বন্যার খবর: টাঙ্গাইলের হাট বাজার

বন্যায় দেলদুয়ার উপজেলার ৮ টি ইউনিয়নের ৫৮ গ্রামের ৫২০০০ লোক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এই উপজেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত ধলেশ্বরী নদী ও এর অসংখ্য শাখা প্রশাখা দিয়ে বন্যার পানি দ্রুত সবগুলো গ্রামে ছড়িয়ে পড়ে। তার সাথে যোগ হয়েছিল মুষল ধারে বৃষ্টি। অপ্রত্যাশিত বৃষ্টি ও বন্যার ধরণ এমন হবে কৃষকেরা ভাবতে পারে নাই। এলাসিন, দেউলি ও লাউহাটি এই তিনটি ইউনিয়ন সরাসরি নদী দ্বারা বেষ্টিত। এই ইউনিয়নগুলোর মধ্য দিয়েই পানি অন্যান্য গ্রামে প্রবেশ করেছে।

খাদ্যে স্বয়ং সম্পূর্ণ, দেলদুয়ার উপজেলার কৃষকেরা নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে ঢাকা ও এর আশে পাশের জেলাগুলোতে খাদ্য শস্য সরবরাহ করে। কিন্তু বন্যার কারণে এক দিকে মাঠে ফসলের যেমন ক্ষতি হয়েছে তেমনি হাঁস-মুরগী, মুরগীর খামার, মাছ চাষের পুকুর, কৃষকের বাড়ির গাভীর দুধ, ছোট ছোট গাভীর দুধের খামার, বিভিন্ন ধরণের শাক-সবজি ও পথখাবার তৈরীর ছোট ছোট পরিবারগুলো মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে (আরো পড়ুন )


দেলদুয়ার নিরাপদ খাদ্য উপজেলা: উপজেলা পরিষদের উদ্যোগ ও কার্যক্রম

নিরাপদ খাদ্য উপজেলা বাস্তবায়নে উপজেলা পরিষদের কার্য়ক্রম ও ভুমিকাঃ উপজেলা পরিষদের উদ্যোগে ও উবিনীগের সহযোগিতায় ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫ ইং তারিখে দেলদুযার নিরাপদ খাদ্য উপজেলা ঘোষনা হওয়ার পর থেকেই উপজেলা পরিষদের আহব্বানে এর সহযোগী ১৭ টি সরকারী বিভাগ নিরাপদ খাদ্য উপজেলা বাস্তবায়নের জন্য স্ব-স্ব ক্ষেত্রে তাদের কাজের পাশাপাশি বিভিন্ন প্রচার প্রচারনা ও কর্মসূচী পালন করছে।পাশাপাশি উবিনীগ ও নয়াকৃষি আন্দোলন দেলদুয়ার নিরাপদ খাদ্য উপজেলা বাস্তবায়নে নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছে।

নিরাপদ খাদ্য উপজেলা বাস্তবায়নে দেলদুয়ার উপজেলা পরিষদের নিয়মিত কার্যক্রম:

সরকারী ও বে-সরকারী বিভিন্ন সভা সমাবেশে, উপজেলা প্রসাশন ও উপজেলা পরিষদ আয়োজিত মেলা ও বিভিন্ন দিবসে দেলদুয়ার নিরাপদ খাদ্য উপজেলা বাস্তবায়নের জন্য জনমত তৈরী ও এর গুরুত্ব তুলে ধরছেন উপজেলা পরি (আরো পড়ুন )


বালাইনাশক ‘ইনডোসালফেন’ মারত্মক হুমকি

বাংলাদেশে শস্য উৎপাদন করার জন্য বিভিন্ন ডিগ্রি ও মাত্রার রাসায়নিক বালাইনাশক ব্যবহার করা হয়। বিভিন্ন রকম রাসায়নিক বালাইনাশকের মধ্যে এনডোসালফেন (endosulfan) একটি মারাত্মক বালাইনাশক। এই এনডোসালফেন বিষক্রিয়ায় ২০১২ সালে দিনাজপুরে লিচু বাগানের লিচু খেয়ে ১৩ জন শিশু অকালে প্রাণ হারায়।

দেখুন প্রতিবেদন।

১৩ শিশুর মৃত্যু কীটনাশক দেওয়া লিচু খেয়েই (আরো পড়ুন )


