মরিচ
Thursday 10 November 2016অন্যান্য স্থানীয় নাম:
বৈজ্ঞানিক নাম : Capsicum spp. পরিবার : Solanaceaeপ্রধান ব্যবহার :মসলা
অন্যান্য ব্যবহার :মসলা এবং ওষুধ
আরো পড়ুন
মরিচের ঝাজালো ঝাঁজ আছে। মরিচের উৎপত্তিস্থল আমেরিকায়। ১৪৯২ খৃ: কলম্বাস আমেরিকা থেকে মরিচ নিয়ে আসেন। পরবর্তীকারল মরিচ ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চল এবং ভারতে বিস্তার লাভ করে। পর্তুগীজরা ভারতের গোয়া অঞ্চলে মরিচ নিয়ে আসে। পর্তুগীজ ভাষায় মরিচকে মরিচই বলে। মরিচ প্রধাণত দক্ষিণ ভারতে চাষ করা হয়। রান্নার কাজে মসলা হিসেবে অনেক জাতের মরিচ ব্যবহার করা হয়।
ওষুধিগুণ: মরিচে জীবানু নাশক এবং ক্যান্সার প্রতিরোধী শক্তি রয়েছে। এজমা, ব্রংকাইটিস, বিষন্নতা,অজীর্ণ, সন্ধিবাত, স্নায়ু ব্যথা, ফ্যারিংজাইটিস, রিউম্যাটিক, কণ্ঠনালীর প্রদাহ এসব রোগের কার্যকরী ওষুধ হিসেবে কাজ করে। শুকনা কাশি এবং হজমে সহায়ক হিসেবে মরিচ ব্যবহার করা হয়। মরিচ রক্ত জমাট বাঁধতে সহায়তা করে। সাইনাস এবং নাক বন্ধ হয়ে থাকলে মরিচ খুব ভাল কাজ করে। ফুসফুসে কফ জমলে মরিচ কফ হালকা করে বের করে দেয়। মরিচ ব্রংকাইটিস প্রতিরোধ করে। মরিচের মৌলিক উপাদান ক্যাপসিনিন যা ব্যথা নিরাময় করে। মরিচের গন্ধ নিলে মাথা ব্যথা কমে। মরিচ গিড়া ব্যথা কমায়। সাধারণ ভাবে বলা হয় মরিচ খেলে আলচার হয় এ ধারণা ঠিক নয়।
মরিচের পুষ্টিগুণ:
প্রতি ১০০ গ্রামে
জলীয় পদার্থ ৮৫.৭ %
প্রোটিন ২.৯%
ফ্যাট ০.৬%
আঁশ ৬.৮%
কার্বোহাইড্রেট ৩.০%
খনিজ পদার্থ, ভিটামিন, ক্যালসিয়াম ৩০%
ফসফরাস ৮০%
আয়রন ৪.৪%
ক্যারেটিন ১৭৫%
থায়ামিন ০.১৯%
রাইবোফ্লাভিন ০.৩৯%
নিয়াসিন ০.৯%
ভিটামিন–সি ১১১%
খাদ্যপ্রাণ বা শক্তি ২৪৬
তথ্যসূত্র: ইন্ডিয়ান স্পাইসিস এন্ড কনডিমেন্টস এস ন্যাচারাল হার্বস।