশিয়াম এবং পটাশিয়াম।
জানামতে পটাশিয়াম (০.৮৪৫%) যা স্নায়ুবিক শক্তিবৃদ্ধি করে। ক্রমিয়াম (০.০০৬%) শর্করা ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করে। আয়রন (০.২৮%) যা হেমোগ্লোবিন বৃদ্ধি করে এবং ক্যালশিয়াম (০.১৩%) স্নায়ু, হৃদযন্ত্র এবং পেশি শক্তি বৃদ্ধি করে।
এ গাছের রস বেশ তিতা তবে এর মধ্যে আছে এন্টি-অকসিডেন্ট, এন্টিহাইপার গ্লাইসেমিক, এন্টি- নিওপ্লাসটিক, এন্টিডোট, এন্টি-প্লাসমোডিক, এন্টি-হাইপারটিক, এন্টি-এলার্জিক, এন্টি-ইনফ্লামেটরি, এন্টিহাইপার লাই পেডেমিয়া, এন্টি-এষ্ট্রেস সমৃদ্ধ গুনাবলী।
এর মধ্যে আরো আছে এলকালয়েড, ডিটারপিনয়ড, ল্যাকটোনস, ষ্টেরয়েডস, গ্লাইকোসাইডস, এলিফ্যাটিক যৌগ এবং পলিসাকারাইড। যুগযুগ ধরে আয়ুর্বেদ শাস্ত্রমতে জন্ডিস, ডায়াবেটিস, আর্থ-রাইটিস, ক্যান্সার, ডেঙ্গুজ্বর, আমাশয়, গনোরিয়া, সিফিলিস, হেপাটাইটিস, চর্মরোগ, রক্তশূন্যতা, ব্রনকাইটিস, এজমা, পাইল্স, কিডনি রোগ, এবং সাপের বিষের এন্টিডোট হিশাবে ব্যবহার হয়।
সেবনবিধি:
এক চা চামচ ঘন গুলঞ্চ লতার রস দিনে তিনবার এক থেকে তিন মাস সেবন করা যেতে পারে।