সবজিতে মাত্রাতিরিক্ত কীটনাশক

নিরাপদ খাদ্য নিয়ে জনসচেতনতা বাড়ছে, কিন্তু উৎপাদনের ক্ষেত্রে জেনে হোক বা না জেনে হোক নিত্যদিনের খাবারে মাত্রাতিরিক্ত বিষ ব্যবহার, এবং অন্যান্য তৈরি খাদ্যে নানা ধরণের ভেজালের কথা শোনা যায়। জনস্বাস্থ্য ইন্সটিটিউট এই খাদ্য সমূহ পরীক্ষা করে তা জনসমক্ষে তুলে ধরছেন এটা প্রশংসনীয়। বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য নেটওয়ার্ক (বিএফএসএন) এর সদস্য হিশেবে উবিনীগ এই বিশেষ প্রতিবেদনটি সবার কাছে তুলে ধরা প্রয়োজন মনে করছে। লেখাটি সংগ্রহ করা হয়েছে (যুগান্তর ১ আগষ্ট ২০১৭) থেকে

জনস্বাস (আরো পড়ুন )


জেনে শুনেই বিষ খাচ্ছি প্রতিদিন

রাজধানীর বাদমতলীর কলার মোকামে স্প্রে এবং হিট দিলে রাতারাতি পেকে যায় কাঁচাকলা

মিষ্টি ফলের মাস জ্যৈষ্ঠ। বাজারে পাওয়া যাচ্ছে আম, জাম, কাঁঠাল, আনারস, লিচু, বেল, জামরুল, তরমুজ ও কলাসহ নানা রকম ফল। দেখতে সুন্দর, খেতেও মজাদার কিন্তু বাজারের এসব ফল কতটা নিরাপদ এ প্রশ্ন সবারই। জনস্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করে এমন সরকারি কিংবা বেসরকারি কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের বিগত এক দশকের তথ্য-উপাত্তে দেখা যায়, মৌসুমি ফলগুলোর অধিকাংশই পাকানো হয় রাসায়নিক উপাদান দিয়ে। অধিক মুনাফার লোভে ব্যবসায়ীরা কাঁচা ফলই ক্ষতিকারক রাসায়নিকের মাধ্যমে পাকিয়ে বাজারে নিয়ে আগাম আসেন। এর ফলে স্বাস্থ্যগত দিক থেকে মারাত্মক ক্ষতির শিকার হচ্ছেন ক্রেতা বা ভোক্তারা।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ক্ষতিকর রাসায়নিক মেশানো ফল খেয়ে মানুষ দীর্ঘমেয়াদি বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। বিশেষ করে বদহজম, পেটের (আরো পড়ুন )


আমে লোভনীয় রঙ মানেই কেমিক্যালের কারসাজি

লোভনীয় রঙ না দেখলে ক্রেতারা পছন্দ করেন না। এতে বেচাকেনাও কম হয়। তাই ক্রেতা আকৃষ্ট করতেই আমে ক্ষতিকর কেমিক্যাল মেশানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে রাজধানীর আম ব্যবসায়ীরা। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার ব্যবসায়ীদের সাথে গতকাল কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।

বাদামতলীর একজন আম ব্যবসায়ী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, বাজারে সুন্দর রঙের আমের চাহিদা বেশি। কেমিক্যাল নিয়ে যত চিৎকার করা হোক কোনো লাভ হবে না। বাগান থেকে পরিপক্ব আম নিয়ে এলেও তা লোভনীয় রঙ না হওয়ায় ক্রেতারা পছন্দ করে না। ফলে বাধ্য হয়েই আমে কেমিক্যাল মেশাতে হচ্ছে।

রাজধানীর বাজারগুলো ঘুরে দেখা গেছে, বাহারি আমের পসরা সাজিয়ে বসে আছেন ব্যবসায়ীরা। আমগুলোর রঙ অত্যন্ত লোভনীয়। দেখেই জিভে পানি এসে যায়। নানান জাত ও সাইজের আম।

কাওরান বাজারের এক বিক্রেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, আম পাকানোর জন্য কার্বাইড মেশানো হয়। অপরিপক্ব আমে কার্বাইড না ম (আরো পড়ুন )


