হিং
Wednesday 02 November 2016অন্যান্য স্থানীয় নাম: হিং, হিঙ্গ
বৈজ্ঞানিক নাম : Ferula assa-foetid পরিবার : Apiaceaeপ্রধান ব্যবহার :মসলা
অন্যান্য ব্যবহার :ওষুধ
আরো পড়ুন
ইন্ডিয়া এবং ইরানে তরকারির সুগন্ধি বাড়ানোর জন্য হিং ব্যবহার করা হয়। এছাড়া ডাল এবং আচারে হিং ব্যবহার করা হয়। কোন কোন প্রদেশে এর নির্যাস বা আঠা ব্যবহার করা হয়। দুই ধরনের হিং রয়েছে একটি হচ্ছে টার্নিং রেড, এটা খোলা জায়গায় রাখলে লাল এবং বাদামী রং ধারন করে। আর একটি সাদা।
প্রাচীন কাল থেকে ভারত সনাতন পদ্ধতিতে ওষুধ তৈরিতে হিং ব্যবহার করে আসছে। পেটের গ্যাস মুক্ত করে, স্নায়ুবিক শাক্তি বাড়ায়, হজম শক্তি বাড়ায়, ভাল ঘুম হয়, এনিমিয়া, এজমা, ব্রংকাইটিস, ব্যথাসহ অতিরিক্ত মাসিক হওয়া, হিস্টিরিয়া, কালা জ্বর, কৃমি, পেট ফাঁপা, বুকে জমানো কফ বের করে।
পুষ্টিগুণ: প্রতি ১০০ গ্রামে
জলীয় পদার্থ ১৬.০%
প্রোটিন ৪.০%
ফ্যাট ১.১%
মিনারেল ৭.০%
আঁশ ৪.১%
কার্বোহাইড্রেট ৬৭.৮%
মিনারেল এবং ভিটানি, ক্যালশিয়াম ৬৯০%
ফসফরাস ৫০%
আয়রন ৩৯.৪%
ক্যারোটিন ৪ %
রাইবোফ্লাভিন ০.০৪%
নিয়াসিন ০.৩ %
ক্যালরী রয়েছে ২৯৭ ই ইউ
উৎপত্তিস্থল: হিং এ উৎপত্তিস্থল হচ্ছে ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চল এবং মধ্য এশিয়া। আরব দেশের চিকিৎসকরা প্রাচ্য থেকে এ অঞ্চলে হিং এর প্রবর্তন করেন।কান্দাহার, ইরান, এবং আফগানিস্তানে উৎপাদন করা হয়। এর অন্য একটি প্রজাতি কাশ্মীর, পশ্চিম তিব্বত এবং আফগানিস্তানে উৎপাদন করা হয়।
হিং বীজ
তথ্যসূত্র: চিরঞ্জীব বনৌষধি ষষ্ট খন্ড, ইন্ডিয়ান স্পাইসিস এন্ড কনডিমেন্টস এস ন্যাচারাল হার্বস।