পুঁই শাক
![](https://ubinig.org/plants/14920682632145.jpg)
অন্যান্য স্থানীয় নাম:
বৈজ্ঞানিক নাম : Basella rubra Linn পরিবার : Chenopodiaceaeপ্রধান ব্যবহার :খাদ্য/ওষুধ
অন্যান্য ব্যবহার :খাদ্য/ওষুধ
আরো পড়ুন
তথ্যসূত্র: উবিনীগ মাঠ গবেষণার তথ্য ও চিরঞ্জীব বনৌষধি।
অন্যান্য ব্যবহার : সাধরণত পুঁই শাক হিসেবে ব্যবহার হয়ে থাকে। গ্রামে একটি প্রবাদ আছে “শাকের মধ্যে পুঁই মাছের মধ্যে রুই”। পুষ্টি গুন আছে বলে গর্ভবতী মায়েদের এই শাক খাওয়ার পরামর্শ দেয় হয়। গর্ভবস্থায় অনেকের পা বাকা হয়ে আসে দাইমারা বলেন শরীরে ক্যালসিয়ামে অভাব। তখন পুঁই শাখ খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এছাড়া যখন পায়খানা কষা হয় তখনও পুঁই শাক খাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়। সতর্ক: অবশ্য ৫ মাস থেকে ৬ মাসের পর।
পুঁইশাককে হিরণ্যকশিপুর নাড়ী বলা হয়েছে। হিরণ্যকশিপু প্রাক আর্যজাতির হলেও রাজা ছিলেন। তিনি সব সময় স্বর্ণখচিত বস্ত্র ব্যবহার করতেন। হিরণ্য অর্থে স্বর্ন আর কশিপু অর্থে বস্ত্র । তাই তাঁর নাম ছিল হিরণ্যকশিপু।
পুঁইপাতা ও ডাটা পুড়িয়ে ছাই করে তাই দিয়ে দাঁত মাজলে পুরানো পায়োরিয়ায় ভাল ফল পাওয়া যায়। কবিরাজরা পুইপাতার রস আধাসের। খাঁটি সরিষার তেল আধপোয়া। একত্রে জ্বাল দিয়ে রস শুকিয়ে এলে নামিয়ে ঠান্ডা করে বোতলে ভরে রাখতেন।ঐ তেল দিয়ে পাঁচড়া বা পচা ঘা সারাতেন। কারো প্রস্রাব কম হলে পুঁইশাক খেলে প্রস্রাব নিয়মিত হয়।
সতর্ক: কেউ যদি পুরোনো আমাশা ভুগে থাকেন তা হলে পুঁইশাক না খাওয়াই ভাল।