ফলমূল ও শাকসবজিতে ফরমালিন প্রয়োগ বিষয়ে ভিভ্রান্তি দূরীকরনে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের গণবিজ্ঞপ্তি

ফলমূল ও শাকসবজি সংরক্ষনে বা টাটকা ও সতেজ রাখতে ফরমালিন ব্যবহার করা হয় মর্মে জনমনে কিছু বিভ্রান্তির সঞ্চার হয়েছে। ফলে ফলমূল ও শাকসবজি গ্রহণে ভোক্তাদের মাঝে এক ধরনের ভীতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এ বিষয়ে সর্বসাধারণের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, ফলমূল ও শাকসবজি হচ্ছে তন্ত (ফাইবার জাতীয় খাবার যেখানে প্রোটিনের উপস্থিতি অত্যন্ত কম। ফরমালিন হচ্ছে ৩৭% ফরমালডিহাইডের জলীয় দ্রবণ এবং অতি উদ্বায়ী একটি রাসায়নিক যৌগ যা মূলত: প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবারে সাথে বিক্রিয়া করে। তাই ফলমূল বা শাকসবজিতে একটি নির্দিষ্ট মাত্রায় (গড়ে ৩-৬০ মিলিগ্রাম/কেজি মাত্রায়) ফরমালডিহাইড থাকে যা মানব স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর নয়।

এ বিষয়ে সম্প্রতি FAO-এর সহযোগিতায় পরিচালিত গবেষণালব্ধ ফলাফলে দেখা যায় যে, দেশের ফলমূল, শাকসবজিসহ অন্যান্য খাদ্যদ্রব্যে ফরমালডিহাইডের উপস্থিতি স্ব স্ব খাদ্যপণ্যের প্রাকৃতিক মাত্রার মধ্যেই সীমাবদ্ধ এবং একজন (আরো পড়ুন )


দেলদুয়ার নিরাপদ খাদ্য উপজেলায় পথখাবার ভ্যান সররবাহ

জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার নিরপাদ খাদ্য কর্মসূচীর (FAO-FSP) সহযোগিতায় দেলদুয়ার উপজেলা পরিষদ ও উবিনীগের দেলদুয়ার নিরাপদ খাদ্য উপজেলা বাস্তবায়ন কার্যক্রমের আওতায় ১৫ জন পথ খাবার বিক্রেতাদের মাধ্যমে ১৫ টি পথ খাবার ভ্যান বিতরন করা হয়। গত ২ অক্টোবর দেলদুয়ার উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ের সামনের প্রাংগন থেকে পথ খাবার বিক্রেতাদের মধ্যে এসব ভ্যান বিতরণ করা হয়। দেলদুয়ার কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণ কক্ষে পথ খাবার বিক্রেতাদের সাথে খাদ্য নিরাপদ রাখার বিষয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা সভায় অংশগ্রহন করেন, ড. রোকেয়া খানম, ন্যাশনার কনসালট্যান্ট, এফ এ ও নিরাপদ খাদ্য কর্মসূচী; ফরিদা আখতার, নির্বাহী পরিচালক, উবিনীগ; এস এম ফেরদৌস আহমেদ, উপজেলা চেয়ারম্যান; দেলদুয়ার উপজেলা পরিষদ, মেহেদী হাসান, সহকারী কমিশনার, ভূমি, দেলদুয়ার; কানিজ সুর্ইায়া সুলতানা, কৃষি সম্প্রসারন কর্মকর্তা, দেলদুয়ার; পুত (আরো পড়ুন )


