বিটিবেগুন (বিকৃত বেগুন) পরিবেশ ও স্বাস্থ্যের ভয়াবহ ঝুঁকি  

জেনেটিকালী মডিফাইড অর্গানিজম কি? কেন বিরোধিতা?

প্রাণের গঠন কাঠামোর গোড়ায় রয়েছে এক ধরণের গঠন-সংকেত (gene), যাকে ইংরেজিতে বলা হয় ‘জিন’। তার ওপর কারিগরি চালিয়ে সেই গঠনে বিকৃতি ঘটানোর কারিগরি আবিষ্কার করেছে বিজ্ঞানিরা। এর নাম জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং (Genetic Engineering)। অর্থাৎ প্রাণ নিয়ে ইঞ্জিনিয়ারি করা। এই ইঞ্জিনিয়ারিতে প্রাণের মূল বৈশিষ্ট্যে বিকৃতি ঘটিয়ে যা তৈয়ার হয় তাকে বলা হয় জেনেটিকালি মডিফাইড অর্গানিজম বা জিএমও; প্রাণের গঠন সংকেতে কারিগরি খাটিয়ে তাকে বিকৃত এক আজব জিনিসে রূপান্তর করা। এটা প্রকৃতির স্বাভাবিক কোন ঘটনা নয়। অস্বাভাবিক ঘটনা। এই কারিগরি যে কোন প্রাণের ওপর করা হতে পারে। যেমন কোন জীব, অণুজীব, উদ্ভিদ, এমনকি মানুষ - অর্থাৎ তাদের গঠন-সংকেতে। মূল যে-বিজ্ঞান থেকে এই কারিগরির দিকটি রপ্ত করা হয়েছে তার নাম মলিকিউল (আরো পড়ুন )


বিটি-বেগুন লেবেল ছাড়া বিক্রি করা অনুমোদনের শর্ত লংঘন

বিটি-বেগুন লেবেল ছাড়া বিক্রি করা অনুমোদনের শর্ত লংঘন, জনগণকে না জানিয়ে জিএম ফসল বিক্রির পাঁয়তারা বন্ধ কর, অবিলম্বে বিটি বেগুনের চাষ ও বিক্রি বন্ধ কর

জি এম ফসল বিটি বেগুন লেবেল ছাড়া বিক্রি করা হচ্ছে। স্বাস্থ্য ঝুঁকির কথা না জেনেই মানুষ তা কিনছে। অবিলম্বে বিটি বেগুনের চাষ ও বিক্রি বন্ধ করার দাবীতে বিটি বেগুন বিরোধী মোর্চার পক্ষ থেকে ১৭ জুলাই, ২০১৪ জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সকাল ১১:০০ টায় এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন বিটি বেগুন বিরোধী মোর্চার পক্ষ থেকে ফরিদা আখতার, মহিদুল হক খান, ড. এম. এ. সোবহান, জাহাঙ্গীর আলম জনি, পলাশ বড়াল, রেহ্মুনা নুরাইন, ফিরোজা বেগম, রোকেয়া বেগম, সঞ্জয় বড়াল, রুশিয়া বেগম, আব্দুল জব্বার, মুন্নী খানম, আমির হোসেন, সীমা দাস সীমু, মো: বাহারানে সুলতান বাহার ও অন্য (আরো পড়ুন )


বিটিবেগুন বিরোধী মোর্চার সমাবেশে হামলা

গত ৯ মার্চ,২০১৪ ঈশ্বরদী উপজেলা ছলিমপুর ইউনিয়ন ভাড়ইমারী বড় বটতলায় পূর্ব ঘোষিত বিটিবেগুন বিরোধী সমাবেশ হবার কথা ছিল সকাল ১১টা, যথা সময় বিটিবেগুন বিরোধীর মোর্চার লোকজন সভাস্থানে উপস্থিত হয়। সভা শুর হবার আগে বিটিবেগুন বিরোধী মোর্চার অন্যতম সদস্য ফরিদা আখতারসহ একটি দল ছলিমপুরে বিটিবেগুনের মাঠ পরিদর্শন জন্য সুমন মিয়ার মাঠ দেখতে যান। কিন্তু রাজনৈতিক স্থানীয় কিছু দলের পরিচয় দিয়ে কৃষক সমুনকে ক্ষেতে আসতে দেননি। এমন অবস্থায় ভাড়ইমারীর সভাস্থান থেকে মোবাইলে ফোনে মাধ্যেমে খবর আসে যে এখানে বিটিবেগুনের বিরুদ্ধে সমাবেশ করা যাবে না। সভাস্থানে উপস্থিত লোকজনের উপর লাঠি নিয়ে হামলা চালায়। তারপর ভাড়াইমারী বড়বটতলা থেকে সরে এসে আনন্দ বাজার মোড়ে লোকজন অবস্থান করে। সেখানে এসেও হামলাকারীরা আবারো আক্রমণ করে। তারপরে সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে লোকজন সিন্ধান্ত নেন যে বিটিবেগুনের ক্ষেতের পাশে তারা মানববন্ধন করবে। এই সময় স্ (আরো পড়ুন )


