পেঁয়াজ
Wednesday 15 February 2017অন্যান্য স্থানীয় নাম: পেঁয়াজ
বৈজ্ঞানিক নাম : Allium cepa পরিবার : Amaryllidaceaeপ্রধান ব্যবহার :মশলা
অন্যান্য ব্যবহার :পেঁইয়াজ পাতা শাক হিসেবে খাওয়া হয়। কেউ কেউ তরকারী রান্নার সময় পেঁয়াজ যদি ঘরে না থাকে তাহলে পেঁয়াজের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করে থাকেন।
আরো পড়ুন
দীর্ঘকাল থেকে বাংলাদেশের মানুষ পেঁয়াজের পাতা শাক হিসেবে ব্যবহার করে আসছে। বর্ষার পর পর পেঁয়াজের দাম বেশি হওয়ায় পেঁয়াজ পোক্ত না হওয়ার আগেই পাতাসহ বাজারে বিক্রি করা হয়। পেঁয়াজের দাম বেশি বলে ঐ সময় মানুষ পেঁয়াজ পাতা দিয়ে তরকারি রান্না করে খায়। তবে মানুষ পাতার চাইতে পেঁয়াজের কালি ভাজি বেশি খায়। আগের দিনে পেঁয়াজের কালি ভেংগে জমির পাশে ফেলে রাখতো।(ফুল ধরে যে অংশে তাকে কালি বলা হয়) গ্রামের গরিব মানুষ পেঁয়াজের কালি কুড়িয়ে এনে ভাজি করে খেত। পেঁয়াজ বানিজ্যিক ভাবে চাষ করার পর থেকে পেঁয়াজের কালিও বাজারে বিক্রি হয়।
কক্সবাজার, টাংগাইল, পাবনা, নরসিংদী জেলায় লাউ শাকের সাথে পেঁয়াজের কালি ভাজি করে খায়। আবার মাস কালাইয়ের ডাল রান্না করলেও পেঁয়াজের কালি ব্যবহার করে থাকে। গ্রামের মানুষ বলেন এই শাকে অনেক পুষ্টি আছে।
উৎপত্তি এবং ইতিহাস: পেঁয়াজের আদি উৎপত্তি অজ্ঞাত। কারণ এর বন্য আবাসস্থল বিলুপ্ত হয়ে গেছে। তবে প্রাচীন কাল থেকে পশ্চিম এশিয়ায় পেঁয়াজের ব্যবহার চলে আসছে। হাজার হাজার বছর থেকে চীন, ভারত, ইজিপট ও পারস্যে পেঁয়াজের ব্যবহার সম্পর্কে তথ্য পাওয়া যায়।
বর্ণনা: পেঁয়াজ দ্বিবর্ষজীবি উদ্ভিদ। পাতার রং গাড় সবুজ। রসযুক্ত উঁচু জমিতে পেঁয়াজের চাষ হয়। কার্তিক ও অগ্রহায়ণ মাসে পেঁয়াজ পোক্ত হয় এ সময় মাটির নীচ থেকে পেঁয়াজ তোলা হয়। তবে রাখি পেঁয়াজ তোলা হয় মার্চ-এপ্রিল মাসে। পেঁয়াজের অনেক জাতের রয়েছে।
পেঁয়াজ পাতায় পুষ্টি উপাদান: পেয়াজ যেমন পুষ্টিমান সম্পন্ন একটি মসলা এবং সবজি। ঠিক তেমনি পেয়াজ পাতাও পুষ্টির দিক থেকে কম নয়। পেয়াজ পাতায় রয়েছে ভিটামিন-এ, ভিটামিন-সি এবং অক্সালেট কম্পজিশান। এছাড়া রয়েছে ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ফসফরাস, সোডিয়াম এবং আয়রন। পেঁয়াজ পাতার কোনো ওষুধি গুনাগুণ রয়েছে কিনা গ্রহণযোগ্য তথ্য না থাকায় এখানে দেয়া সম্ভব হোল না।
সূত্র:
১। উবিনীগ মাঠ গবেষণার তথ্য
২। ইউজফুল প্ল্যান্ট অব বাংলাদেশ,