নিরাপদ খাদ্য ও স্বাস্থ্য সুরক্ষায় স্বাস্থ্য কর্মীদের ভূমিকা

প্রশিক্ষণ কর্মশালা

দেলদুয়ার উপজেলা পরিষদ, দেলদুয়ার উপেেজলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান বিভাগ, উবিনীগ ও স্বাস্থ্য আন্দোলন আয়োজিত নিরাপদ খাদ্য ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিষয়ক চারটি কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয় টাংগাইলের বিষ্ণুপুর রিদয়পুর বিদ্যাঘরে। কর্মশালাগুলো অনুষ্ঠিত হয় ২ অক্টোবর, ৩ অক্টোবর, ৯ অক্টোবর ও ১০ অক্টোবর, ২০১৬। কর্মশালায় দেলদুয়ার উপজেলার নিরাপদ খাদ্যের বর্তমান প্রেক্ষাপট নিয়ে বক্তব্য রাখেন, এস. এম. ফেরদৌস আহমেদ, উপজেলা চেয়ারম্যান, দেলদুয়ার উজেলা পরিষদ। স্বাস্থ্য সুরক্ষায় করণীয় বিষয়ে কথা বলেন, ডাঃ মোঃ লুৎফুল কিবরিয়া, উপ পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা), টাঙ্গাইল। মা ও শিশু সুস্বাস্থ্যের জন্য করনীয় বিষয়ে বক্তব্য তুলে ধরেন নূসরাত রশিদ, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, দেলদুয়ার, টাঙ্গাইল (আরো পড়ুন )


পরিচ্ছন্ন ও ভেজাল মুক্ত নিরাপদ ইফতারী দেওয়ার আহবান

“রমজান মাসের রকমারী ইফতার” নিরাপদ খাদ্যের আলোকে আলোচনা এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ ফুড সেফটি নেটওয়ার্ক (বিএফএসএন) এর আয়োজনে ২০ জুন, ২০১৬ সকাল ১১:০০ টায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (নীচতলা) সেগুন বাগিচা, ঢাকায়। এই সভায় সভাপ্রধান ছিলেন জনাব গোলাম রহমান, সভাপতি, কনজুমারস্ এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)।

রমজান মাসে রকমারী ইফতার বিক্রি হতে দেখা যায়। শহরগুলোতে ঘরের তৈরী ইফতারের থেকে বাজারের খাবার খেতে ভোক্তারা পছন্দ করছে বেশী। পত্রিকায় ইফতারের রকমারী খাদ্যের ছবি দেখা যায় কিন্তু সেগুলি কতটুকু নিরাপদ তার উপর লেখা পত্রিকায় তেমন দেখা যায় না। বাংলাদেশে ২০১৩ সালে নিরাপদ খাদ্য আইন হয়েছে। বাংলাদেশের জেলা উপজেলায় খাদ্য নিরাপদ করার জন্য ভোক্তাদের সচেতন করতে হবে। ভোক্তারা যে খাদ্য কিনছে তা যেন নিরাপদ হয়। সরকারী আইন প্রয়োগের পাশাপাশি ভোক্তাদেরও সচেতন হতে হবে- বলেন ফরিদা আখতার, সভাপ (আরো পড়ুন )


নিরাপদ খাদ্য বিষয়ে শিক্ষকদের ভূমিকা

টাঙ্গাইল জেলার রিদয়পুর বিদ্যাঘরে উবিনীগ ও দেলদুয়ার উপজেলা পরিষদ আয়োজিত নিরাপদ খাদ্য বিষয়ে শিক্ষকদের ভূমিকা শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয় উবিনীগ রিদয়পুর বিদ্যাঘর, বিষ্ণুপুর, টাংগাইলে, তারিখ: ১৮ মে, ২০১৬। আয়োজনে: উবিনীগ- উন্নয়ন বিকল্পের নীতিনির্ধারণী গবেষণা ও দেলদুয়ার উপজেলা পরিষদ। সহযোগিতায়: জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা এর নিরাপদ খাদ্য প্রকল্প ।

সভায় দেলদুয়ার উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের ৫০টি মাধ্যমিকও কেজি স্কুলের প্রধান শিক্ষক/শিক্ষিকা,সহকারী শিক্ষক, নয়াকৃষি আন্দোলনের কৃষক অংশগ্রহণ করেন। এছাড়াও উবিনীগের পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম জনি, ড. এম এ সোবহান, সভাপতি, বীজবিস্তার ফাউনডেশান । এছাড়াও উবিনীগ টাঙ্গাইল কেন্দ্রের সমন্বক রবিউল ইসলাম চুন্নু, উবিনীগের কর্মী রোকেয়া খানম টুলু, যোয়াকিম মাংসাং, ফাহিমা খাতুন লিজা, মোঃ রজব আলীসহ মোট ৬৫ জন উপস্থিত ছিলেন। এর মধ্যে নারী ২৪জন এবং পুরুষ ৪১জন।

আলোচ (আরো পড়ুন )


