শুলফা
Saturday 12 November 2016অন্যান্য স্থানীয় নাম:
বৈজ্ঞানিক নাম : Anethum sowa পরিবার : Umbelliferaeপ্রধান ব্যবহার :মসলা/ওষুধ
অন্যান্য ব্যবহার :
আরো পড়ুন
খাবারের সুগন্ধি বাড়ানোর জন্য শুলফা ব্যবহার করা হয়। পাতা এবং বীজ চাটনি, আচার, সুপ, সালাদ তৈরিতে শুলফা ব্যবহার করা হয়। এছাড়া সাবানের সুগন্ধি বাড়ানোর জন্য শুলফা ব্যবহার করা হয়। প্রাকৃতিক ভাবে খাদ্য খাদ্য সংরক্ষণের জন্য শুলফা ব্যবহার করা হয়।
শুলফার উত্তৎপত্তিস্থল ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চল, দক্ষিণ রাশিয়া, স্যান্ডিনেভিয়া। ৩০০০ বছর আগে থেকে ভেষজহিসেবে মিশরের দলিল পত্রে শুলফার ওষুধিগুন সম্পর্কে উল্রেখ আছে। প্রাচীন কাল থেকে গ্রীক এবং রুমে এ গাছ খুব পরিচিত ছিল। সর্ব প্রথম রুমানরা শুলফা ইংল্যান্ডে নিয়ে আসে।বর্তমানে মধ্য এশিয়া, উত্তর আফ্রিকা,ভারত এবং অন্যান্য কান্দ্রিয় অঞ্চলে শুলফার আবাদ হয়। ভারতে সর্বত্রই এই গাছ দেখা যায়।
ওষুধিগুণ: শুলফার পাতা উত্তেজক হিসেবে কাজ করে। বাচ্চা হওয়ার পর প্রসূতি মায়ের বুকের দুধ বাড়ায়। পেট ঠান্ডা রাখে এবং হজমশুক্তি বাড়ায়, প্রস্রাবের মাত্রা বাড়ায়, ফোঁঢ়া পাকাতে এর পাতার প্রলেপ দেয়া হয়। গ্রীকরা ভাল ঘুম হওয়ার জন্য মাথায় শুলফার পাতার প্রলেপ নিত।শাহী জিরার সাথে শুলফা পাউডার করে বাচ্চাদের পেট ফাঁপার জন্য ব্যবহার করা হয়। অনিদ্রা, ঢেঁকুর উঠা, কোষ্ঠকাঠিণ্য, পেটের ব্যথা, ডায়রিয়া, আমাশয়, পেটের গ্যাস, ব্রংকাইটিস, হজমশক্তি, ভাইরাস জনিত ঠান্ডাকাশি রোগে ব্যবহার করা হয়।
পুষ্টিগুণ:
ইন্ডিয়ান শুলফা গবেষণা করে এর পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জানা গেছে।
প্রতি ১০০ গামে
জলীয় পদার্থ রয়েছে ৪.৫ %
মিনারেল ৫.৮৯% থেকে ১১.৫৪%
এসিড এবং তরল খারীয় পদার্থ ০.৫৫% থেকে ২.৭১ %
তথ্যসূত্র: ইন্ডিয়ান স্পাইসিস এন্ড কনডিমেন্টস এস ন্যাচারাল হার্বস।