স্যালারী/ chiruti
Thursday 10 November 2016অন্যান্য স্থানীয় নাম:
বৈজ্ঞানিক নাম : Apium graveolens পরিবার : Apiaceaeপ্রধান ব্যবহার :মসলা
অন্যান্য ব্যবহার :মসলা ও ওষুধ
আরো পড়ুন
স্যালারী মসলা হিসেবে ব্যবহার করা হয়। আদি উৎপত্তিস্থল ইউরোপ এবং এশিয়ায়। ৫ম শতাব্দি থেকে চীনাদের কাছে স্যালারী পরিচিত। চীনে যে জাত চাষ করা হয় তার উৎপত্তিস্থ হলো এশিয়া। তবে ইউরোপ এবং আমেরিকায় যে জাত চাষ করা হয তার উৎপত্তিস্থল ইউরোপ। প্রাচীণ কালে স্যালারী আবাদ হতো না। ওষুধে ব্যবহারের জন্য বন, জঙ্গল থেকে সংগ্রহ করা হতো। ইংল্যান্ডে বনে স্যালারী পাওয়া যেত এবং তা ভেষজওষুধ হিসেবে ব্যবহার হতো। ষোড়শ এবং সপ্তদশ শতাব্দিতে ইংল্যান্ডে ওষুধ হিসেবে ব্যবহারের জন্য এর আবাদ শুরু হয়। পরে সাবানে সুগন্ধি বাড়াতে এবং গোস্ত রান্না স্যালারী ব্যবহার করা হয়। সুপ, সালাদ বানাতে স্যালারী ব্যবহার করা হয়। এ ছাড়া সচ, জুস, মাংস প্রক্রিয়াজাত করণে স্যালারী ব্যহার করা হয়।
ওষুধিগুণ: বীজ, পাতা, কান্ড সব কিছুর মধ্যেই ওষুধিগুণ বিদ্যমান। ক্যান্সার, উচ্চরক্তচাপ, স্নায়ুবিক দুর্বলতা, বাতরোগ, শ্বাসকষ্ট, ব্রংকাইটিস, এজমা, যক্ষা, বদহজম, অপুষ্টি এবং দুর্বলতা নিদ্রাহীনতায় স্যালারী কার্যকরী ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
পুষ্টিগুণ:
প্রতি ১০০ গ্রামে
জলীয় পদার্থ ৫.১%
প্রোটিন ১৮.১%
ফ্যাট ২২.৮%
বিদ্যামান আঁশ ২.৯%
মিনারেল, ভিটামিন এবং ক্যালসিয়াম ১.৮%
ফসফরাস ০.৫৫%
আয়রন ০.৪৫%
সোডিয়াম ০.১৭%
পটাশিয়াম ১.৪%
থায়ামিন ০.৪১%
রাইবোফ্লাভিন ০.৪৯%
নিয়াসিন ৪.৪%
ভিটামিন-সি ১৭.২%
ভিটামিন-এ ৬৫০ আ্ই ইউ
খাদ্যপ্রাণ ৪৫০
পাতার পুষ্টিগুণ:
প্রতি ১০০ গ্রামে
জলীয় পদার্থ ৮৮.০%
প্রোটিন ৬.০%
ফ্যাট ০.৬%
কার্বোহাইড্রেট ১.৬%
মিনারেল, ভিটামিন এবং ক্যালসিয়াম ২৩০
ফসফরাস ১৪০%
আয়রন ৬.৩%
ক্যারেটিন ৩৯৯০%
রাইবোফ্লাভিন ০.১১%
নিয়াসিন ১.২%
ভিটামিন-সি ৬২%
খাদ্যপ্রাণ ৩৭
তথ্যসূত্র: ইন্ডিয়ান স্পাইসিস এন্ড কনডিমেন্টস এস ন্যাচারাল হার্বস।