বিটিবেগুন বিরোধী মোর্চার মানববন্ধনে হামলা

পাবনার জেলার ঈশ্বরদী উপজেলার ছলিমপুর ইউনিয়ন ভাড়ইমারী বড় বটতলায় বিটি বেগুন বিরোধী মোর্চার কর্মসূচীতে স্থানীয় আওয়ামী-লীগের পরিচয়ধারী কিছু উচ্ছৃংখল লোকজন ওয়াজেদ মেম্বার ও ব্লক সুপারভাইজার আব্দুর রশিদের নেতৃত্বে ২০/২৫ জন আওয়ামী-লীগ দলীয় পরিচয়ধারী কিছু ব্যাক্তি এই মানববন্ধনে হামলা চালায়। নারী ও পুরুষ কৃষকসহ প্রায় ১৫জন আহত হন। সাংবাদিকদের ছবি তুলতে বাধা দেয় এবং তাদের ক্যামেরা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে।

আমরা অত্যন্ত উদ্বেগের সাথে স্থানীয় ও জাতীয় সংবাদপত্রে প্রকাশিত সংবাদ (সংযুক্ত) ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানতে পেরেছি যে,গতকাল ৯ মার্চ ২০১৪ তারিখে পাবনার ঈশ্বরদীতে বিটি বেগুন বিরোধী মোর্চার শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন কর্মসূচীতে হামলা চালানো হয়। এই হামলায় নারীনেত্রী ফরিদা আখতারসহ মানববন্ধনে অংশগ্রহনকারী অনেক নারী ও পুরুষ লাঞ্ছিত ও আহত হন ও সংবাদকর্মী/ আলোকচিত্রীরা লাঞ্ছিত হন। আমরা এধরণের ন্যাক্কারজনক (আরো পড়ুন )


বিটি বেগুন অনুমোদন প্রত্যাহার কর, বিটি বেগুন চাষ বন্ধ কর

আমরা গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি বাংলাদেশে জিএম ফসলের প্রবর্তন করে এ দেশের কৃষি ও ভোক্তা হিশেবে জনগণকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দেয়া হচ্ছে। বহুজাতিক কোম্পানির সহযোগিতায় জেনেটিক কারিগরির মাধ্যমে আমাদের অতি প্রিয় বেগুনের প্রাণ গঠনের পরিবর্তন করে বিটি বেগুন করা হচ্ছে। বাংলাদেশ কৃষি প্রধান দেশ এবং আমাদের সংখ্যাগরিষ্ট জনগোষ্টি কৃষির উপর নির্ভরশীল। একই সাথে এদেশ ফসলের দিক থেকে বৈচিত্র্যপূর্ণ। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠানে যে বীজ সম্পদ আছে তা দিয়েই বোঝা যায়। এখানে সবজি, ডাল, তেলসহ জনগণের জন্যে প্রয়োজনীয় নানা ফসলের বীজ সংগ্রহ করা আছে। আমরা বিশ্বাস করি আমাদের দেশের কৃষকদের অভিজ্ঞতা ও জ্ঞান এবং আমাদের কৃষি বিজ্ঞানীদের দক্ষতা দেশের কৃষিখাতকে অনেক সমৃদ্ধ করতে পারে।

আমরা উদ্বিগ্ন হয়ে লক্ষ্য করেছি ২০০৫ সাল থেকে শুরু হওয়া জেনিটিক ইঞ্জিনিয়ারিং প্রযুক্তি ব্যবহারে বিটি বেগুনের গবেষণা শুরু করে ২০১৩ (আরো পড়ুন )


বিটি বেগুন, জিএম আলু, গোল্ডেন রাইসের ছোবল থেকে দেশ বাঁচাও

জিএম মুক্ত বাংলাদেশ চাই

জিএমও বিরোধী গণমোর্চা ও বিটি বেগুন বিরোধী মোর্চার যৌথ উদ্যোগে, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৪, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সকাল ১১টায়, বিটিবেগুন জিএম আলু ও গোল্ডেন রাইসের মতো জিএম খাদ্য ফসল প্রবর্তনের বিরুদ্ধে এক প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্টিত হয়। এই সমাবেশে একের পর এক জিএম ফসলের প্রবর্তন করে এদেশের কৃষি ও ভোক্তা হিশেবে জনগণকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দেয়া হচ্ছে প্রকাশ করা হয়। বহুজাতিক কোম্পানির সহযোগিতায় জেনেটিক কারিগরির মাধ্যমে ফসলের প্রাণ গঠনের পরিবর্তন করে বিটিবেগুন ও জিএম আলু, এবং একই সাথে গোল্ডেন রাইস নামক ধানের গবেষণা পর্যায় শেষ করে মাঠে চাষের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে বিটি বেগুনের চারা কৃষকদের কাছে বিতরণ করা হয়েছে।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বিশিষ্ট কৃষি বিজ্ঞানী ড. এম এ সোবহান। বক্তব্য রাখেন, সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, ফ (আরো পড়ুন )