আষাঢ়ে লতা
Saturday 23 January 2016অন্যান্য স্থানীয় নাম: আষাঢ়ে লতা, আষাঢ়িয়া, আষারিন, কালোকেরা, , বাগানৈ, কালোকোঁয়া
বৈজ্ঞানিক নাম : Capparis zeylanica। পরিবার : Capparaceaeপ্রধান ব্যবহার :ডায়রিয়া
অন্যান্য ব্যবহার :
আরো পড়ুন
লতাজাতীয় গাছ। সাধারনত বড় গাছ জড়িয়ে বেড়ে ওথে। কাঁটাযুক্ত লতায় হালকা গোলাপি-সাদা মিশেল রঙের ফুল। দেখতে সেমাইয়ের মতো, কিন্তু খুব নরম। খুবই সুগন্ধি ফুল। আগে বাঙলাদেশে দেখা যেতো প্রায়ই। এখন পরিবেশ বিপর্যয়ের কারণে দেখা পাওয়া ভার।
গুরুত্বপূর্ণ ওষুধি লতা।বাংলা নাম আষাঢ়ী লতা হলেও আষাঢ় মাসের সঙ্গে এর সম্পর্ক স্পষ্ট নয়। কেউ এটিকে কালকেরা, বাগানয়ী নামে জানেন। শীতের শেষ দিকে এ লতায় ফুল আসা শুরু করে। মৌমাছি, ভ্রমর দিনের বেলায় সারাক্ষণ গুনগুন করে ফুলে ফুলে। বসন্ত ও গ্রীষ্মজুড়ে থাকে ফুল। এটি দেশীয় লতা। আমাদের গ্রামীণ ঝোপঝাড়ের কাছে বেড়ে ওঠা।। তবে বাংলাদেশ ছাড়া ভারত, নেপাল, মিয়ানমার, চীনেও এ লতা জন্মে। মধুপুর এলাকায় এটি আছে বলে তথ্য পেয়েছি।
উদ্ভিদ বহু শাখাযুক্ত ঝোপময়, ২ থেকে ৮ মিটার লম্বা হয়। কাণ্ডে বাঁকানো কাঁটা থাকে, যা ধারকে আটকে রাখতে সাহায্য করে। কাণ্ড ধূসর। পাতা ২ দশমিক ৫ থেকে ৭ দশমিক ৫ সেন্টিমিটার। ফুল হালকা গোলাপি থেকে হালকা বেগুনি রঙের। ক্রমান্বয়ে সাদা হয়ে যায়। বৃতি ৯ মিলিমিটার। পাকা ফল খাওয়ার উপযোগী। কচি ফল তরকারি হিসেবে খাওয়া হয়। ইংরেজি নাম। বৈজ্ঞানিক নাম Capparis zeylanica।
বীজে বংশবৃদ্ধি। সমাজ ও সভ্যতার উন্নয়নের তোড়ে পৃথিবীময় লতা, গুল্ম, পশুপাখির প্রজাতির বিলুপ্তির হার বেড়ে গেছে। এসব সংরক্ষণ না করলে মানুষের ভবিষ্যৎ কঠিন হয়ে পড়বে।Caper