নিরাপদ খাদ্য উপজেলা দেলদুয়ার; খাদ্য নিরাপদ হলে আমরা সুস্থ থাকবো

মানুষ খাবার খায় বেঁচে থাকার জন্যে, সুস্থ থাকার জন্যে। খাদ্য নিরাপদ না হলে খাদ্যবাহিত রোগ হতে পারে যেমন ডাইরিয়া, টাইফয়েড, মুটিয়ে যাওয়া বা পুষ্টিহীনতা। আবার দীর্ঘমেয়াদী রোগ হতে পারে যেমন ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ, কিডনী রোগ, ক্যান্সারসহ আরও অনেক রোগ যা মৃত্যুর কারণ হতে পারে। আমরা এমন অবস্থা চাই না। আমরা সবাই সুস্থ থাকতে চাই এবং আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকেও সুস্থ ও কর্মক্ষম রাখতে চাই।

খাদ্য উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাত থেকে শুরু করে খাদ্য বাজারে নিয়ে আসা, প্যাকেট করা, বিক্রি, ঘরে রান্না করা, খাবার বাসনে দেয়া এবং খাওয়া পর্যন্ত প্রতিটি ধাপে কোন না কোনভাবে খাদ্য দুষিত হতে পারে, নষ্ট হতে পারে, খাবার অযোগ্য হয়ে যেতে পারে, যা খাওয়া শরীরের জন্যে ক্ষতিকর। কাজেই নিরাপদ খাদ্য বলতে এককভাবে কোন বিশেষ খাদ্য নাই। একই খাদ্য কোন একটি পর্বে এসে অ-নিরাপদ বা ক্ষতিকর হয়ে যেতে পারে। এই পুরো প্রক্রিয়াকে &lsqu (আরো পড়ুন )


খাদ্য নিরাপত্তা অর্জন যথেষ্ট নয়, খাদ্য নিরাপদ করতে হবে

বাংলাদেশ খাদ্য উৎপাদনে এগিয়েছে এটা সুখের খবর। দেশের অগ্রগতির যে কোন মানদন্ডে তা স্বীকৃত। কৃষি ফসল হিসেবে ধানের উৎপাদন বেড়েছে তিনগুন । এখন ধান উৎপাদন হচ্ছে ৩ কোটি৭৬ লক্ষ টন। শাক-সব্জি উৎপাদনের হিসাব ও অনেক বড়। কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের ২০১৩ সালের হিসাব অনুযায়ি শাক-সব্জি উৎপাদন ১৩০ লক্ষ, আলু ৮৬ লক্ষ, ডাল ৮ লক্ষ ও তেল বীজ ৯ লক্ষ মেট্রিক টন উৎপাদিত হচ্ছে। হড়টেক্স ফাউন্ডেশানের তথ্য মতে প্রায় ১০০ রকমের সব্জি বিদেশে রপ্তানি করা হয়। সত্তুর রকমের মৌসুমি ফল উৎপাদিত হয়। খাদ্যের তালিকায় আরও আছে মাছ, যা প্রাণী উৎস থেকে পাওয়া ৫৮% আমিষের উৎস। নদী, খাল, বিল হাওর-বাওর থেকজে মাছ আসে ৮৫%, আর ১৫% মাছ বিশেষভাবে চাষ করা হয়। কিন্তু সেই চাষ করা মাছই বাজারে বেশী স্থান পায়। প্রায় ৩০০ প্রজাতির মাছ এবং ২০ প্রজাতির চিংড়ি। এর সাথে যুক্ত হয়েছে ১৩ প্রজাতির চাষ করার জন্যে বিদেশী মাছ। মাংস উৎপাদন বলতে প্রধানত মুরগির মাংস (আরো পড়ুন )


দেলদুয়ার নিরাপদ খাদ্য উপজেলা বাস্তবায়নে পথ খাবার নিরাপদ রাখা সপ্তাহ উদযাপন

হাট বাজার পর্যবেক্ষন, আলোচনা সভা ও পরিচ্ছন্নতা সামগ্রী বিতরন

আয়োজনে: দেলদুয়ার উপজেলা পরিষদ ও উবিনীগ (উন্নয়ন বিকলেপর নীতিনির্ধারনী গবেষনা)। ডিসেম্বর ২০১৫

