পুদিনা
Sunday 19 March 2017অন্যান্য স্থানীয় নাম: পুদিনা পাতা
বৈজ্ঞানিক নাম : Mentha spicata পরিবার : Labiataeপ্রধান ব্যবহার :সুগন্ধি
অন্যান্য ব্যবহার :ওষুধি, সালাদ এবং রান্না ও পানীয়তে সুগন্ধি হিসাবে ব্যবহার করা হয়। উদ্ভিদটি সুগন্ধিযুক্ত হবার কারণে তরকারীতে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। পরিপাকের জন্য উপকারী। এছাড়া বমি, কলেরা, পেটের শূল বেদনা এবং ঢেঁকুর উঠা বন্ধে এটি বেশ কার্যকর ভূমিকা পালন করে। পাতার রস থেকে টনিক তৈরি হয় যা জ্বর এবং কাঁশির জন্য বেশ উপকারী। পুদিনার ওষুধি ব্যবহার ◙ প্রস্রাব কমে গেলে: অনেক সময় শরীরে পানির অভাব ঘটলে অথবা কড়া মাত্রার এ্যালোপ্যাথিক ওষুধ খেলে প্রস্রাব যেমন পরিমাণে কমে, তেমনি প্রস্রাবের রং লালচে ধরণের হয়ে থাকে। কুড়িটি পুদিনা পাতা চিবিয়ে তারপর এক গ্লাস পানি পান করলে প্রস্রাবের পরিমাণ বাড়বে এবং রংও স্বাভাবিক হয়ে আসে। ◙ পেট ফাঁপায়: পদিনা গাছের শুকনো ডাল ও পাতা ৬ থেকে ৮ ঘন্টা ঠান্ডা পানিতে ভিজিয়ে রেখে সে-পানি পরিস্কার পাতলা কাপড়ে ছেঁকে খেলে পেট ফাঁপায় সুফল পাওয়া যায়। ◙ দাঁতের রোগে: যে কোনো ধরণের দাঁতের রোগে দিনা পুদিনা গাছের শুকনো ছালকে গুঁড়ো করে দিনে দু’বার দাঁত মাজলে দাঁতের রোগ ভালো হয়ে যায়। ◙ বমি বন্ধ করতে: ১০ গ্রাম পুদিনার টাটকা পাতা কেটে অল্প পানি দিয়ে খেলে বমি বন্ধ হবে। ◙ মূর্চ্ছা রোগে: মুর্চ্ছা যাবার পর রোগীর নাকের কাছে পুদিনার টাটকা ফলের গন্ধ ধরলে রোগী খুব তাড়াতাড়ি জ্ঞান ফিরে পায়। ◙ কমলা/জন্ডিস রোগে: এ রোগে ১০ গ্রাম পুদিনার শুকনো ডাল, এক গ্লাস ঠান্ডা পানিতে ৬ ঘন্টা ভিজিয়ে, অর্ধেক সকালে খালি পেটে এবং বাকী অর্ধেক দুপুরে খেলে রোগের উপশম হয়। তবে নিয়মিত সাত দিন খেতে হবে। সূত্র: ইউজফুল প্ল্যান্ট অব বাংলাদেশ, প্রকাশনা: দি এড কমিউনিকেশন, আন্দরকিল্লা, চট্টগ্রাম।
আরো পড়ুন
পুদিনা একটি বর্ষজীবী গাছ। এর গন্ধ তীব্র, পাতা খুব ছোট ছোট। পাতার উভয় কিনারায় খাঁজ কাটা থাকে। পুষ্পদণ্ড নরম। বাংলাদেশের সর্বত্র পুদিনা দেখা যায়।
বাংলাদেশে যে পুদিনার চাষ করা হয় তার কোনো ফুল হয় না। পুদিনা সাধারণত মূল বা কাটিং থেকে চারা তৈরি করে বংশ বিস্তার ঘটানো হয়।
পুদিনা বাংলাদেশে মোটামুটি পাওয়া যায়, তবে বিভিন্ন জাতের প্রাপ্যতা নিয়ে কোন নির্ভরযোগ্য গবেষণা নাই। তবে পুদিনা বাংলাদেশের সংরক্ষিত উদ্ভিদের তালিকার অন্তর্ভুক্ত, যার কারন খুব স্পষ্ট নয়।