সাঞ্চি শাক
Friday 25 November 2016অন্যান্য স্থানীয় নাম: চাঞ্চি শাক, হাইছা শাক, ছানছিশাক
বৈজ্ঞানিক নাম : Alternanthera sessilis পরিবার : Amaranthaceaeপ্রধান ব্যবহার :শাক এবং ওষুধি
অন্যান্য ব্যবহার :শাক এবং ওষুধি গাছ
আরো পড়ুন
সাঞ্চি শাক বর্ষজীবী ভূ-শাষিত অন্যান্য উদ্ভিদের মতো জন্মে। সরু-সরু শাখা-প্রশাখা হয়ে ধীরে ধীরে প্রসারিত হয়। সাধারণত জলা জমিতে, পতিত নীচু জমিতে আপনা-আপনি জন্মে। মূলের নিকটবর্তী পর্ব থেকে সরু শিকড় বেরিয়ে মাটিতে গেঁথে যায়। গাছের পাতা সবচেয়ে বড় হলেও তা ৫-৮ সেন্টিমিটার বেশী লম্বা হয় না। পাতা মাংসল। ফুল অদৃশ্য প্রায়, চ্যাপ্টা, গোলাকৃতি, কানের ফুলের মতো, রং সাদা। ফল চ্যাপ্টা ও বাহিরের দিকে আবরণ থাকে এবং ভেতরে বীজ থাকে।কচি ডগা ও কচি পাতার সবজি হিসেবে খাওয়া হয়।
ব্যবহার্য অংশ: সমগ্র গাছ
বিস্তার: ভারত বাংলাদেশের সর্বত্র স্যাঁতস্যঁতে জমিতে জন্মাতে দেখা যায়।
সাঞ্চি শাকের পুষ্টি উপাদান: সাঞ্চি শাকে উচ্চ মাত্রায় ক্যালসিয়াম রয়েছে, আরও রয়েছে প্রোটিন, কাবোহাইড্রেট, আহার যোগ্য আঁশ, ভিটামিন-সি, আইরন এবং অন্যান্য উপাদান
সাঞ্চি শাকের ওষুধি ব্যবহার:
◘ দুই চা-চামচ সাঞ্চি শাকের রস ও সমপরিমাণ গরম পানি মিশিয়ে খালি পেটে খেলে ক্রিমিনাশ হয়।
◘ সাঞ্চি শাক খেলে দুর্বলতা ও অলসতা দূর হয়।
◘ তন্দ্রা দূর হয় ও মুখ থেকে লালা ঝরে।
◘ এর পাতা সেদ্ধ এবং উচ্চ রক্তচাপ (উচ্চ রক্তচাপ) খাওয়ালে উপকার হয়।
◘ চোখে সমস্যা দেখা দিলে এই শাক খেলে উপকার পাওয়া যায়।
◘ যে সব মায়েদের সন্তান না হলে এর ৭ টি গাছের ৭ টি ডোগা তুলে বেটে মাসিক সারার ৩ দিনের দিন থেকে সাত দিন খেলে বাচ্চা হত্তয়ার সম্ভবনা থাকে। এই ভাবে তিন মাস খেতে হয়।
◘ সাঞ্চি শাক থাকলে সেখানে কোনো সাপ থাকে না।
সূত্র:
১। উবিনীগ মাঠ গবেষণার তথ্য
২। ভারতীয় বনৌষধি,১ম খন্ড,ড.কালিদাস বিশ্বাস।
৩। https://www.caloriecount.com/calories-sessile-joyweed-i440218