ভূমিকা:

দেলদুয়ার উপজেলাকে নিরাপদ খাদ্য উপজেলা বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে দেলদুয়ার উপজেলা পরিষদ ও উবিনীগ সংশ্লিস্ট সকল স্টেকহ্ল্ডোরদের অংশগ্রহনে কাজ করে আসছে। দেলদুয়ার নিরাপদ খাদ্য উপজেলা বাস্তবায়নের অন্যতম একটি কার্যক্রম হচ্ছে পথ খাবার বিক্রেতাদের জন্য সচেতনতামূলক কার্যক্রম। এই কার্যক্রমের আওতায় উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারে যেখানে বিশেষ করে খোলা খাবার বিক্রি হয় সেসব বিক্রেতাদের নিয়ে সচেতনতামূলক কার্যক্রম হিসেবে ১২- ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৫ পথ খাবার সপ্তাহ উদযাপপন করা হ (আরো পড়ুন )


নিরাপদ খাদ্য পাওয়া আমাদের অধিকার

টাঙ্গাইল জেলার দেলদয়ার উপজেলাকে নিরাপদ খাদ্য উপজেলা হিসাবে গড়ে তোলার জন্য উপজেলা পরিষদ ও উবিনীগ নয়াকৃষি আন্দোলনের পক্ষ থেকে “নিরাপদ খাদ্য পাওয়া আমাদের অধিকার” এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে জাঙ্গালিয়া, দুল্লা, রুপসী, পাথরাইল সহ বিভিন্ন গ্রামে সার বিষমুক্ত নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন ও বাজারজাত করণের উপর প্রচার শেষে রুপসী হাটে গানের মাধ্যমে নিরাপদ খাদ্যের প্রচার করেন। গানের কথা-

প্রথম গানঃ

শোন ওরে ভাই আর বোন
নিরাপদ খাদ্য খাইয়া বাঁচাও এ জীবন

দ্বিতীয় গানঃ

দেলদুয়ারে শুরু হবে নিরাপদ খাদ্যের মেলা
খাদ্যের মেলা মন উজালা
থাকবে নারে মনভোলা

এরপর এলাকার নয়াকৃষির বিভিন্ন কৃষক বক্তব্য প্রদান করেন। নিরাপদ খাদ্যের উপর ক্যাম্পেইন পরিচালনা করেন উবিনীগের সমন্বক রবিউল ইসলাম চুন্নু। সহযোগিতায় ছিলেন উবিনীগের কর্মী মোঃ রজব আলী। নিরাপদ খাদ্য সম্পর্কে নয়াকৃষির কৃষ (আরো পড়ুন )


কুষ্টিয়ায় বিশ্ব হাতধোয়া দিবস উদযাপন

বিশ্ব হাতধোয়া দিবস ২০১৪ উদযাপন উপলক্ষ্যে ১৫ অক্টোবর ২০১৪ নবপ্রাণ আখড়া বাড়িতে সকাল ১০:০০ টায় সমাবেশ, আলোচনা সভা, হাত ধোয়া প্রদর্শন ও র্যালী অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্ব খাদ্য ও কৃষি সংস্থার নিরাপদ খাদ্য প্রকল্পের (এফএও - এফএস পি ) সহায়তায় বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য নেটওয়ার্ক (বিএফএসএন) এর পক্ষে উবিনীগ এই অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করে।

সমাবেশ ও আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন উবিনীগের গবেষনা পরামর্শক ড. এম এ সোবহান। প্রধান অতিথি ছিলেন কুষ্টিয়া পৌরসভার প্যানেল মেয়র জনাব নাইমুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,ডা: মোঃ সেলিম হোসেন ফরাজী, মেডিক্যাল অফিসার, সিভিল সার্জন কার্যালয়, কুষ্টিয়া, মোঃ শামসুজ্জোহা, সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার, কুমারখালী উপজেলা, কুষ্টিয়া ও আশরাফ উদ্দিন নজু, সহ-সভাপতি, জেলা শিল্পকলা একাডেমী, কুষ্টিয়া। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন, জাহাঙ্গীর আলম জনি, পরিচালক, নয়াকৃষি গবেষণা প্রকল্প, উবিনীগ (আরো পড়ুন )